ঢাকা ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালের শৌচাগারে নবজাতককে ফেলে পালালেন মা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 0 Views

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে হাসপাতালের শৌচাগারে নবজাতককে ফেলে পালিয়ে গেছেন এক মা। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন এক নারী। জরুরি বিভাগের খাতায় ওই নারীর নাম লেখা হয় রূপসী।

তার দেওয়া তথ্য মতে বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের মালিখালি গ্রামের বাসিন্দা আজিজুর তার স্বামী। এ সময় চিকিৎসক তাকে আলট্রাসনোগ্রাফি করতে পরামর্শ দেন। জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যান ওই নারী।
তারা আরো জানায়, সেখানে সন্তান প্রসব করে কাউকে কিছু না জানিয়ে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করেন ওই নারী ও সঙ্গে থাকা যুবক।

কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কর্মী সন্ধ্যা রানী নবজাতককে শৌচাগারের মধ্যে দেখতে পেয়ে জরুরি বিভাগে খবর দেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালের ওয়াশরুমে যান ওই নারী। সেখান থেকে বের হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায় তারা।

পাঁচ মাসের একটি বাচ্চা অসময়ে পরে আছে এবং বাচ্চাটা জীবিত রয়েছে। বাচ্চাটি দেখে পরিচ্ছন্নতাকর্মী চিৎকার করলে সবাই এগিয়ে আসেন। বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফাতেমা ইশরাত জাহান বলেন, ‘প্রচণ্ড প্রসব ব্যথা নিয়ে স্বামী পরিচয়দানকারী এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে আসেন রুপসী নামে এক নারী। প্রাথমিকভাবে গর্ভের সন্তানটি বেশ বড় মনে হওয়ায় তাকে আলট্রাসনো করতে বলি।

তারা আলট্রাসনো করতে যায়। পরে জানতে পারি, জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে গিয়ে সেখানে সন্তান প্রসবের পর নবজাতককে রেখে পালিয়ে যায় তারা। একাধিকবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ফোন দিলে ফোন রেখে দেন তারা। গর্ভপাত ঘটাতে ১০-১২ ঘণ্টা আগে ওষুধ খেয়েছেন বলে জানান ওই নারী।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসান বলেন, বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা শেষে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে নেওয়ার পথে বাচ্চাটি মারা যায়। কে বা কারা এমন কাজ করেছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, নবজাতককে ফেলে যাওয়ার মতো কাজ যারা করেছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসপাতালের শৌচাগারে নবজাতককে ফেলে পালালেন মা

আপডেট সময় ০৭:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে হাসপাতালের শৌচাগারে নবজাতককে ফেলে পালিয়ে গেছেন এক মা। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন এক নারী। জরুরি বিভাগের খাতায় ওই নারীর নাম লেখা হয় রূপসী।

তার দেওয়া তথ্য মতে বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের মালিখালি গ্রামের বাসিন্দা আজিজুর তার স্বামী। এ সময় চিকিৎসক তাকে আলট্রাসনোগ্রাফি করতে পরামর্শ দেন। জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যান ওই নারী।
তারা আরো জানায়, সেখানে সন্তান প্রসব করে কাউকে কিছু না জানিয়ে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করেন ওই নারী ও সঙ্গে থাকা যুবক।

কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কর্মী সন্ধ্যা রানী নবজাতককে শৌচাগারের মধ্যে দেখতে পেয়ে জরুরি বিভাগে খবর দেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালের ওয়াশরুমে যান ওই নারী। সেখান থেকে বের হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায় তারা।

পাঁচ মাসের একটি বাচ্চা অসময়ে পরে আছে এবং বাচ্চাটা জীবিত রয়েছে। বাচ্চাটি দেখে পরিচ্ছন্নতাকর্মী চিৎকার করলে সবাই এগিয়ে আসেন। বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফাতেমা ইশরাত জাহান বলেন, ‘প্রচণ্ড প্রসব ব্যথা নিয়ে স্বামী পরিচয়দানকারী এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে আসেন রুপসী নামে এক নারী। প্রাথমিকভাবে গর্ভের সন্তানটি বেশ বড় মনে হওয়ায় তাকে আলট্রাসনো করতে বলি।

তারা আলট্রাসনো করতে যায়। পরে জানতে পারি, জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে গিয়ে সেখানে সন্তান প্রসবের পর নবজাতককে রেখে পালিয়ে যায় তারা। একাধিকবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ফোন দিলে ফোন রেখে দেন তারা। গর্ভপাত ঘটাতে ১০-১২ ঘণ্টা আগে ওষুধ খেয়েছেন বলে জানান ওই নারী।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসান বলেন, বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা শেষে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে নেওয়ার পথে বাচ্চাটি মারা যায়। কে বা কারা এমন কাজ করেছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, নবজাতককে ফেলে যাওয়ার মতো কাজ যারা করেছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।