ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুন্সিগঞ্জে স্কুলের পরিত্যক্ত কক্ষের সামনে থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার Logo আ’লীগকে ফেলে দিতে যা দরকার ছিল, সব করেছি Logo ‌‌‌‌‌‌‌‘আল্লাহ আপনাদের বিচার করবেন’ Logo বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি সুমন,সেক্রেটারি রাকিব Logo যারা মাদরাসা শিক্ষার টুটি ধরতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে Logo নোয়াখালীতে বন্যার্তদের সহযোগিতায় হেল্পলাইন চালু করলো ছাত্রশিবির Logo এডমিট কার্ডে একাধিক বিষয়ে ভুল, আশুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৮৬ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত Logo দোহারে ডাকাতির মামলার ০৪ জন আসামী গ্রেফতার Logo গোবিন্দগঞ্জে গভীর রাতে যৌথ অভিযানে ১০ জুয়াড়ি আটক Logo অনুপ্রবেশের দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার

আরও ৩৬৯ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েল

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে আজ শনিবার আরও ৩৬৯ জন কারাবন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েলের সরকার। বিনিময়ে ৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস।

হামাসের সামরিক বিভাগ আল কাসেম ব্রিগেড এবং ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা প্যালেস্টাইনিয়ান প্রিজনার্স মিডিয়া অফিস পৃথক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। প্রিজনার্স মিডিয়া অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার মুক্তির অপেক্ষা থাকা কারাবন্দিদের মধ্যে ৩৩৩ জনই গাজার বাসিন্দা। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের। বাকি ৩৬ জন যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজাপ্রাপ্ত।

এই ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দির বিনিয়ে যে ৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি পাচ্ছেন আজ, তাদের নাম গতকালই ইসরায়েলের সরকারের কাছে পাঠিয়েছে হামাস। এই জিম্মিরা হলেন সাশা ত্রোউফানভ, সাগুই দেকেল-শেন এবং আয়ার হর্ন। ২০২৩ সালে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যে আড়াই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে এসেছিল হামাস, তাদের মধ্যে এরাও ছিলেন।

আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র হাজেম কাসেম তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন, এই মুক্তি প্রক্রিয়া ‘যথাযথ পদ্ধতিতে’ হবে, যা ফিলিস্তিনের ‘সংস্কৃতি এবং ইসলামের শিক্ষার’ প্রতিফলন ঘটাবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভূখণ্ডে ঢুকে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা করে হামাসের যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায়ে ২৫১ জনকে। হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। টানা ১৫ মাস ধরে চলা সেই অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন ৪৮ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজারেরও বেশি এবং পুরোপুরি ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।

যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীদের ব্যাপক চাপে অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস এবং ইসরায়েল। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে গত ৫ দফায় মোট ১৬ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল, বিনিময়ে ৭৬৬ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সিগঞ্জে স্কুলের পরিত্যক্ত কক্ষের সামনে থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার

আরও ৩৬৯ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েল

আপডেট সময় ০৯:৫৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে আজ শনিবার আরও ৩৬৯ জন কারাবন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েলের সরকার। বিনিময়ে ৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস।

হামাসের সামরিক বিভাগ আল কাসেম ব্রিগেড এবং ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা প্যালেস্টাইনিয়ান প্রিজনার্স মিডিয়া অফিস পৃথক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। প্রিজনার্স মিডিয়া অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার মুক্তির অপেক্ষা থাকা কারাবন্দিদের মধ্যে ৩৩৩ জনই গাজার বাসিন্দা। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের। বাকি ৩৬ জন যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজাপ্রাপ্ত।

এই ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দির বিনিয়ে যে ৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি পাচ্ছেন আজ, তাদের নাম গতকালই ইসরায়েলের সরকারের কাছে পাঠিয়েছে হামাস। এই জিম্মিরা হলেন সাশা ত্রোউফানভ, সাগুই দেকেল-শেন এবং আয়ার হর্ন। ২০২৩ সালে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যে আড়াই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে এসেছিল হামাস, তাদের মধ্যে এরাও ছিলেন।

আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র হাজেম কাসেম তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন, এই মুক্তি প্রক্রিয়া ‘যথাযথ পদ্ধতিতে’ হবে, যা ফিলিস্তিনের ‘সংস্কৃতি এবং ইসলামের শিক্ষার’ প্রতিফলন ঘটাবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভূখণ্ডে ঢুকে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা করে হামাসের যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায়ে ২৫১ জনকে। হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। টানা ১৫ মাস ধরে চলা সেই অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন ৪৮ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজারেরও বেশি এবং পুরোপুরি ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।

যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীদের ব্যাপক চাপে অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস এবং ইসরায়েল। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে গত ৫ দফায় মোট ১৬ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল, বিনিময়ে ৭৬৬ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।