চ্যাম্পিয়ন হতে শেষ ৬ বলে ৮ রান প্রয়োজন ছিল ফরচুন বরিশালের। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের আটকে দিতে শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন চিটাগাং কিংসের হুসাইন তালাত। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন রিশাদ। ফিরতি বলে এক রান নিয়ে ম্যাচকে সমতায় আনেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।
ম্যাচের চতুর্থ বল ওয়াইড দিলে ৩ বল হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন হয় বরিশাল। এর আগে মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল। জিতলেই শিরোপা ধরে রাখবে বরিশাল। চিটাগাং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সেই আনুষ্ঠানিকতাই সারল তামিম ইকবালের দল।
টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল। ফাইনালে জিততে রেকর্ড ১৯৫ রানের লক্ষ্য পায় বরিশাল। এর আগে ২০২৩ সালে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ১৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করে শিরোপা জিতেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে মিরপুরে আজ লক্ষ্যটা সহজ করে দেন তামিম।
চ্যাম্পিয়ন করতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গী করে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৬ রান তোলেন দলের অধিনায়ক। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস। ১৮৬.২০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজান ৯ চার ও ১ ছক্কায়।
তামিমকে আউট করেই চিটাগাংকে ম্যাচে ফেরান শরিফুল ইসলাম। নবমতম ওভারের চতুর্থ বলে ডেভিড মালানকেও ফেরান বাঁহাতি পেসার। এক ওভারে জোড়া উইকেট হারানো বরিশাল আরো বড় ধাক্কা খায় এক ওভার পরেই হৃদয় আউট হলে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের নায়ক আলিস আল ইসলামের বদলে ব্যাটার হিসেবে সুযোগ পাওয়া নাঈম ইসলাম ফেরান হৃদয়কে। ৩২ রান করা ওপেনারকেই শুধু ফেরাননি নাঈম মুশফিকুর রহিমকে (১৬) আউট করে চিটাগাংকে ম্যাচেও ফেরান অভিজ্ঞ অফস্পিনার।
অবশ্য কাইল মায়ার্সের শেষ দিকের ৪৬ রানের ঝোড়ো ব্যাটিং চিটাগাংকে প্রথম শিরোপা জিততে দেয়নি। যদিও জয় নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার মাঠ ছাড়তে পারেননি। জয়ের জন্য যখন দলের প্রয়োজন ২৩ রান তখন তাকে আউট করেন শরিফুল। এক বল পর মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদকে ফিরিয়ে ম্যাচের রোমাঞ্চ বাড়িয়ে দেন ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি পেসার।
তবে শেষ ১২ বলে ২০ রানের সমীকরণটা মিলিয়ে দেন রিশাদ। ৬ বলে ২ ছক্কায় ১৮ রানের ইনিংস খেলে। এতে চিটাগাংয়ের শিরোপা জয়ের অপেক্ষা আরো দীর্ঘ হলো। ১২ বছর পর দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠে এবারো হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো তাদের।