ঢাকা ০৪:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই যুবকের হেনস্তায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা তরুণীর

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 0 Views

পটুয়াখালীতে কলেজ পড়ুয়া এক তরুণী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের দাবি, বন্ধুর সঙ্গে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে বখাটেদের হেনস্তার শিকার হয় সে। পরে অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে হেনস্তাকারী দুই যুবক।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে জেলার বাউফল উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ওই তরুণীর নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম নাম ইতি দাস (২০)। তিনি বরিশাল সরকারি হাতেম আলী কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পরিবার জানায়, ইতি সরস্বতী পূজার ছুটিতে বরিশাল থেকে বাড়ি আসে। সোমবার রাতে রাতের খাবার খেতে ডাকা হয়। তবে সাড়া না পেয়ে তার মা দোতলায় গিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবার জানায়, ইতি ঘটনার দিন সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। দুপুর ১২টার দিকে বন্ধুর সঙ্গে পাবলিক মাঠ সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টে যায়। সেখানে হৃদয় ও রায়হান নামে দুই যুবক তাদের নানাভাবে হেনেস্তা এবং বিরক্ত করতে থাকে। তারা স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতার ছেলে।

তারা জানান, তাদের রেস্টুরেন্টে যাওয়ার বিষয়টি মা-বাবাকে জানানো হয়। কিন্তু ওই দুই যুবকের ভয়ে রেস্টুরেন্টে না গিয়ে ৯৯৯ ফোন দেন। পরে বাউফল থানার এসআই শাহীন এসে তাদের থানায় নিয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ পরই ছেড়ে দেওয়া হয়।

তারা আরও জানান, এ ঘটনায় খুবই বিমর্ষ ছিলো ইতি। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওই বাসায় গিয়ে সরাসরি ঘরের দোতলায় উঠে। এরপর আর নিচে নামেনি।

ইতির কাকাতো ভাই সঞ্জয় দাসের দাবি, মানসিক নির্যাতন ও হেনস্তা সহ্য করতে না পেরে ইতি আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়িদের ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান। এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময়

দুই যুবকের হেনস্তায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা তরুণীর

আপডেট সময় ১১:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পটুয়াখালীতে কলেজ পড়ুয়া এক তরুণী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের দাবি, বন্ধুর সঙ্গে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে বখাটেদের হেনস্তার শিকার হয় সে। পরে অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে হেনস্তাকারী দুই যুবক।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে জেলার বাউফল উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ওই তরুণীর নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম নাম ইতি দাস (২০)। তিনি বরিশাল সরকারি হাতেম আলী কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পরিবার জানায়, ইতি সরস্বতী পূজার ছুটিতে বরিশাল থেকে বাড়ি আসে। সোমবার রাতে রাতের খাবার খেতে ডাকা হয়। তবে সাড়া না পেয়ে তার মা দোতলায় গিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবার জানায়, ইতি ঘটনার দিন সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। দুপুর ১২টার দিকে বন্ধুর সঙ্গে পাবলিক মাঠ সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টে যায়। সেখানে হৃদয় ও রায়হান নামে দুই যুবক তাদের নানাভাবে হেনেস্তা এবং বিরক্ত করতে থাকে। তারা স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতার ছেলে।

তারা জানান, তাদের রেস্টুরেন্টে যাওয়ার বিষয়টি মা-বাবাকে জানানো হয়। কিন্তু ওই দুই যুবকের ভয়ে রেস্টুরেন্টে না গিয়ে ৯৯৯ ফোন দেন। পরে বাউফল থানার এসআই শাহীন এসে তাদের থানায় নিয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ পরই ছেড়ে দেওয়া হয়।

তারা আরও জানান, এ ঘটনায় খুবই বিমর্ষ ছিলো ইতি। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওই বাসায় গিয়ে সরাসরি ঘরের দোতলায় উঠে। এরপর আর নিচে নামেনি।

ইতির কাকাতো ভাই সঞ্জয় দাসের দাবি, মানসিক নির্যাতন ও হেনস্তা সহ্য করতে না পেরে ইতি আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়িদের ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান। এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে।