ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অনলাইন জুয়ায় গাড়ি-বাড়ি হারিয়ে যুবকের দুধ দিয়ে তওবার গোসল Logo লঞ্চঘাটে তরুণীদের প্রকাশ্যে মারধর, যুবক বললেন ভাই হিসেবে মেরেছি Logo ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের ‘বুনিয়ান-উন-মারসুস’ Logo ভারতে ৪ টিভি চ্যানেল বন্ধ: ব্যাখ্যা না পেলে পাল্টা পদক্ষেপ নেবে সরকার Logo উপশাখা দায়িত্বশীলদের নিয়ে অর্ধদিবসব্যাপী কর্মশালা Logo তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের ৬ বিভাগ Logo পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রক কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন শেহবাজ Logo মাদারীপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ঢাকায় আটক Logo দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে চলছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ Logo ঢাকা জেলা জামায়াতের দিনব্যাপী অগ্রসর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

জামায়াতের অফিসে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে

জামায়াতের অফিসে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে

আধিপত্য বিস্তারের জেরে পাবনা সদর উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় জামায়াত সমর্থিত কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ী এলাকার তিন নাম্বার ওয়ার্ড কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে পাবনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবির হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামি উজ্জ্বল হোসেনসহ সাতজন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টার দিকে ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ জনের অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী কুমারগাড়ি এলাকায় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা একটি মুদি দোকান ও অটোরিকশা গ্যারেজ ভাঙচুর লুটপাট করে। এছাড়া একটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

এরপর তারা পাবনা পৌর জামায়াতের ইঞ্জিনিয়ার ফোরামের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ করিমসহ বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ ও জাহিদুল ইসলামের ফেস্টুন পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।

ভুক্তভোগী জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ করিমের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি নেতা ইয়াকুব আলী, মাহমুদুল হাসান, আবির হোসেনসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা দখলদারিত্ব, আধিপত্য বিস্তার, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। তারই ধারাবাহিতকতায় আমাদের অফিসে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণ করেছে। সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী বলেন, এ ঘটনায় আমি মোটেও জড়িত নই। যখন এ ঘটনা ঘটে তখন থানার ওসি সাহেবের ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেই। এর বেশি কিছু নয়। পাবনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি ঝামেলা চলে আসছিল। শনিবার রাতে দোকান ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনও পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনগত্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইন জুয়ায় গাড়ি-বাড়ি হারিয়ে যুবকের দুধ দিয়ে তওবার গোসল

জামায়াতের অফিসে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০৮:২৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আধিপত্য বিস্তারের জেরে পাবনা সদর উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় জামায়াত সমর্থিত কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ী এলাকার তিন নাম্বার ওয়ার্ড কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে পাবনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবির হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামি উজ্জ্বল হোসেনসহ সাতজন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টার দিকে ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ জনের অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী কুমারগাড়ি এলাকায় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা একটি মুদি দোকান ও অটোরিকশা গ্যারেজ ভাঙচুর লুটপাট করে। এছাড়া একটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

এরপর তারা পাবনা পৌর জামায়াতের ইঞ্জিনিয়ার ফোরামের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ করিমসহ বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ ও জাহিদুল ইসলামের ফেস্টুন পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।

ভুক্তভোগী জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ করিমের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি নেতা ইয়াকুব আলী, মাহমুদুল হাসান, আবির হোসেনসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা দখলদারিত্ব, আধিপত্য বিস্তার, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। তারই ধারাবাহিতকতায় আমাদের অফিসে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণ করেছে। সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী বলেন, এ ঘটনায় আমি মোটেও জড়িত নই। যখন এ ঘটনা ঘটে তখন থানার ওসি সাহেবের ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেই। এর বেশি কিছু নয়। পাবনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি ঝামেলা চলে আসছিল। শনিবার রাতে দোকান ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনও পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনগত্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।