ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আ. লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন হলেই ‘শাহবাগ ব্লকেড’ প্রত্যাহার Logo মৌলভীবাজারে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্রজনতার পাশে শিবির Logo ১০০০ ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিকে সেনাবাহিনী থেকে সরিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র Logo কেরানীগঞ্জে আওয়ামী নেতা ইকবাল ও ছাত্রলীগ নেতা ইয়ামিন গ্রেপ্তার Logo পাকিস্তান ৩০০-৪০০ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে: ভারত Logo কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ‘আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রচার করছে’ Logo গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নোসক শিবিরের সহযোগিতা Logo এআই হ্যাকাথন ২০২৫: রুয়েটের ‘বুরাক’ টিমের চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন Logo আমিরাতে আইপিএলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, পিএসএল পেল অগ্রাধিকার

আ.লীগের লিফলেট বিতরণ সেই শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 79

‘আ.লীগের লিফলেট বিতরণ আমার অধিকার’ বলা সেই শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মুকিব মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইলিয়াসুর রহমানের বাসা থেকে মুকিব মিয়াকে আটক করা হয়।

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুকিব মিয়া বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুকিব মিয়া ছাত্রলীগের সোহাগ-নাজমুল কমিটির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

আটক এ কর্মকর্তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইলিয়াসুর রহমান। ডেপুটি রেজিস্ট্রারের বিচারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে উঠে শেকৃবি ক্যাম্পাস। আশ্রয়দানকারী ইলিয়াসুর রহমানসহ অন্যান্য আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে আলাদা আলাদা মিছিল করেন শেকৃবি ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

শেকৃবি ছাত্রদলের সভাপতি তাপস কবির বলেছেন, ক্যাম্পাসে আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিচার না হওয়াতে তারা এখনও বুক ফুলিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। শুধু তাই নয়, বাইরে থেকে আসা অন্যান্য আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে শেকৃবির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাসা। আমরা দ্রুত তাদের বিচার ও প্রত্যাহার চাই।

শেকৃবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. তৌহিদ আহমেদ আশিক বলেন, তদন্তের নামে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রহসন করছে। ৬/৭ মাস পার হলেও এখনও বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি। ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের পদচারণায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসনকে আগামী তিন দিনের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের বিচার ও প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে সকল আওয়ামীপন্থিদের এলোটমেন্ট বাতিল করতে হবে।

শেকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ বলেছেন, আমরা দ্রুত সময়ে বিচার কাজ শেষ করব। আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত, সিন্ডিকেট মিটিংয়ের অপেক্ষায় আছে।

এর আগে গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করেন লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুকিব মিয়া।

লিফলেট বিতরণ করে চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেননি জানিয়ে তখন মুকিব মিয়া বলেছিলেন, ড. ইউনূস সংবিধান লঙ্ঘন করছেন, এর প্রতিবাদ করছি। আওয়ামী লীগও প্রতিবাদ করছে। তাই আওয়ামী লীগের লিফলেট আমার নেতৃত্বে বিতরণ করেছি। এতে চাকরিবিধি লঙ্ঘন হয়নি। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছে, এ দলের লিফলেট বিতরণ করা আমার অধিকার। চাকরিতে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে মুকিব মিয়া জানান, ছুটির আবেদন করেছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

আ. লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন হলেই ‘শাহবাগ ব্লকেড’ প্রত্যাহার

আ.লীগের লিফলেট বিতরণ সেই শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৯:৫২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

‘আ.লীগের লিফলেট বিতরণ আমার অধিকার’ বলা সেই শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মুকিব মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইলিয়াসুর রহমানের বাসা থেকে মুকিব মিয়াকে আটক করা হয়।

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুকিব মিয়া বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুকিব মিয়া ছাত্রলীগের সোহাগ-নাজমুল কমিটির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

আটক এ কর্মকর্তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইলিয়াসুর রহমান। ডেপুটি রেজিস্ট্রারের বিচারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে উঠে শেকৃবি ক্যাম্পাস। আশ্রয়দানকারী ইলিয়াসুর রহমানসহ অন্যান্য আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে আলাদা আলাদা মিছিল করেন শেকৃবি ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

শেকৃবি ছাত্রদলের সভাপতি তাপস কবির বলেছেন, ক্যাম্পাসে আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিচার না হওয়াতে তারা এখনও বুক ফুলিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। শুধু তাই নয়, বাইরে থেকে আসা অন্যান্য আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে শেকৃবির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাসা। আমরা দ্রুত তাদের বিচার ও প্রত্যাহার চাই।

শেকৃবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. তৌহিদ আহমেদ আশিক বলেন, তদন্তের নামে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রহসন করছে। ৬/৭ মাস পার হলেও এখনও বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি। ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের পদচারণায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসনকে আগামী তিন দিনের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের বিচার ও প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে সকল আওয়ামীপন্থিদের এলোটমেন্ট বাতিল করতে হবে।

শেকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ বলেছেন, আমরা দ্রুত সময়ে বিচার কাজ শেষ করব। আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত, সিন্ডিকেট মিটিংয়ের অপেক্ষায় আছে।

এর আগে গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করেন লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুকিব মিয়া।

লিফলেট বিতরণ করে চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেননি জানিয়ে তখন মুকিব মিয়া বলেছিলেন, ড. ইউনূস সংবিধান লঙ্ঘন করছেন, এর প্রতিবাদ করছি। আওয়ামী লীগও প্রতিবাদ করছে। তাই আওয়ামী লীগের লিফলেট আমার নেতৃত্বে বিতরণ করেছি। এতে চাকরিবিধি লঙ্ঘন হয়নি। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছে, এ দলের লিফলেট বিতরণ করা আমার অধিকার। চাকরিতে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে মুকিব মিয়া জানান, ছুটির আবেদন করেছি।