ঢাকা ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়মবহির্ভূত ভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ নোবিপ্রবি হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 0 Views

নিয়মবহির্ভূত ভাবে আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ফি আদায় সহ নানান অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

হলের রুম পরিবর্তন করতে চাইলেই অতিরিক্ত এই অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আবাসিক শিক্ষার্থীদের। এছাড়া আসন সংকট থাকা স্বত্তেও হলে সিট বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হলের কোন রুমে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে কোন শিক্ষার্থী রুম পরিবর্তন করতে চাইলে ৫০০ (পাঁচশত) টাকা ফি জমা দিতে হয়। কেউ এই পরিমাণ টাকা দিতে অপারগ হলে রুম পরিবর্তন করতে দেওয়া হয় না। এক রুমে ৬ জন শিক্ষার্থী থাকার ব্যবস্থা থাকলেও কোন কোন রুমে ১০ জন শিক্ষার্থীকে রাখা হচ্ছে। এতে করে গণরুমের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে নোবিপ্রবি প্রশাসন কতৃক বিনামূল্যে নৈশভোজের আয়োজন করা হলেও বঙ্গমাতা হল প্রশাসন অর্থ আদায় করে৷ ঐ অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা দেওয়া হয়নি। তাছাড়া জুলাই পরবর্তী সময়ে নোবিপ্রবির অন্যান্য হল প্রশাসন মতবিনিময় সভা আয়োজন করলেও করেনি বঙ্গমাতা হল প্রশাসন। এতে শিক্ষার্থীরা জানাতে পারছে না তাদের মতামত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, “শিক্ষার্থীদের মেন্টাল কাউন্সেলিং সেশন আয়োজনের কথা বলে মেন্টালি সাপ্রেশনে রাখা হয়েছে। নতুন নতুন নিয়ম হচ্ছে কিন্তু সমস্যা সমাধানের কোন উদ্যোগ নেই।”

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “কিছুদিন ধরেই হলে গণ ডাবলিং নামক একটা অসুস্থ চর্চা শুরু হয়েছে। অসুস্থ বলার পিছনে কারণ ও আছে অনেক। একেকটা মেয়ে একেক পরিবেশ থেকে আসে, এক রুমে যেখানে ৬ জন করে থাকতে দেওয়া হচ্ছে সেখানে ৮/৯ জন এমনকি ১০ জন দেওয়া হচ্ছে। এই চর্চার মাধ্যমে হয়তো দিন শেষে আত্মতুষ্টি থাকবেই যে সিট দিচ্ছি সিট দিচ্ছি! কিন্তু এটা কি আসলেই সিট দেওয়া? এর আগে ফিস্টের টাকা নিয়েও ব্যতিক্রম নিয়ম দেখেছি এখন সিট দেওয়ার ক্ষেত্রে ও নিয়মের কোনো কিছুই মানা হচ্ছে না।প্রভোস্ট পরিবর্তন মানেই কি নিয়মের ও পরিবর্তন? পাশাপাশি আমাদের কারো সুবিধা অসুবিধা জানানোর মতো জায়গা ও প্রভোস্ট স্যার রাখেন নি। এই হয়রানির জন্য কার কাছে জবাব চাইবো?”

অভিযোগের বিষয়ে প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক ড. আবিদুর রহমান বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী যখন বারবার সিট পরিবর্তন করে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তাই এটি নিরুৎসাহিত করার জন্য চার্জ আদায় করা হচ্ছে। আবার অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক সংকটে থাকে, তারা যখন সিট চায় তাদেরকে তো ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। আসন সংকট থাকায় তাই ডাবলিং এর মাধ্যমে সিট দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে হলের দায়িত্ব দিয়েছে। হলের বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাই সার্বিক দিক বিবেচনাই আমি এই নিয়মটি করেছি।’

প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘এভাবে অর্থ আদায়ের বিষয় বা ডাবলিং করে সিট দেওয়ার ব্যাপারটা আমার জানা নেই, এখন জেনেছি। আমি এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

জনপ্রিয় সংবাদ

সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়ে গেছে অধিকাংশ ঘর

নিয়মবহির্ভূত ভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ নোবিপ্রবি হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০৯:৫৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিয়মবহির্ভূত ভাবে আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ফি আদায় সহ নানান অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

হলের রুম পরিবর্তন করতে চাইলেই অতিরিক্ত এই অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আবাসিক শিক্ষার্থীদের। এছাড়া আসন সংকট থাকা স্বত্তেও হলে সিট বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হলের কোন রুমে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে কোন শিক্ষার্থী রুম পরিবর্তন করতে চাইলে ৫০০ (পাঁচশত) টাকা ফি জমা দিতে হয়। কেউ এই পরিমাণ টাকা দিতে অপারগ হলে রুম পরিবর্তন করতে দেওয়া হয় না। এক রুমে ৬ জন শিক্ষার্থী থাকার ব্যবস্থা থাকলেও কোন কোন রুমে ১০ জন শিক্ষার্থীকে রাখা হচ্ছে। এতে করে গণরুমের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে নোবিপ্রবি প্রশাসন কতৃক বিনামূল্যে নৈশভোজের আয়োজন করা হলেও বঙ্গমাতা হল প্রশাসন অর্থ আদায় করে৷ ঐ অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা দেওয়া হয়নি। তাছাড়া জুলাই পরবর্তী সময়ে নোবিপ্রবির অন্যান্য হল প্রশাসন মতবিনিময় সভা আয়োজন করলেও করেনি বঙ্গমাতা হল প্রশাসন। এতে শিক্ষার্থীরা জানাতে পারছে না তাদের মতামত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, “শিক্ষার্থীদের মেন্টাল কাউন্সেলিং সেশন আয়োজনের কথা বলে মেন্টালি সাপ্রেশনে রাখা হয়েছে। নতুন নতুন নিয়ম হচ্ছে কিন্তু সমস্যা সমাধানের কোন উদ্যোগ নেই।”

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “কিছুদিন ধরেই হলে গণ ডাবলিং নামক একটা অসুস্থ চর্চা শুরু হয়েছে। অসুস্থ বলার পিছনে কারণ ও আছে অনেক। একেকটা মেয়ে একেক পরিবেশ থেকে আসে, এক রুমে যেখানে ৬ জন করে থাকতে দেওয়া হচ্ছে সেখানে ৮/৯ জন এমনকি ১০ জন দেওয়া হচ্ছে। এই চর্চার মাধ্যমে হয়তো দিন শেষে আত্মতুষ্টি থাকবেই যে সিট দিচ্ছি সিট দিচ্ছি! কিন্তু এটা কি আসলেই সিট দেওয়া? এর আগে ফিস্টের টাকা নিয়েও ব্যতিক্রম নিয়ম দেখেছি এখন সিট দেওয়ার ক্ষেত্রে ও নিয়মের কোনো কিছুই মানা হচ্ছে না।প্রভোস্ট পরিবর্তন মানেই কি নিয়মের ও পরিবর্তন? পাশাপাশি আমাদের কারো সুবিধা অসুবিধা জানানোর মতো জায়গা ও প্রভোস্ট স্যার রাখেন নি। এই হয়রানির জন্য কার কাছে জবাব চাইবো?”

অভিযোগের বিষয়ে প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক ড. আবিদুর রহমান বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী যখন বারবার সিট পরিবর্তন করে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তাই এটি নিরুৎসাহিত করার জন্য চার্জ আদায় করা হচ্ছে। আবার অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক সংকটে থাকে, তারা যখন সিট চায় তাদেরকে তো ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। আসন সংকট থাকায় তাই ডাবলিং এর মাধ্যমে সিট দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে হলের দায়িত্ব দিয়েছে। হলের বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাই সার্বিক দিক বিবেচনাই আমি এই নিয়মটি করেছি।’

প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘এভাবে অর্থ আদায়ের বিষয় বা ডাবলিং করে সিট দেওয়ার ব্যাপারটা আমার জানা নেই, এখন জেনেছি। আমি এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’