ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাসে আগুন, ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা গেল হেলপার

নিহত হেলপার সাহাবির মিয়া (১৪) লৌহজং উপজেলার পালগাঁও পাঠানবাড়িরমুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও বাজার ব্রিজের ওপরে পার্কিং করা গাংচিল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে গাড়ির ভেতরে ঘুমন্ত অবস্থায় হেলপারের পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। সোহেল মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা বলেন,রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ বাসে আগুন দেখতে পান তারা।হেলপার

ফায়ার সার্ভিস জানায়, মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এসময় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে টঙ্গিবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত সেটি এখনো জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

নিহতের মা মুন্নী বেগম বলেন, আমার স্বামী নেশা-পানি করে। আমার ও আমার সন্তানদের কোনো খোঁজখবর নেয় না। আগে আমার ছেলেটাকে বোরকার কাজে দিয়েছিলাম। এখন দুই বছর যাবত গাড়ির কাজ করে। আগে অন্য জায়গায় কাজ করত। এক বছর ধরে এখানে গাড়িতে কাজ করছে। রাতে ও গাড়িতেই ঘুমাত। মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসত। ও-ই আমাদের আয় করে খাওয়াত বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

নিহতের নানা মুজিবুর পাঠান বলেন, আমার নাতিটা আয় করে সংসার চালাত। মেয়ে জামাই কোনো খোঁজখবর নেয় না। ওর ছোট একটা বোন আছে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সংসারের সব খরচ ও-ই দিত। তিনদিন আগে বাড়ি থেকে বের হয় সাহাবির। সারাদিন গাড়িতে হেলপারি করে রাতে গাড়িতেই ঘুমাত। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার পরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। এখন টঙ্গিবাড়ী থানায় আছি।

এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাসে আগুন, ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা গেল হেলপার

বাসে আগুন, ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা গেল হেলপার

আপডেট সময় ১০:৪০:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিহত হেলপার সাহাবির মিয়া (১৪) লৌহজং উপজেলার পালগাঁও পাঠানবাড়িরমুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও বাজার ব্রিজের ওপরে পার্কিং করা গাংচিল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে গাড়ির ভেতরে ঘুমন্ত অবস্থায় হেলপারের পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। সোহেল মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা বলেন,রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ বাসে আগুন দেখতে পান তারা।হেলপার

ফায়ার সার্ভিস জানায়, মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এসময় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে টঙ্গিবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত সেটি এখনো জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

নিহতের মা মুন্নী বেগম বলেন, আমার স্বামী নেশা-পানি করে। আমার ও আমার সন্তানদের কোনো খোঁজখবর নেয় না। আগে আমার ছেলেটাকে বোরকার কাজে দিয়েছিলাম। এখন দুই বছর যাবত গাড়ির কাজ করে। আগে অন্য জায়গায় কাজ করত। এক বছর ধরে এখানে গাড়িতে কাজ করছে। রাতে ও গাড়িতেই ঘুমাত। মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসত। ও-ই আমাদের আয় করে খাওয়াত বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

নিহতের নানা মুজিবুর পাঠান বলেন, আমার নাতিটা আয় করে সংসার চালাত। মেয়ে জামাই কোনো খোঁজখবর নেয় না। ওর ছোট একটা বোন আছে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সংসারের সব খরচ ও-ই দিত। তিনদিন আগে বাড়ি থেকে বের হয় সাহাবির। সারাদিন গাড়িতে হেলপারি করে রাতে গাড়িতেই ঘুমাত। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার পরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। এখন টঙ্গিবাড়ী থানায় আছি।

এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।