ঢাকা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

দুর্নীতিতে ১৪তম বাংলা‌দেশ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:২৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 0 Views

মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০২৪’ প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম। এক বছর আগে ১০ম স্থা‌নে ছিল বাংলাদেশ।

এবার দুর্নীতি সূচকে বাংলাদেশের চার ধাপ এগিয়ে যাওয়ার কারণ দুর্নীতি কমে যাওয়া নয়; বরং বাংলাদেশ আরো কম নম্বর পেয়েছে। ২০২৩ সালে ১০০-এর মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৪, ২০২৪ সালে পেয়েছে ২৩। এর মানে—দুর্নীতি বাড়ায় বাংলাদেশের স্কোর ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে এক কমেছে। কিন্তু, অন্য চারটি দেশে আরো বেশি দুর্নীতি হওয়ায় সূচকে চার ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।

২০২৪ সালে ডেনমার্কে সবচেয়ে কম দুর্নীতি হয়েছে এবং সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে দক্ষিণ সুদানে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেসি ইন্টারন্যাশনালের ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২৪’ প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান উল্লিখিত তথ্যগুলো তুলে ধরেন।

২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের তথ্যের ভিত্তিতে এ সূচক তৈরি করা হয়েছে। দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) অনুযায়ী, দুর্নীতির ধারণার মাত্রাকে ০ থেকে ১০০-এর স্কেলে নির্ধারণ করা হয়। এ পদ্ধতি অনুসারে স্কেলের ০ স্কোরকে দুর্নীতির ব্যাপকতা সর্বোচ্চ এবং ১০০ স্কোরকে দুর্নীতির ব্যাপকতা সর্বনিম্ন বলে ধারণা করা হয়।

২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে দক্ষিণ সুদানে। দেশটির স্কোর ১০০–এর মধ্যে ৮। তারপর সর্বোচ্চ দুর্নীতি মাত্রা সোমালিয়া, ভেনেজুয়েলা ও সিরিয়ায়।

সিপিআই অনুযায়ী, ১০০–এর মধ্যে ৯০ স্কোর পেয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ডেনমার্ক। অর্থাৎ ১৯০টি দেশের মধ্যে ডেনমার্কে সবচেয়ে কম দুর্নীতি হয়। তারপর সবচেয়ে কম দুর্নীতি থাকা দেশগুলোর মধ্যে ৮৮ স্কোর নিয়ে ফিনল্যান্ড দ্বিতীয়, ৮৪ স্কোর নিয়ে সিঙ্গাপুর তৃতীয়, ৮৩ স্কোর নিয়ে নিউজিল্যান্ড চতুর্থ এবং ৮১ স্কোর নিয়ে যৌথভাবে লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড পঞ্চম স্থানে আছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম দুর্নীতি হয় ভুটানে। ১০০–এর মধ্যে ৭২ স্কোর নিয়ে তাদের অবস্থান ১৮তম। দেশটিতে ২০২৩ সালের তুলনায়ও দুর্নীতি কমেছে। ভুটানের ধারে-কাছে নেই দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো। ভুটান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশেই গত বছর দুর্নীতি বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে আফগানিস্তানের পরই বাংলাদেশে দুর্নীতির মাত্রা সবচেয়ে বেশি।

সিপিআই অনুসারে, ১০০ স্কোরের মধ্যে বৈশ্বিক গড় স্কোর ৪৩। অর্থাৎ বৈশ্বিক গড় স্কোরের তুলনায় বাংলাদেশ পেয়েছে প্রায় অর্ধেক। কেবল তা-ই নয়, গত ১৩ বছরের মধ্যে এবার সর্বনিম্ন স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ।

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটের জকিগঞ্জে পুকুর থেকে শিবিরকর্মী রিয়াজের লাশ উদ্ধার

দুর্নীতিতে ১৪তম বাংলা‌দেশ

আপডেট সময় ০৮:২৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০২৪’ প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম। এক বছর আগে ১০ম স্থা‌নে ছিল বাংলাদেশ।

এবার দুর্নীতি সূচকে বাংলাদেশের চার ধাপ এগিয়ে যাওয়ার কারণ দুর্নীতি কমে যাওয়া নয়; বরং বাংলাদেশ আরো কম নম্বর পেয়েছে। ২০২৩ সালে ১০০-এর মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৪, ২০২৪ সালে পেয়েছে ২৩। এর মানে—দুর্নীতি বাড়ায় বাংলাদেশের স্কোর ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে এক কমেছে। কিন্তু, অন্য চারটি দেশে আরো বেশি দুর্নীতি হওয়ায় সূচকে চার ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।

২০২৪ সালে ডেনমার্কে সবচেয়ে কম দুর্নীতি হয়েছে এবং সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে দক্ষিণ সুদানে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেসি ইন্টারন্যাশনালের ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২৪’ প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান উল্লিখিত তথ্যগুলো তুলে ধরেন।

২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের তথ্যের ভিত্তিতে এ সূচক তৈরি করা হয়েছে। দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) অনুযায়ী, দুর্নীতির ধারণার মাত্রাকে ০ থেকে ১০০-এর স্কেলে নির্ধারণ করা হয়। এ পদ্ধতি অনুসারে স্কেলের ০ স্কোরকে দুর্নীতির ব্যাপকতা সর্বোচ্চ এবং ১০০ স্কোরকে দুর্নীতির ব্যাপকতা সর্বনিম্ন বলে ধারণা করা হয়।

২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে দক্ষিণ সুদানে। দেশটির স্কোর ১০০–এর মধ্যে ৮। তারপর সর্বোচ্চ দুর্নীতি মাত্রা সোমালিয়া, ভেনেজুয়েলা ও সিরিয়ায়।

সিপিআই অনুযায়ী, ১০০–এর মধ্যে ৯০ স্কোর পেয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ডেনমার্ক। অর্থাৎ ১৯০টি দেশের মধ্যে ডেনমার্কে সবচেয়ে কম দুর্নীতি হয়। তারপর সবচেয়ে কম দুর্নীতি থাকা দেশগুলোর মধ্যে ৮৮ স্কোর নিয়ে ফিনল্যান্ড দ্বিতীয়, ৮৪ স্কোর নিয়ে সিঙ্গাপুর তৃতীয়, ৮৩ স্কোর নিয়ে নিউজিল্যান্ড চতুর্থ এবং ৮১ স্কোর নিয়ে যৌথভাবে লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড পঞ্চম স্থানে আছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম দুর্নীতি হয় ভুটানে। ১০০–এর মধ্যে ৭২ স্কোর নিয়ে তাদের অবস্থান ১৮তম। দেশটিতে ২০২৩ সালের তুলনায়ও দুর্নীতি কমেছে। ভুটানের ধারে-কাছে নেই দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো। ভুটান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশেই গত বছর দুর্নীতি বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে আফগানিস্তানের পরই বাংলাদেশে দুর্নীতির মাত্রা সবচেয়ে বেশি।

সিপিআই অনুসারে, ১০০ স্কোরের মধ্যে বৈশ্বিক গড় স্কোর ৪৩। অর্থাৎ বৈশ্বিক গড় স্কোরের তুলনায় বাংলাদেশ পেয়েছে প্রায় অর্ধেক। কেবল তা-ই নয়, গত ১৩ বছরের মধ্যে এবার সর্বনিম্ন স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ।