ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজহারুল কবে মুক্ত হবেন, সুস্পষ্টভাবে সরকারের কাছে জানতে চাই: জামায়াতে আমির

আজহারুল কবে মুক্ত হবেন, সুস্পষ্টভাবে সরকারের কাছে জানতে চাই: জামায়াতে আমির

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হলেও ফ্যাসিবাদের সবচাইতে কঠিন সাক্ষী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্ত হননি। আজহারুল কবে মুক্ত হবেন—তা সুস্পষ্টভাবে সরকারের কাছে জানতে চাই।

তিনি বলেন, আমরা তো চাইনি, কল্পনাও করিনি—এইভাবে আমাদেরকে রাস্তায় নামতে হবে প্রিয় আজহার ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে। আমরা বাধ্য হয়েছি। ‘আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই—এই সমাবেশ শুরুও নয় শেষও নয়, বিক্ষোভ, আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

জামায়াত আমির বলেন, ‘কারাগারে আজহারুল ইসলামের একের পর এক ১৩টি বৎসর অতিবাহিত হয়েছে। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে তিনি আছেন। এখনো তিনি মুক্ত হননি। বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হলো—আমাদের প্রশ্ন ফ্যাসিবাদের সবচাইতে কঠিন সাক্ষী আজহারুল ইসলাম মুক্ত হলেন না কেন? কোন জিনিস তাকে আটকে রাখতে বাধ্য হয়েছে। কেন এই বৈষম্য? আমরা তো নিজের থেকে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানিয়েছিলাম। এই উদারতা আমরা দেখিয়েছিলাম। আমরা উদারতা দেখিয়ে যাবো। কিন্তু আজহারুল কবে মুক্ত হবেন—তা সুস্পষ্টভাবে সরকারের কাছে জানতে চাই।’

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর পল্টনে ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা আশ করব—সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবেন। এক এক করে বাকী মজলুমদেরকে যেভাবে মুক্তি দিয়েছেন, সর্বশেষ মজলুমটিকে মুক্তি দিয়ে দেশবাসীর বুকে ফিরিয়ে দিন। তার জীবনের যে ১৩টি বছর হারিয়ে গিয়েছে—এগুলো কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবেন না। আর ১৩টি মিনিট তিনি কারাগারে থাকুক, আমরা তা চাই না। আমরা ভদ্র, কিন্তু বোকা নই। আমাদের ভদ্রতা,এই উপহারকে কেউ যেন দুর্বলতা মনে না করেন। ভদ্রতা যখন শক্ত হয় তখন কি পরিমাণ শক্ত হতে পারে—তা সাড়ে ১৫ বছর বাংলাদেশ দেখেছে।

তিনি বলেন, আমি কারো কথা বলব না, কে কি করেছেন, কোথায় আপস করেছেন—সেটা আমার সাবজেক্ট না। সাড়ে ১৫ বছর মহান আল্লাহর দেয়া শক্তির কারণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কখনো কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করেনি। জীবন দিয়েছে আপস করেনি। বহু আপসের প্রস্তাব আমাদের কাছেও এসেছিল। ফাঁসির কাস্টে নেতৃবৃন্দকে পাঠিয়ে দেওয়ার আগে জনে জনে দফায় দফায় প্রস্তাব এসেছিল। বাংলাদেশের জনগণ জানে, জীবিত অবস্থায় নেক বান্দারা, বাংলাদেশের বীর সন্তানেরা ওই সমস্ত প্রস্তাবগুলোকে পায়ের তলে ফেলে দিয়েছিলেন। আমাদের আর ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। তাকে মুক্তি দিন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কেন আমাদের নিবন্ধন আটকে রেখেছেন। নিবন্ধনটা জালিম সরকার কেড়ে নিয়েছিল। সেই জুলুম আপনারাও কি আমাদের ওপর করবেন? এজন্য কি হাজারো জনতা জীবন দিয়েছে? হাজার হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে আবার সেই বৈষম্য দেখার জন্যে—আমরা বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো বৈষম্যকে বরদাশত করব না। সকল বৈষম্যের কবর রচনা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছর জীবন দিতে ভয় করেননি, গুলির সামনে বুক পেতে দিতে ভয় করেননি, সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনে শরীক হয়ে যেমন করে দেশপ্রেমের প্রমাণ পেশ করেছেন—তেমিন, একটি মানবিক বাংলাদেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা পর্যন্ত আপনারা কি একই লড়াই করার জন্য প্রস্তুত? নেতাকর্মীরা হাত উচিয়ে হ্যাঁ জবাব দেয়।

জামায়াত আমির বলেন, আমাদেরকে ,মেহেরবানি কর নতুন করে আর কেউ চোখ রাঙ্গাবেন না। ফ্যাসিবাদ, ফ্যাসিবাদের ভাষায় কেউ কথা বলবেন না। কথা বলবেন রাজনীতিবিদের ভাষায়। আমরা স্বাগত জানাব। অভিনন্দন জানাব। সমালোচনা করবেন চুমু দেব। কিন্তু চোখ রাঙ্গাবেন না মেহেরবানি করে—এই সংগঠন কারো চোখ রাঙ্গানির পরোয়া করে না।

তিনি বলেন, দেশের বিরুদ্ধে, জাতির বিরুদ্ধে অতীতেও ষড়যন্ত্র ছিল—ফ্যাসিবাদের পরেও ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। এক এক করে আল্লাহ তায়ালা সব ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী জনগণ আল্লাহর সাহায্য নিয়ে আগামীতেও সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি দলমতের ঊর্ধ্বে ওঠে সকলকে সব ধরনের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির ও অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা ও ডা.ফখরুদ্দিন মানিক এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন ও ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হলেও দুপুরের পর থেকেই পল্টন মোড়ে জড়ো হওয়া শুরু করেন জামায়াত নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে চারটার আগেই উপস্থিতি পল্টন মোড় ছাড়িয়ে বিজয়নগর- নাইটিংগেল মোড় ও আশপাশের এলাকা ছাড়িয়ে যায়। পল্টন মোড়ে তিনটি খোলা ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া একই দাবিতে দলটি সারাদেশে কর্মসূচি পালন করেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

আজহারুল কবে মুক্ত হবেন, সুস্পষ্টভাবে সরকারের কাছে জানতে চাই: জামায়াতে আমির

আপডেট সময় ০৮:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হলেও ফ্যাসিবাদের সবচাইতে কঠিন সাক্ষী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্ত হননি। আজহারুল কবে মুক্ত হবেন—তা সুস্পষ্টভাবে সরকারের কাছে জানতে চাই।

তিনি বলেন, আমরা তো চাইনি, কল্পনাও করিনি—এইভাবে আমাদেরকে রাস্তায় নামতে হবে প্রিয় আজহার ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে। আমরা বাধ্য হয়েছি। ‘আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই—এই সমাবেশ শুরুও নয় শেষও নয়, বিক্ষোভ, আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

জামায়াত আমির বলেন, ‘কারাগারে আজহারুল ইসলামের একের পর এক ১৩টি বৎসর অতিবাহিত হয়েছে। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে তিনি আছেন। এখনো তিনি মুক্ত হননি। বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হলো—আমাদের প্রশ্ন ফ্যাসিবাদের সবচাইতে কঠিন সাক্ষী আজহারুল ইসলাম মুক্ত হলেন না কেন? কোন জিনিস তাকে আটকে রাখতে বাধ্য হয়েছে। কেন এই বৈষম্য? আমরা তো নিজের থেকে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানিয়েছিলাম। এই উদারতা আমরা দেখিয়েছিলাম। আমরা উদারতা দেখিয়ে যাবো। কিন্তু আজহারুল কবে মুক্ত হবেন—তা সুস্পষ্টভাবে সরকারের কাছে জানতে চাই।’

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর পল্টনে ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা আশ করব—সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবেন। এক এক করে বাকী মজলুমদেরকে যেভাবে মুক্তি দিয়েছেন, সর্বশেষ মজলুমটিকে মুক্তি দিয়ে দেশবাসীর বুকে ফিরিয়ে দিন। তার জীবনের যে ১৩টি বছর হারিয়ে গিয়েছে—এগুলো কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবেন না। আর ১৩টি মিনিট তিনি কারাগারে থাকুক, আমরা তা চাই না। আমরা ভদ্র, কিন্তু বোকা নই। আমাদের ভদ্রতা,এই উপহারকে কেউ যেন দুর্বলতা মনে না করেন। ভদ্রতা যখন শক্ত হয় তখন কি পরিমাণ শক্ত হতে পারে—তা সাড়ে ১৫ বছর বাংলাদেশ দেখেছে।

তিনি বলেন, আমি কারো কথা বলব না, কে কি করেছেন, কোথায় আপস করেছেন—সেটা আমার সাবজেক্ট না। সাড়ে ১৫ বছর মহান আল্লাহর দেয়া শক্তির কারণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কখনো কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করেনি। জীবন দিয়েছে আপস করেনি। বহু আপসের প্রস্তাব আমাদের কাছেও এসেছিল। ফাঁসির কাস্টে নেতৃবৃন্দকে পাঠিয়ে দেওয়ার আগে জনে জনে দফায় দফায় প্রস্তাব এসেছিল। বাংলাদেশের জনগণ জানে, জীবিত অবস্থায় নেক বান্দারা, বাংলাদেশের বীর সন্তানেরা ওই সমস্ত প্রস্তাবগুলোকে পায়ের তলে ফেলে দিয়েছিলেন। আমাদের আর ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। তাকে মুক্তি দিন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কেন আমাদের নিবন্ধন আটকে রেখেছেন। নিবন্ধনটা জালিম সরকার কেড়ে নিয়েছিল। সেই জুলুম আপনারাও কি আমাদের ওপর করবেন? এজন্য কি হাজারো জনতা জীবন দিয়েছে? হাজার হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে আবার সেই বৈষম্য দেখার জন্যে—আমরা বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো বৈষম্যকে বরদাশত করব না। সকল বৈষম্যের কবর রচনা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছর জীবন দিতে ভয় করেননি, গুলির সামনে বুক পেতে দিতে ভয় করেননি, সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনে শরীক হয়ে যেমন করে দেশপ্রেমের প্রমাণ পেশ করেছেন—তেমিন, একটি মানবিক বাংলাদেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা পর্যন্ত আপনারা কি একই লড়াই করার জন্য প্রস্তুত? নেতাকর্মীরা হাত উচিয়ে হ্যাঁ জবাব দেয়।

জামায়াত আমির বলেন, আমাদেরকে ,মেহেরবানি কর নতুন করে আর কেউ চোখ রাঙ্গাবেন না। ফ্যাসিবাদ, ফ্যাসিবাদের ভাষায় কেউ কথা বলবেন না। কথা বলবেন রাজনীতিবিদের ভাষায়। আমরা স্বাগত জানাব। অভিনন্দন জানাব। সমালোচনা করবেন চুমু দেব। কিন্তু চোখ রাঙ্গাবেন না মেহেরবানি করে—এই সংগঠন কারো চোখ রাঙ্গানির পরোয়া করে না।

তিনি বলেন, দেশের বিরুদ্ধে, জাতির বিরুদ্ধে অতীতেও ষড়যন্ত্র ছিল—ফ্যাসিবাদের পরেও ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। এক এক করে আল্লাহ তায়ালা সব ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী জনগণ আল্লাহর সাহায্য নিয়ে আগামীতেও সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি দলমতের ঊর্ধ্বে ওঠে সকলকে সব ধরনের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির ও অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা ও ডা.ফখরুদ্দিন মানিক এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন ও ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হলেও দুপুরের পর থেকেই পল্টন মোড়ে জড়ো হওয়া শুরু করেন জামায়াত নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে চারটার আগেই উপস্থিতি পল্টন মোড় ছাড়িয়ে বিজয়নগর- নাইটিংগেল মোড় ও আশপাশের এলাকা ছাড়িয়ে যায়। পল্টন মোড়ে তিনটি খোলা ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া একই দাবিতে দলটি সারাদেশে কর্মসূচি পালন করেছে।