আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন (জাবি) পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উপাচার্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার জন্য শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ দিয়ে তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার বিকেল থেকে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত শৃঙ্খলার সাথে অবস্থান করছে। এই দাবি আদায়ের জন্য গত দুই সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে আমাদের কাছে আবেদন করেছে এবং যেহেতু এই সিদ্ধান্তের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনরা জড়িত তাই বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা আলোচনা করেছি। শিক্ষার্থীদের এই দাবির বিষয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেয়। পরে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার সদস্যদের সভায় পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
একইসাথে প্রয়োজনীয় জীবনমান উন্নয়নের জন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার সদস্যদের সভায় পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রয়োজনীয় জীবনমান উন্নয়নের জন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ, পোষ্য কোটা ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। আগের মতো কোটা বহালের দাবিতে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বটতলা থেকে মিছিল বের করে বিভিন্ন হল প্রদক্ষিণ করেন এবং পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
অন্যদিকে, পোষ্য কোটা বহালের দাবিতে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিকেলে জরুরি সভায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দীর্ঘ আলোচনা শেষে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।