গাজীপুর নগরের ধীরাশ্রম দাক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলায় আহত আবুল কাশেম (২০) মারা গেছেন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। গাজীপুর বোর্ডবাজার এলাকার মৃত জামাল হাজীর ছেলে আবুল কাশেম।
এদিকে আবুল কাশেমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘গাজীপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত কাশেম শহীদ হয়ে গেছেন। প্রতিবিপ্লবের প্রথম শহীদ আমার এই ভাই। ইন্টেরিম, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো, করতে হবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড ধীরাশ্রম দাক্ষিণখান এলাকায় মোজাম্মেল হকের বাড়িতে বৈষমবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা হয়। এ সময় মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। মাইকিং শুনে বাড়িটি ঘিরে লোকজন জড়ো হন। তাদের অনেকের হাতে রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ছিল।
এলাকাবাসী জানান, রাত ১০টার দিকে মোজাম্মেল হকের বাড়ি থেকে ডাকাত-ডাকাত চিৎকার শোনা যায়। মসজিদের মাইকেও ডাকাত পড়ার কথা ঘোষণা করা হয়। এলাকাবাসী বের হয়ে ধাওয়া দিলে অনেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। কয়েকজন ধরা পড়েন। এলাকাবাসী তাদেরকে মারধর করেন। এতে ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদেরই একজন ছিলেন কাসেম।