ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo কামিন্দুর ফিফটিতে ১৩৩ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি লঙ্কানদের Logo বসতবাড়িতে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ, আহত ৩ Logo এই সময় -কে সাক্ষাৎকার বিতর্কের মধ্যেই মির্জা ফখরুল-অনমিত্রের ছবি প্রকাশ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি Logo জবি ছাত্রদলের উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ বিতরণ Logo বিএনপি ভারতমুখী হলে আমরা তাদের উচিত শিক্ষা দেব: নাসীরুদ্দীন Logo গালির জবাবে দোয়া হবে আমাদের কর্মসূচি : জামায়াত আমির Logo জামায়াতকে আর মাথায় উঠতে দেব না, ভারতীয় মিডিয়াকে মির্জা ফখরুল Logo নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার দাবি জামায়াতের

জয় বাংলা স্লোগান ও তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি, বইমেলায় হট্টগোল

জয় বাংলা স্লোগান ও তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি, বইমেলায় হট্টগোল

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় বইমেলায় আগত দর্শনার্থীদের রোষানলে পড়েছেন শতাব্দী ভব নামের একজন লেখক। পরে দর্শনার্থীদের ক্ষোভ কমাতে পুলিশের সাহায্যে তাকে বইমেলা থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং সব্যসাচী স্টল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সব্যসাচী স্টল থেকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে একদল শিক্ষার্থীর রোষানলে পড়েন তিনি।

এ সময় দর্শনার্থীরা ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, বাংলাদেশে হবে না’; ‘স্বৈরাচারের দালালেররা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

একপর্যায়ে পুলিশ সরিয়ে নিতে এলে দর্শনার্থীরা লেখকের উদ্দেশ্যে ধর ধর, মার তাকে— বলে চিৎকার করতে থাকেন। পরে পুলিশ তাকে বইমেলা থেকে বের করে নিয়ে যায়। এর আগে সবাই তাকে কানে ধরে ক্ষমা চাইতেও বলেন। একপর্যায়ে তিনি দুই হাত একত্রে করে দর্শনার্থীদের কাছে ক্ষমা চান। শতাব্দী ভব আওয়ামীপন্থি লেখক হিসেবে পরিচিত। মূলত তসলিমা নাসরিনের একটি বই প্রদর্শন ঘিরে সব্যসাচী স্টলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, একদল শিক্ষার্থী সব্যসাচী স্টলে তসলিমা নাসরীনের বই বিক্রি করা দেখে সেখানে ভিড় করেন। শতাব্দী ভব নামে ওই লেখক তখন সেখানেই বসে ছিলেন। তসলিমা নাসরীনের বই বিক্রি কেন করছেন— শিক্ষার্থীরা জানতে চাইলে তাদেরকে জঙ্গী বলেন এ লেখক। একপর্যায়ে জয় বাংলা স্লোগান দিলে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে মারতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় এবং তাকে নিয়ে চলে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী আরমান বলেন, আমরা এখানে এসে দেখতে পেয়েছি সব্যসাচী স্টলে ওপেনে তসলিমা নাসরীনের বই বিক্রি করছে। পরবর্তী সময়ে আমরা কারণ জানতে চাইলে ওই লোক আমাদেরকে জঙ্গী বলে এবং জয় বাংলা স্লোগান দেয়।

শিক্ষার্থী ইমরান নাজির বলেন, শিক্ষার্থীরা ওই লোককে মারতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় এবং তাকে নিয়ে বইমেলার বাইরে চলে যায়। এ সময় লেখক উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চান। পরে বইমেলার সব্যসাচী স্টলটি বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

জয় বাংলা স্লোগান ও তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি, বইমেলায় হট্টগোল

আপডেট সময় ০৮:৩৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় বইমেলায় আগত দর্শনার্থীদের রোষানলে পড়েছেন শতাব্দী ভব নামের একজন লেখক। পরে দর্শনার্থীদের ক্ষোভ কমাতে পুলিশের সাহায্যে তাকে বইমেলা থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং সব্যসাচী স্টল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সব্যসাচী স্টল থেকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে একদল শিক্ষার্থীর রোষানলে পড়েন তিনি।

এ সময় দর্শনার্থীরা ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, বাংলাদেশে হবে না’; ‘স্বৈরাচারের দালালেররা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

একপর্যায়ে পুলিশ সরিয়ে নিতে এলে দর্শনার্থীরা লেখকের উদ্দেশ্যে ধর ধর, মার তাকে— বলে চিৎকার করতে থাকেন। পরে পুলিশ তাকে বইমেলা থেকে বের করে নিয়ে যায়। এর আগে সবাই তাকে কানে ধরে ক্ষমা চাইতেও বলেন। একপর্যায়ে তিনি দুই হাত একত্রে করে দর্শনার্থীদের কাছে ক্ষমা চান। শতাব্দী ভব আওয়ামীপন্থি লেখক হিসেবে পরিচিত। মূলত তসলিমা নাসরিনের একটি বই প্রদর্শন ঘিরে সব্যসাচী স্টলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, একদল শিক্ষার্থী সব্যসাচী স্টলে তসলিমা নাসরীনের বই বিক্রি করা দেখে সেখানে ভিড় করেন। শতাব্দী ভব নামে ওই লেখক তখন সেখানেই বসে ছিলেন। তসলিমা নাসরীনের বই বিক্রি কেন করছেন— শিক্ষার্থীরা জানতে চাইলে তাদেরকে জঙ্গী বলেন এ লেখক। একপর্যায়ে জয় বাংলা স্লোগান দিলে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে মারতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় এবং তাকে নিয়ে চলে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী আরমান বলেন, আমরা এখানে এসে দেখতে পেয়েছি সব্যসাচী স্টলে ওপেনে তসলিমা নাসরীনের বই বিক্রি করছে। পরবর্তী সময়ে আমরা কারণ জানতে চাইলে ওই লোক আমাদেরকে জঙ্গী বলে এবং জয় বাংলা স্লোগান দেয়।

শিক্ষার্থী ইমরান নাজির বলেন, শিক্ষার্থীরা ওই লোককে মারতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় এবং তাকে নিয়ে বইমেলার বাইরে চলে যায়। এ সময় লেখক উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চান। পরে বইমেলার সব্যসাচী স্টলটি বন্ধ করে দেয় পুলিশ।