ঢাকা ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আফগানদের বিদায়, বাংলাদেশকে নিয়েই সুপার ফোরে লঙ্কানরা Logo ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার Logo বড় সংগ্রহ আফগানদের, বাংলাদেশের সুপার ফোরের আশা ভাঙার পথে Logo কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি: মির্জা ফখরুল Logo নওগাঁয় ভুয়া ৪ পুলিশ সদস্যসহ গ্রেফতার ৬ Logo চাকসু নির্বাচনে “সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট” নামে ছাত্রশিবিরের পূর্নাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা Logo দুই দিনে ভারতে ৫৬.২৫ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি Logo ন্যাটোর হুমকির পর সামরিক পোশাকে যুদ্ধের ময়দানে পুতিন! Logo ফরিদপুরের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কিশোর-তরুণদের নাচানাচির ভিডিও ভাইরাল Logo বিজিবিতে চাকরি পেলেন বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর ভাই

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ‘হাসিনার পালানো’ নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্ন

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ‘হাসিনার পালানো’ নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্ন

ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পালানো ও ভারতের আশ্রয় নেয়ার বিষয়টি নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষায় বিতর্কিত প্রশ্ন করা হয়েছে। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে সমালোচনা।

প্রশ্নপত্রে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘২০২৪ সালে ভারতের কোন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেন?’ এটি ছিল ‘বিশ্বয়ানের পৃথিবীতে ভারতের পররাষ্ট্র নীতি’ সংক্রান্ত বিষয়ের প্রশ্ন।

এই প্রশ্নটি নিয়ে তৈরি হয়েছে সমালোচনা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রশ্নটি সম্পূর্ণ ভুল হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হলো তাদের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনা ছিল সরকার প্রধান। এছাড়া এতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের কথা বলা হয়েছে। ভারত হাসিনাকে এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়নি। এমন বিতর্কিত প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করতে পারে। এটি অগ্রহণযোগ্য।’

তবে শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিতর্কিত প্রশ্ন করা হয়েছে কি না সেটিও দেখার বিষয় বলে জানিয়েছেন সাবেক এই ভিসি। তিনি বলেছেন, ‘এটি কী সাধারণ একটি ভুল ছিল নাকি? ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল প্রশ্ন করা হয়েছে।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর সমীর কুমার দাস বলেছেন, এটি একটি সাধারণ জ্ঞানের ‘সাধারণ’ প্রশ্ন। তবে প্রশ্নে রাজনৈতিক আশ্রয় থাকার বিষয়টিতে তিনি খুশি হতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘যদি প্রশ্নে রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়ে থাকে, তাহলে দেখতে হবে এটি আমাদের কূটনৈতিক কথাবার্তার সাথে যায় কি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজি বোর্ডের এক সদস্য বলেছেন, শিক্ষকরা প্রশ্নটি নিয়ে আলোচনা করছেন। কিন্তু কেউ এ ব্যাপারে লিখিত দেননি। তিনি জানিয়েছেন, পরীক্ষার জন্য তিন সেট প্রশ্ন তৈরি ও একটি চূড়ান্ত করা হয়। যদি কেউ এটি আগে বলতো তাহলে বৈঠকে এ নিয়ে সূক্ষ্ম আলোচনা করা যেত।

জনপ্রিয় সংবাদ

আফগানদের বিদায়, বাংলাদেশকে নিয়েই সুপার ফোরে লঙ্কানরা

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ‘হাসিনার পালানো’ নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্ন

আপডেট সময় ০৯:৫২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পালানো ও ভারতের আশ্রয় নেয়ার বিষয়টি নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষায় বিতর্কিত প্রশ্ন করা হয়েছে। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে সমালোচনা।

প্রশ্নপত্রে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘২০২৪ সালে ভারতের কোন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেন?’ এটি ছিল ‘বিশ্বয়ানের পৃথিবীতে ভারতের পররাষ্ট্র নীতি’ সংক্রান্ত বিষয়ের প্রশ্ন।

এই প্রশ্নটি নিয়ে তৈরি হয়েছে সমালোচনা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রশ্নটি সম্পূর্ণ ভুল হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হলো তাদের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনা ছিল সরকার প্রধান। এছাড়া এতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের কথা বলা হয়েছে। ভারত হাসিনাকে এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়নি। এমন বিতর্কিত প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করতে পারে। এটি অগ্রহণযোগ্য।’

তবে শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিতর্কিত প্রশ্ন করা হয়েছে কি না সেটিও দেখার বিষয় বলে জানিয়েছেন সাবেক এই ভিসি। তিনি বলেছেন, ‘এটি কী সাধারণ একটি ভুল ছিল নাকি? ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল প্রশ্ন করা হয়েছে।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর সমীর কুমার দাস বলেছেন, এটি একটি সাধারণ জ্ঞানের ‘সাধারণ’ প্রশ্ন। তবে প্রশ্নে রাজনৈতিক আশ্রয় থাকার বিষয়টিতে তিনি খুশি হতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘যদি প্রশ্নে রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়ে থাকে, তাহলে দেখতে হবে এটি আমাদের কূটনৈতিক কথাবার্তার সাথে যায় কি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজি বোর্ডের এক সদস্য বলেছেন, শিক্ষকরা প্রশ্নটি নিয়ে আলোচনা করছেন। কিন্তু কেউ এ ব্যাপারে লিখিত দেননি। তিনি জানিয়েছেন, পরীক্ষার জন্য তিন সেট প্রশ্ন তৈরি ও একটি চূড়ান্ত করা হয়। যদি কেউ এটি আগে বলতো তাহলে বৈঠকে এ নিয়ে সূক্ষ্ম আলোচনা করা যেত।