ঢাকা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

পাকিস্তানের নৌ মহড়ায় অংশগ্রহণ বাংলাদেশসহ ৬০ দেশের

উত্তর আরব সাগরে পাকিস্তানের আয়োজনে নবম বহুজাতিক নৌ মহড়া ‘আমান-২৫’ শুরু হয়েছে। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৬০টি দেশের নৌবাহিনীর জাহাজ অংশ নিয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মহড়াটির মূল লক্ষ্য আন্তর্জাতিক সমুদ্র নিরাপত্তা জোরদার করা, সমুদ্রপথে শান্তি বজায় রাখা এবং অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নৌ মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বিদেশি নৌবাহিনীর জাহাজগুলোর মধ্যে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জাপান, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ পরিদর্শন করেন পাকিস্তানের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ।

এসময় তিনি বলেন, “আমান মহড়া শান্তির প্রতি পাকিস্তানের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে, আঞ্চলিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করে এবং আঞ্চলিক ও বহিরাঞ্চলের নৌবাহিনীর মধ্যে আন্তঃকার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।”

পাকিস্তানের নৌবাহিনীর প্রধান মহড়ায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশ, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জাপান, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ পরিদর্শনকালে পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কমান্ডিং অফিসাররাও উপস্থিত ছিলেন।

তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময়ে অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ বলেন, “পাকিস্তান সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং সমুদ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টায় বিশ্বাস করে। এই বিশ্বাস থেকে পাকিস্তান নৌবাহিনী আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা টহল (আরএমএসপি) এবং বহুজাতিক মহড়া ‘আমান’-এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় অবিরাম অবদান রাখছে।

নৌপ্রধান আস্থা প্রকাশ করে বলেন, আমান’র মাধ্যমে যে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব গড়ে উঠবে তা ভবিষ্যতেও বৃদ্ধি পাবে, যা তাদেরকে শান্তি ও সমৃদ্ধির অভিন্ন লক্ষ্যের আরো কাছে নিয়ে যাবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

পাকিস্তানের নৌ মহড়ায় অংশগ্রহণ বাংলাদেশসহ ৬০ দেশের

আপডেট সময় ০৭:১৮:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

উত্তর আরব সাগরে পাকিস্তানের আয়োজনে নবম বহুজাতিক নৌ মহড়া ‘আমান-২৫’ শুরু হয়েছে। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৬০টি দেশের নৌবাহিনীর জাহাজ অংশ নিয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মহড়াটির মূল লক্ষ্য আন্তর্জাতিক সমুদ্র নিরাপত্তা জোরদার করা, সমুদ্রপথে শান্তি বজায় রাখা এবং অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নৌ মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বিদেশি নৌবাহিনীর জাহাজগুলোর মধ্যে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জাপান, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ পরিদর্শন করেন পাকিস্তানের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ।

এসময় তিনি বলেন, “আমান মহড়া শান্তির প্রতি পাকিস্তানের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে, আঞ্চলিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করে এবং আঞ্চলিক ও বহিরাঞ্চলের নৌবাহিনীর মধ্যে আন্তঃকার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।”

পাকিস্তানের নৌবাহিনীর প্রধান মহড়ায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশ, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জাপান, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ পরিদর্শনকালে পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কমান্ডিং অফিসাররাও উপস্থিত ছিলেন।

তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময়ে অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ বলেন, “পাকিস্তান সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং সমুদ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টায় বিশ্বাস করে। এই বিশ্বাস থেকে পাকিস্তান নৌবাহিনী আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা টহল (আরএমএসপি) এবং বহুজাতিক মহড়া ‘আমান’-এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় অবিরাম অবদান রাখছে।

নৌপ্রধান আস্থা প্রকাশ করে বলেন, আমান’র মাধ্যমে যে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব গড়ে উঠবে তা ভবিষ্যতেও বৃদ্ধি পাবে, যা তাদেরকে শান্তি ও সমৃদ্ধির অভিন্ন লক্ষ্যের আরো কাছে নিয়ে যাবে।