ঢাকা ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর চিটাগাং কিংস

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ফাইনালে চিটাগাং কিংস

বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে খুলনা তাইগার্সকে হারিয়ে ১২ বছর পর ফাইনালে উঠেছে চিটাগাং কিংস। খুলনার দেওয়া ১৬৪ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ বলে ২ উইকেটের নাটকীয় জয় পায় চিটাগাং। ২ উইকেটে জিতে ফাইনালের টিকিট কাটে চিটাগাং।

এলিমিনেটর ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৮৫ রানে অলআউট করা খুলনা টাইগার্স দ্বিতীয় কোয়ালিয়ারে ৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখতে বসেছিল।

তবে এ যাত্রায় বেঁচে যায় মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও শিমরন হেটমায়ারের ব্যাটে। দুইজনের ৫০ বলে ৭৩ রানের জুটিতে লড়াকু ইনিংসের দিকে ছুটতে থাকে খুলনা। অঙ্কন ৪১ রানে ফিরে গেলে ২৯ বলে ফিফটি হাঁকান হেটমায়ার। ৩৩ বলে ৪ ছক্কা ৬ বাউন্ডারিরে ৬৩ রান করে যখন হেটমার আউট হন তখন দলীয় সংগ্রহ ১৪৬।

শরিফুলের করা শেষ ওভারে হোল্ডার ও নেওয়াজ মিলে নেন ১৭ রান। আর তাতেই ১৬৩ রানের লড়াই করার মতো পুঁজি পেয়ে যায় খুলনা। তবে এই রানও জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।

হাসান মাহমুদের বলে পারভেজ ইমন ও গ্রামাম ক্লার্ক দ্রুত ফিরলেও হোসাইন তালাতকে নিয়ে চিটাগাং কিংসকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন আরেক পাকিস্তানি খাজা নাফি। ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন নাফে। এর পরের ওভারে খুলনাকে ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসুম। পর পর নিজের দুই ওভারে তালাত ও শামিম পাটোয়ারিকে ফিরিয়ে খুলনাকে ম্যাচে ফেরায় এই স্পিনার। এর পরের ওভারে নাফি ও খালেদকে ফিরিয়ে কিংসকে বিপদে ফেলেন খুলনার পেসার মুশফিক হাসান।

কিংস অধিনায়ক মিঠুনও দলের ভরসা হয়ে উঠতে পারেননি। আরাফাত সানি ও আলিস ইসলামের ব্যাটে শেষদিকে জয় পায় কিংস। ২ উইকেটে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে চিটাগাং কিংস। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর চিটাগাং কিংস

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর চিটাগাং কিংস

আপডেট সময় ১১:৪১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে খুলনা তাইগার্সকে হারিয়ে ১২ বছর পর ফাইনালে উঠেছে চিটাগাং কিংস। খুলনার দেওয়া ১৬৪ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ বলে ২ উইকেটের নাটকীয় জয় পায় চিটাগাং। ২ উইকেটে জিতে ফাইনালের টিকিট কাটে চিটাগাং।

এলিমিনেটর ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৮৫ রানে অলআউট করা খুলনা টাইগার্স দ্বিতীয় কোয়ালিয়ারে ৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখতে বসেছিল।

তবে এ যাত্রায় বেঁচে যায় মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও শিমরন হেটমায়ারের ব্যাটে। দুইজনের ৫০ বলে ৭৩ রানের জুটিতে লড়াকু ইনিংসের দিকে ছুটতে থাকে খুলনা। অঙ্কন ৪১ রানে ফিরে গেলে ২৯ বলে ফিফটি হাঁকান হেটমায়ার। ৩৩ বলে ৪ ছক্কা ৬ বাউন্ডারিরে ৬৩ রান করে যখন হেটমার আউট হন তখন দলীয় সংগ্রহ ১৪৬।

শরিফুলের করা শেষ ওভারে হোল্ডার ও নেওয়াজ মিলে নেন ১৭ রান। আর তাতেই ১৬৩ রানের লড়াই করার মতো পুঁজি পেয়ে যায় খুলনা। তবে এই রানও জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।

হাসান মাহমুদের বলে পারভেজ ইমন ও গ্রামাম ক্লার্ক দ্রুত ফিরলেও হোসাইন তালাতকে নিয়ে চিটাগাং কিংসকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন আরেক পাকিস্তানি খাজা নাফি। ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন নাফে। এর পরের ওভারে খুলনাকে ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসুম। পর পর নিজের দুই ওভারে তালাত ও শামিম পাটোয়ারিকে ফিরিয়ে খুলনাকে ম্যাচে ফেরায় এই স্পিনার। এর পরের ওভারে নাফি ও খালেদকে ফিরিয়ে কিংসকে বিপদে ফেলেন খুলনার পেসার মুশফিক হাসান।

কিংস অধিনায়ক মিঠুনও দলের ভরসা হয়ে উঠতে পারেননি। আরাফাত সানি ও আলিস ইসলামের ব্যাটে শেষদিকে জয় পায় কিংস। ২ উইকেটে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে চিটাগাং কিংস। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।