ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের তপশিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে ছাত্রদল ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠন।

এদিকে নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুযায়ী তপশিল ঘোষণার কথা থাকলেও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা পিছিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তপশিল পেছানোর দাবিতে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর হতে মিছিল বের করে শাখা ছাত্রদল। মিছিলটি নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘণ্টা অবস্থান করেন তারা। এদিকে ঘোষিত সময়ের মধ্যে তপশিল ঘোষণা না করা ও ছাত্রত্ব শেষ হওয়া ছাত্রদল নেতাকর্মীদের অবস্থানের প্রতিবাদে রাত ৮টায় ‘বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে পাল্টা অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারিতে তপশিল ঘোষণা করার কথা ছিল। তবে তপশিল ঘোষণার পূর্বে সংস্কার কমিটি’ গঠন করে গঠনতন্ত্র সংস্কার, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলার বিচার, সিন্ডিকেট পুনর্গঠনসহ ৫ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় শাখা ছাত্রদল।

এ বিষয়ে জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেছেন, আমরা জাকসুর আগে দ্রুততম সময়ে সংস্কার চেয়েছিলাম৷ আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ‘সংস্কার কমিশন’ গঠন ও সকল অংশীজনদের সাথে আলোচনার পর তপশিল ঘোষণার তারিখ পরিবর্তনের কথা বলেছি৷ সংস্কার বাদ দিয়ে নির্বাচনের দিকে আগালে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারাবে৷ সংস্কার বাদ দিয়ে জাকসুর তপশিল ঘোষণা করলে জাবি ছাত্রদল কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচির দিকে আগাবে৷

অন্যদিকে, জাকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা হওয়ার পর সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ছাত্রদল জাকসু বানচালের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ঘোষিত সময়ের মধ্যে জাকসুর তপশিল ঘোষণার দাবিতে ‘জাকসুর পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর’ নামে একটি সর্বদলীয় প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছেন তারা৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেছেন, তপশিল ঘোষণা শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) হওয়ার কথা থাকলেও এখনো হচ্ছে না। অছাত্ররা প্রশাসনের সাথে মিটিং করেছে। তাদের দাবির কারণে নির্বাচন নিয়ে প্রশাসন তালবাহানা শুরু করেছে। তপশিল ঘোষণা নাহলে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করতে দেওয়া হবে না।

চাচা, ঢাকা এত সাজানো কেন, ক্যাপিটাল কোথায়?’

জাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থান

আপডেট সময় ০৮:৫৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের তপশিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে ছাত্রদল ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠন।

এদিকে নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুযায়ী তপশিল ঘোষণার কথা থাকলেও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা পিছিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তপশিল পেছানোর দাবিতে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর হতে মিছিল বের করে শাখা ছাত্রদল। মিছিলটি নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘণ্টা অবস্থান করেন তারা। এদিকে ঘোষিত সময়ের মধ্যে তপশিল ঘোষণা না করা ও ছাত্রত্ব শেষ হওয়া ছাত্রদল নেতাকর্মীদের অবস্থানের প্রতিবাদে রাত ৮টায় ‘বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে পাল্টা অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারিতে তপশিল ঘোষণা করার কথা ছিল। তবে তপশিল ঘোষণার পূর্বে সংস্কার কমিটি’ গঠন করে গঠনতন্ত্র সংস্কার, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলার বিচার, সিন্ডিকেট পুনর্গঠনসহ ৫ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় শাখা ছাত্রদল।

এ বিষয়ে জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেছেন, আমরা জাকসুর আগে দ্রুততম সময়ে সংস্কার চেয়েছিলাম৷ আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ‘সংস্কার কমিশন’ গঠন ও সকল অংশীজনদের সাথে আলোচনার পর তপশিল ঘোষণার তারিখ পরিবর্তনের কথা বলেছি৷ সংস্কার বাদ দিয়ে নির্বাচনের দিকে আগালে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারাবে৷ সংস্কার বাদ দিয়ে জাকসুর তপশিল ঘোষণা করলে জাবি ছাত্রদল কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচির দিকে আগাবে৷

অন্যদিকে, জাকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা হওয়ার পর সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ছাত্রদল জাকসু বানচালের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ঘোষিত সময়ের মধ্যে জাকসুর তপশিল ঘোষণার দাবিতে ‘জাকসুর পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর’ নামে একটি সর্বদলীয় প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছেন তারা৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেছেন, তপশিল ঘোষণা শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) হওয়ার কথা থাকলেও এখনো হচ্ছে না। অছাত্ররা প্রশাসনের সাথে মিটিং করেছে। তাদের দাবির কারণে নির্বাচন নিয়ে প্রশাসন তালবাহানা শুরু করেছে। তপশিল ঘোষণা নাহলে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করতে দেওয়া হবে না।