ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের Logo সাভারে বাড়ি ফেরার পথে ধ’র্ষ’ণে’র শিকার তরুণী, থানায় মামলা Logo ‘কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগামে হামলা কোনো সভ্য মানুষ করতে পারে না’ Logo নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের উপর যুবদলের হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ Logo শিক্ষকদের দাবি না মানলে খুনি হাসিনার চেয়ে পরিণতি আরও বেশি খারাপ হবে: ডাকসু ভিপি Logo জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Logo শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিইউপি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Logo সয়দাবাদ রেলস্টেশন এলাকার রেলের মাটি বিক্রি করছেন বিএনপি নেতা Logo পিআর আন্দোলনকে জামায়াতের একটি রাজনৈতিক প্রতারণা বলছেন নাহিদ ইসলাম Logo ছাত্রলীগের নামে রুম দখলে নেওয়া সেই পিয়াল এখন ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক

মধ্যরাতে ববির শিক্ষার্থীরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নামফলক ভেঙে দিল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 214

মধ্যরাতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নামফলক ভেঙে দিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টার দিকে একদল শিক্ষার্থী স্বৈরাচারের দোসরের নামফলক মুছে ফেলার জন্য জড়ো হয়।

রাত আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইটের (লাইব্রেরি গেট) সামনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর সম্বলিত শেখ হাসিনার নামফলক হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালাও একসঙ্গে ও স্বৈরাচারের কোনো চিহ্ন ববি ক্যাম্পাসে জায়গা হবে না বলে জানান তারা।

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী এম ডি সিহাব বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের ব্যানারে ছাত্রসমাজের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে দুঃসাহস দেখিয়েছে। হাসিনা আমাদের প্রায় দুই হাজার ভাই-বোন’দের গুলি করে হত্যা করে দেশ থেকে পালিয়েছে। একইসঙ্গে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে। সেই খুনি হাসিনা কীভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আমরা এদেশে খুনি ও ফ্যাসিস্টের কোনো অস্তিত্ব রাখব না। আমরা তার বিচার চাই।

নামফলক ভাঙার অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেছেন, আমরা ৫ আগস্টের পরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নামফলক ও হলের নাম সরিয়ে ফেলার জন্য উপাচার্যকে লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি৷ যখন ফ্যাসিস্ট শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমরা ক্যাম্পাসের সামনে থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নামফলক সরিয়ে ফেলেছি৷ এ ক্যাম্পাসে ফ্যাসিস্ট হাসিনার কোনো চিহ্ন রাখা হবে না।

তারা বলেছেন, সারাদেশে ছাত্র-জনতা আবারও জেগে উঠেছে। কোনো স্বৈরাচারকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। জুলাই আন্দোলনে আহত-নিহতদের রক্তের দাগ এখনো শুকাইনি। স্বৈরাচারদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

মধ্যরাতে ববির শিক্ষার্থীরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নামফলক ভেঙে দিল

আপডেট সময় ১০:০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মধ্যরাতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নামফলক ভেঙে দিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টার দিকে একদল শিক্ষার্থী স্বৈরাচারের দোসরের নামফলক মুছে ফেলার জন্য জড়ো হয়।

রাত আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইটের (লাইব্রেরি গেট) সামনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর সম্বলিত শেখ হাসিনার নামফলক হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালাও একসঙ্গে ও স্বৈরাচারের কোনো চিহ্ন ববি ক্যাম্পাসে জায়গা হবে না বলে জানান তারা।

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী এম ডি সিহাব বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের ব্যানারে ছাত্রসমাজের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে দুঃসাহস দেখিয়েছে। হাসিনা আমাদের প্রায় দুই হাজার ভাই-বোন’দের গুলি করে হত্যা করে দেশ থেকে পালিয়েছে। একইসঙ্গে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে। সেই খুনি হাসিনা কীভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আমরা এদেশে খুনি ও ফ্যাসিস্টের কোনো অস্তিত্ব রাখব না। আমরা তার বিচার চাই।

নামফলক ভাঙার অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেছেন, আমরা ৫ আগস্টের পরে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নামফলক ও হলের নাম সরিয়ে ফেলার জন্য উপাচার্যকে লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি৷ যখন ফ্যাসিস্ট শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমরা ক্যাম্পাসের সামনে থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নামফলক সরিয়ে ফেলেছি৷ এ ক্যাম্পাসে ফ্যাসিস্ট হাসিনার কোনো চিহ্ন রাখা হবে না।

তারা বলেছেন, সারাদেশে ছাত্র-জনতা আবারও জেগে উঠেছে। কোনো স্বৈরাচারকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। জুলাই আন্দোলনে আহত-নিহতদের রক্তের দাগ এখনো শুকাইনি। স্বৈরাচারদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।