ঢাকা ০২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছে ড.ফয়জুল হক Logo মিটফোর্ডে হত্যার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ Logo এবার ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করলেন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সদস্য রাব্বি Logo সিরিয়ার কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিলো দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী Logo মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে: আইন উপদেষ্টা Logo হাসিনা কন্যা পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠালো ডব্লিউএইচও Logo বাউফলে ইয়াবাসহ যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo প্রেমের শাস্তি হিসেবে দম্পতিকে গরুর জোয়ালে বেঁধে হালচাষ Logo ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে ইডেনে বিক্ষোভ, ছাত্রদলকে হল ছাড়ার আলটিমেটাম Logo সুন্দরগঞ্জে ভাতিজার চুরি আঘাতে চাচা নিহত, স্ত্রী সন্তান আহত

ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি শহীদ মিনারে পা রাখবেন না: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ

জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চলাকালে নীরবতা পালন করায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীনকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে না যেতে আহ্বান জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান থেকে এ ঘোষণা দেন জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত প্রথম ছাত্রসংঠনটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ। তিনি বলেন, ‘জুলাই ও আগস্টে আমরা দুই হাজারেরও বেশি ভাই ও বোনকে হারিয়েছি। কিন্তু পুরো ঘটনার সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন চুপ করে ছিলেন।

এ ছাড়া এটিও কারো অজানা নয় যে তিনি হাসিনার অবৈধ নির্বাচনের অবৈধ এমপিদের ভোটে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। একে একে হাসিনা পালিয়েছে, সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে, হাসিনার এমপিরাও পালিয়ে গেছে; অথচ রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দীন বহাল আছেন। ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে তার পদত্যাগের দাবি জানানো হলেও তিনি সরে যাননি। কিন্তু তাকে জনগণও মেনে নেয়নি।

তিনি স্রেফ কায়েমি স্বার্থবাদীদের মদদে টিকে আছেন। আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, সাহাবুদ্দীনকে জনগণ জনপরিসরে দেখতে চায় না। তার উচিত, বঙ্গভবনের চার দেয়ালের ভেতরে থেকেই জুলাইয়ে নিজের ভূমিকা পর্যালোচনা করা। ফ্যাসিবাদীদের সবার পতনের পর নিজের টিকে থাকার অনর্থকতা অনুধাবন করা।

আশা করছি, তিনি বিদায়ের তাগিদ বুঝতে পারবেন। বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের এই আহ্বায়ক আরো বলেন, ‘আমাদের দাবি হলো, ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন জুলাই বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা রাখবেন না। তিনি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসবেন না।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও দলটির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

পরে এতে সম্পৃক্ত হন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ীর শহীদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান চলছে। গণবক্তৃতা, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি ও র‍্যাপ সংগীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে চলছে এ কর্মসূচি।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছে ড.ফয়জুল হক

ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি শহীদ মিনারে পা রাখবেন না: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ

আপডেট সময় ১০:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চলাকালে নীরবতা পালন করায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীনকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে না যেতে আহ্বান জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান থেকে এ ঘোষণা দেন জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত প্রথম ছাত্রসংঠনটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ। তিনি বলেন, ‘জুলাই ও আগস্টে আমরা দুই হাজারেরও বেশি ভাই ও বোনকে হারিয়েছি। কিন্তু পুরো ঘটনার সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন চুপ করে ছিলেন।

এ ছাড়া এটিও কারো অজানা নয় যে তিনি হাসিনার অবৈধ নির্বাচনের অবৈধ এমপিদের ভোটে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। একে একে হাসিনা পালিয়েছে, সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে, হাসিনার এমপিরাও পালিয়ে গেছে; অথচ রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দীন বহাল আছেন। ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে তার পদত্যাগের দাবি জানানো হলেও তিনি সরে যাননি। কিন্তু তাকে জনগণও মেনে নেয়নি।

তিনি স্রেফ কায়েমি স্বার্থবাদীদের মদদে টিকে আছেন। আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, সাহাবুদ্দীনকে জনগণ জনপরিসরে দেখতে চায় না। তার উচিত, বঙ্গভবনের চার দেয়ালের ভেতরে থেকেই জুলাইয়ে নিজের ভূমিকা পর্যালোচনা করা। ফ্যাসিবাদীদের সবার পতনের পর নিজের টিকে থাকার অনর্থকতা অনুধাবন করা।

আশা করছি, তিনি বিদায়ের তাগিদ বুঝতে পারবেন। বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের এই আহ্বায়ক আরো বলেন, ‘আমাদের দাবি হলো, ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন জুলাই বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা রাখবেন না। তিনি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসবেন না।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও দলটির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

পরে এতে সম্পৃক্ত হন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ীর শহীদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান চলছে। গণবক্তৃতা, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি ও র‍্যাপ সংগীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে চলছে এ কর্মসূচি।