ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হাসিনা বারোটা বাজিয়েছে, এ সরকার চব্বিশটা বাজায়ে দিসে: মির্জা আব্বাস Logo প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে টাইফয়েডের টিকা পাবে ৫ কোটি শিশু Logo কুষ্টিয়ায় জামায়াতের রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo ডাকাতির চেষ্টায় গণপিটুনির শিকার সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার Logo জবির আইইআর-এ র‌্যাগিং, ১০ দিনেও উদ্যোগহীন পরিচালক; আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগীরা Logo ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন : সিইসি Logo নাটোরে মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে অন্যতম আসামি স্বাধীন Logo আগামীর কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জুলাই মঞ্চ লক্ষ্মীপুরের আলোচনা সভা Logo আগামীর সংবিধানে ইসলামী শ্রমনীতি অন্তর্ভুক্তির বিকল্প নেই

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৯০

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৯০

ফেনীর দাগনভূঞায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৯০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ রোড ও চৌমুহনী রোডে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে দেড় মাস ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই ও দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন এবং জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। রবিবার আকবর হোসেনের অনুসারী ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ একটি মিছিল বের করলে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের অনুসারীরা বাধা দেন। পরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। গজারিয়া রোড থেকে শুরু হয়ে দাগনভূঞা বাজার ও পরে ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ রোডে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ।

একপর্যায়ে কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক ঘটনাস্থলে এলে দুই পক্ষ আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে একটি মিছিল বের করেছিল। এতে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের নেতৃত্বে তার লোকজন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। পরে তারা জাবেদের বাড়িতে হামলা করেছে। হামলায় ছাত্রদল নেতা রাজিব, মানিক, জাবেদসহ অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’

উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইমুন হক রাজীব বলেন, ‘গাজীপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকালই আমাদের দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল হাসান জাবেদ একটি মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিল। সেই ঘোষণা অনুযায়ী আমরা সকালে মিছিল বের করতে গেলেই সন্ত্রাসী ফটিক বাহিনীর লোকজন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। পরবর্তীতে ফটিক নিজে এসে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে, বোমা নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়।’

জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির এ বিতর্কিত কমিটিকে কোনো কর্মসূচি পালন না করার জন্য জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা বারবার তা উপেক্ষা করছে। আজও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেনের লোকজন ছাত্রদলের ব্যানারে একটি মিছিল বের করলে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বাজারে তাদের বাধা দেয়। পরে তাদের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলা চালিয়ে আমাদের ৪০ জনের অধিক নেতাকর্মীদের আহত করেছে।’

আহতরা হলেন— রাজিব, মানিক, জাবেদ, মিরাজ, সোহেল, হৃদয়, সাদ্দাম, মামুন, পারভেজ, জিতু, জনিসহ অন্তত ৯০ জন। তারা স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনা বারোটা বাজিয়েছে, এ সরকার চব্বিশটা বাজায়ে দিসে: মির্জা আব্বাস

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৯০

আপডেট সময় ১১:২৮:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ফেনীর দাগনভূঞায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৯০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ রোড ও চৌমুহনী রোডে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে দেড় মাস ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই ও দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন এবং জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। রবিবার আকবর হোসেনের অনুসারী ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ একটি মিছিল বের করলে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের অনুসারীরা বাধা দেন। পরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। গজারিয়া রোড থেকে শুরু হয়ে দাগনভূঞা বাজার ও পরে ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ রোডে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ।

একপর্যায়ে কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক ঘটনাস্থলে এলে দুই পক্ষ আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে একটি মিছিল বের করেছিল। এতে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের নেতৃত্বে তার লোকজন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। পরে তারা জাবেদের বাড়িতে হামলা করেছে। হামলায় ছাত্রদল নেতা রাজিব, মানিক, জাবেদসহ অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’

উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইমুন হক রাজীব বলেন, ‘গাজীপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকালই আমাদের দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল হাসান জাবেদ একটি মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিল। সেই ঘোষণা অনুযায়ী আমরা সকালে মিছিল বের করতে গেলেই সন্ত্রাসী ফটিক বাহিনীর লোকজন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। পরবর্তীতে ফটিক নিজে এসে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে, বোমা নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়।’

জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির এ বিতর্কিত কমিটিকে কোনো কর্মসূচি পালন না করার জন্য জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা বারবার তা উপেক্ষা করছে। আজও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেনের লোকজন ছাত্রদলের ব্যানারে একটি মিছিল বের করলে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বাজারে তাদের বাধা দেয়। পরে তাদের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলা চালিয়ে আমাদের ৪০ জনের অধিক নেতাকর্মীদের আহত করেছে।’

আহতরা হলেন— রাজিব, মানিক, জাবেদ, মিরাজ, সোহেল, হৃদয়, সাদ্দাম, মামুন, পারভেজ, জিতু, জনিসহ অন্তত ৯০ জন। তারা স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।