ঢাকা ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

‘ইতিহাসে শত্রুদের ক্ষমা করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না’-হাসনাত আবদুল্লাহ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 29

ইতিহাস আমাদের শত্রুদের ক্ষমা করেনি, ভবিষ্যতেও কাউকেই করবে না বলে মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।

পোস্টে তিনি বলেন, ‘আবারও বলি, এখন যারা ‘দায় চাপিয়ে দেয়া’ ও দোষারোপের রাজনীতির আশ্রয় নিচ্ছেন, তারা যেন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পরিণতি ভুলে না যান। ইতিহাস আমাদের শত্রুদের ক্ষমা করেনি, ভবিষ্যতেও কাউকেই করবে না। রাষ্ট্রীয় সংলাপ ও নতুন রাজনৈতিক পথরেখায় আমাদের অংশগ্রহণ প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ নেই। কোনো অজুহাতেই দেশ সংস্কারের প্রক্রিয়া থেকে আমাদের বিরত রাখার সুযোগ নেই।’

পাঠকদের জন্য পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল বঞ্চিত, নিপীড়িত ও শোষিত ছাত্র-জনতার এক গৌরবময় বিপ্লব, যা ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার পতনের অনিবার্য ভূমি নির্মাণ করেছে। সে সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসে। দুঃশাসনের শৃঙ্খল ভেঙে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শপথ নেয় তারা। দেশের সব ছাত্রসংগঠনই এই আন্দোলনের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, যা ছিল আমাদের স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে অভূতপূর্ব এক সংহতির নজির।

আমাদের সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন সাহসী বিপ্লবী তরুণ-তরুণীরা, রক্ত ঢেলে তারা ইতিহাসের পৃষ্ঠায় লিখেছেন স্বাধীনতার নতুন অধ্যায়। পিচ্চি রিয়া গোপ থেকে শুরু করে বৃদ্ধ রিকশাওয়ালা, এমন শত শত নিরপরাধ মানুষের শাহাদাত এই আন্দোলনকে নৈতিক এবং আত্মিক ভিত্তি নির্মাণ করে দিয়েছে। আর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে এই আন্দোলনের ন্যায্য ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েই। আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনই তাই রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে রাজনৈতিক সংলাপে অংশগ্রহণের প্রধান দাবিদার।

আজ যারা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে আমাদের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাদের জিজ্ঞাসা করতে চাই—ফ্যাসিস্ট হাসিনার পদত্যাগের সময় এই ব্যানারে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন কেন? ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হলো, তখন কোন প্রটোকল-এর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল? তখন তো কোনো আপত্তি বা প্রশ্ন শোনা যায়নি! আজ কেন হঠাৎ করে এই প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসা হলো?

যারা আজ ‘মনিটরিং’ জনিত কৃত্রিম বিতর্ক সৃষ্টি করছেন, তারা আন্দোলনের মৌলিক ভিত্তিকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানাই— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিলো এই গনঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দানকারী প্লাটফর্ম। এই প্লাটফর্মের নেতৃত্ব মেনেই বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল এবং সংগঠন এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। সেই হিসেবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই প্লাটফর্ম কোন মাদারপার্টির মনিটরিংয়ে তাদের কোন পারপাস সার্ভ করে না।

আবারও বলি, এখন যারা ‘দায় চাপিয়ে দেয়া’ ও দোষারোপের রাজনীতির আশ্রয় নিচ্ছেন, তারা যেন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পরিণতি ভুলে না যান। ইতিহাস আমাদের শত্রুদের ক্ষমা করেনি, ভবিষ্যতেও কাউকেই করবে না। রাষ্ট্রীয় সংলাপ ও নতুন রাজনৈতিক পথরেখায় আমাদের অংশগ্রহণ প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ নেই। কোন অজুহাতেই দেশ সংস্কারের প্রক্রিয়া থেকে আমাদের বিরত রাখার সুযোগ নেই। ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একমাত্র সর্বজনসমর্থিত প্লাটফর্ম, এবং আমরা এই বৈধতার দাবিতে অটল থাকব, প্রয়োজনে যে কোনো চক্রান্তের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। আমাদের হাজারো ভাইয়ের রক্তের দায় আমাদের উপর আছে, একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়েই সেই রক্তের দায় আমরা শোধ করবো। কোন মিথ্যাচার বা দোষারোপের রাজনীতি করে খুনি হাসিনা যেমন আমাদের থামাতে পারেনি, ভবিষ্যতেও কেউ থামাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

ফ্যাসিবাদের পতন অনিবার্য! গণজাগরণ অপ্রতিরোধ্য! বিজয় আমাদেরই হবে

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

‘ইতিহাসে শত্রুদের ক্ষমা করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না’-হাসনাত আবদুল্লাহ

আপডেট সময় ০৯:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ইতিহাস আমাদের শত্রুদের ক্ষমা করেনি, ভবিষ্যতেও কাউকেই করবে না বলে মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।

পোস্টে তিনি বলেন, ‘আবারও বলি, এখন যারা ‘দায় চাপিয়ে দেয়া’ ও দোষারোপের রাজনীতির আশ্রয় নিচ্ছেন, তারা যেন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পরিণতি ভুলে না যান। ইতিহাস আমাদের শত্রুদের ক্ষমা করেনি, ভবিষ্যতেও কাউকেই করবে না। রাষ্ট্রীয় সংলাপ ও নতুন রাজনৈতিক পথরেখায় আমাদের অংশগ্রহণ প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ নেই। কোনো অজুহাতেই দেশ সংস্কারের প্রক্রিয়া থেকে আমাদের বিরত রাখার সুযোগ নেই।’

পাঠকদের জন্য পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল বঞ্চিত, নিপীড়িত ও শোষিত ছাত্র-জনতার এক গৌরবময় বিপ্লব, যা ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার পতনের অনিবার্য ভূমি নির্মাণ করেছে। সে সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসে। দুঃশাসনের শৃঙ্খল ভেঙে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শপথ নেয় তারা। দেশের সব ছাত্রসংগঠনই এই আন্দোলনের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, যা ছিল আমাদের স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে অভূতপূর্ব এক সংহতির নজির।

আমাদের সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন সাহসী বিপ্লবী তরুণ-তরুণীরা, রক্ত ঢেলে তারা ইতিহাসের পৃষ্ঠায় লিখেছেন স্বাধীনতার নতুন অধ্যায়। পিচ্চি রিয়া গোপ থেকে শুরু করে বৃদ্ধ রিকশাওয়ালা, এমন শত শত নিরপরাধ মানুষের শাহাদাত এই আন্দোলনকে নৈতিক এবং আত্মিক ভিত্তি নির্মাণ করে দিয়েছে। আর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে এই আন্দোলনের ন্যায্য ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েই। আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনই তাই রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে রাজনৈতিক সংলাপে অংশগ্রহণের প্রধান দাবিদার।

আজ যারা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে আমাদের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাদের জিজ্ঞাসা করতে চাই—ফ্যাসিস্ট হাসিনার পদত্যাগের সময় এই ব্যানারে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন কেন? ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হলো, তখন কোন প্রটোকল-এর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল? তখন তো কোনো আপত্তি বা প্রশ্ন শোনা যায়নি! আজ কেন হঠাৎ করে এই প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসা হলো?

যারা আজ ‘মনিটরিং’ জনিত কৃত্রিম বিতর্ক সৃষ্টি করছেন, তারা আন্দোলনের মৌলিক ভিত্তিকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানাই— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিলো এই গনঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দানকারী প্লাটফর্ম। এই প্লাটফর্মের নেতৃত্ব মেনেই বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল এবং সংগঠন এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। সেই হিসেবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই প্লাটফর্ম কোন মাদারপার্টির মনিটরিংয়ে তাদের কোন পারপাস সার্ভ করে না।

আবারও বলি, এখন যারা ‘দায় চাপিয়ে দেয়া’ ও দোষারোপের রাজনীতির আশ্রয় নিচ্ছেন, তারা যেন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পরিণতি ভুলে না যান। ইতিহাস আমাদের শত্রুদের ক্ষমা করেনি, ভবিষ্যতেও কাউকেই করবে না। রাষ্ট্রীয় সংলাপ ও নতুন রাজনৈতিক পথরেখায় আমাদের অংশগ্রহণ প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ নেই। কোন অজুহাতেই দেশ সংস্কারের প্রক্রিয়া থেকে আমাদের বিরত রাখার সুযোগ নেই। ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একমাত্র সর্বজনসমর্থিত প্লাটফর্ম, এবং আমরা এই বৈধতার দাবিতে অটল থাকব, প্রয়োজনে যে কোনো চক্রান্তের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। আমাদের হাজারো ভাইয়ের রক্তের দায় আমাদের উপর আছে, একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়েই সেই রক্তের দায় আমরা শোধ করবো। কোন মিথ্যাচার বা দোষারোপের রাজনীতি করে খুনি হাসিনা যেমন আমাদের থামাতে পারেনি, ভবিষ্যতেও কেউ থামাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

ফ্যাসিবাদের পতন অনিবার্য! গণজাগরণ অপ্রতিরোধ্য! বিজয় আমাদেরই হবে