ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যাত্রাবাড়ীতে পুলিশকে ছুরি মেরে মানিব্যাগ-ফোন ছিনতাই Logo অবশেষে নিউজিল্যান্ড দলে ফিরেছেন কেন উইলিয়ামসন Logo আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠকে ইসি Logo নাহিদের কাছ থেকে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য জাতি আশা করে না: জামায়াত Logo জামায়াতের কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই: রুমিন ফারহানা Logo জোবায়েদকে পছন্দ করতেন ছাত্রী, প্রেমিক জেনে যাওয়ায় খুন Logo ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে জামায়াত আমিরের ঢাকা ত্যাগ Logo শান্তিচুক্তিকে উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা Logo ফরিদগঞ্জে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপনকে ঘিরে উত্তেজনা, থানায় অভিযোগ Logo গুলশানে বিএনপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, মোবাইল ভাঙচুর

টুয়াখালীতে আ.লীগ নেতাকে পাশে বসিয়ে জেলা প্রশাসকের ডায়াবেটিস চিহ্নিতকরণ সভা

টুয়াখালীতে তারুণ্য উৎসব উপলক্ষ্যে ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে ‘ডায়াবেটিস চিহ্নিতকরণ’ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের এক নেতার উপস্থিতি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জেলা প্রশাসক, জেলা বিএনপির আহ্বায়কের সঙ্গে অতিথির চেয়ারে ছিলেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. শফিকুর রহমান (চাঁন মিয়া)।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে পটুয়াখালী ডায়াবেটিক হাসপাতালে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। শফিকুর রহমান চাঁন পটুয়াখালী চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি এবং জেলা আ.লীগের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের ডানে ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মো. কবির হাসান, তার পাশে ছিলেন পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাক আহমেদ পিনু এবং সর্বশেষ পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রশিদ চুন্নু মিয়া। জেলা প্রশাসকের বায়ে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) যাদব সরকার এবং তার বায়ে ছিলেন জেলা আ.লীগের সদস্য (তালিকায় ১৭ নম্বর) মো. শফিকুর রহমান (চাঁন)।

অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই শুরু হয় বিতর্ক। একদিকে, আ. লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা বিএনপি নেতাদের পাশে বসে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠছে। অন্যদিকে, সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের অবস্থান নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।

৫ আগস্ট পরবর্তী আ. লীগের নেতৃস্থানীয় অধিকাংশ নেতারা পলাতক কিংবা আত্মগোপনে থাকলেও জেলা আ.লীগের বেশ কিছু নেতা এখনও জেলা শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে বিএনপির একটি পক্ষ এসব নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন।

ডায়াবেটিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমিতির আজীবন সদস্য হওয়ার কারণেই শফিকুর রহমান চাঁনকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) যাদব সরকার বলেন, তিনি (শফিকুর রহমান চাঁন) কীভাবে পাশে বসলেন, তা বলতে পারবো না। আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল, আমরা সেখানে গিয়ে বসেছি। আয়োজকরা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর শিকদার বলেন, ‘অনুষ্ঠানে যারা ছিলেন, তারা সবাই সমিতির আজীবন সদস্য। এখানে প্রধান অতিথি বা বিশেষ অতিথির কোনো ব্যবস্থা ছিল না, ডিসি স্যার সভাপতি ছিলেন। তবে কেউ চেয়ারে বসলে তাকে উঠিয়ে দেওয়া সম্ভব না।’

আওয়ামী লীগ নেতার এই উপস্থিতি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। কেউ কেউ বলছেন, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে একই মঞ্চে বসার ঘটনা দলীয় আদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

যাত্রাবাড়ীতে পুলিশকে ছুরি মেরে মানিব্যাগ-ফোন ছিনতাই

টুয়াখালীতে আ.লীগ নেতাকে পাশে বসিয়ে জেলা প্রশাসকের ডায়াবেটিস চিহ্নিতকরণ সভা

আপডেট সময় ০৯:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টুয়াখালীতে তারুণ্য উৎসব উপলক্ষ্যে ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে ‘ডায়াবেটিস চিহ্নিতকরণ’ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের এক নেতার উপস্থিতি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জেলা প্রশাসক, জেলা বিএনপির আহ্বায়কের সঙ্গে অতিথির চেয়ারে ছিলেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. শফিকুর রহমান (চাঁন মিয়া)।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে পটুয়াখালী ডায়াবেটিক হাসপাতালে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। শফিকুর রহমান চাঁন পটুয়াখালী চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি এবং জেলা আ.লীগের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের ডানে ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মো. কবির হাসান, তার পাশে ছিলেন পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাক আহমেদ পিনু এবং সর্বশেষ পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রশিদ চুন্নু মিয়া। জেলা প্রশাসকের বায়ে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) যাদব সরকার এবং তার বায়ে ছিলেন জেলা আ.লীগের সদস্য (তালিকায় ১৭ নম্বর) মো. শফিকুর রহমান (চাঁন)।

অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই শুরু হয় বিতর্ক। একদিকে, আ. লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা বিএনপি নেতাদের পাশে বসে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠছে। অন্যদিকে, সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের অবস্থান নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।

৫ আগস্ট পরবর্তী আ. লীগের নেতৃস্থানীয় অধিকাংশ নেতারা পলাতক কিংবা আত্মগোপনে থাকলেও জেলা আ.লীগের বেশ কিছু নেতা এখনও জেলা শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে বিএনপির একটি পক্ষ এসব নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন।

ডায়াবেটিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমিতির আজীবন সদস্য হওয়ার কারণেই শফিকুর রহমান চাঁনকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) যাদব সরকার বলেন, তিনি (শফিকুর রহমান চাঁন) কীভাবে পাশে বসলেন, তা বলতে পারবো না। আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল, আমরা সেখানে গিয়ে বসেছি। আয়োজকরা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর শিকদার বলেন, ‘অনুষ্ঠানে যারা ছিলেন, তারা সবাই সমিতির আজীবন সদস্য। এখানে প্রধান অতিথি বা বিশেষ অতিথির কোনো ব্যবস্থা ছিল না, ডিসি স্যার সভাপতি ছিলেন। তবে কেউ চেয়ারে বসলে তাকে উঠিয়ে দেওয়া সম্ভব না।’

আওয়ামী লীগ নেতার এই উপস্থিতি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। কেউ কেউ বলছেন, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে একই মঞ্চে বসার ঘটনা দলীয় আদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।