মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ায় বেজায় চটেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনো পদক্ষেপ নিলে কানাডাও ব্যবস্থা নেবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে।
তার এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ও জোরালো জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কানাডা। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শুক্রবার বলেন, কানাডাও জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি কানাডার নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছেন, তাদের সামনে কঠিন সময় আসছে।
এর আগে ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, আমাদের সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অভিবাসী ও ফেন্টানিল প্রবেশ করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিও রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্যই আমি এই শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ট্রাম্প জানান, তিনি চীনের ওপরও নতুন শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা করছেন, যা আগে ১০ শতাংশ হারের কথা বলা হলেও আরও বাড়তে পারে। তিনি অভিযোগ করেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল সরবরাহ করছে, যার ফলে হাজার হাজার মার্কিন নাগরিক মারা যাচ্ছে।
ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতির কারণে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ আবার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর আগে, ২০১৮ সাল থেকে চীনের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল, যার একটি বড় কারণ ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের ধারাবাহিক শুল্ক বৃদ্ধির নীতি। ট্রাম্পের ঘোষণার পর পরই কানাডা ও মেক্সিকোর কাছ থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত আসে।
এদিকে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক এক উপদেষ্টা পরিষদের বক্তব্যে ট্রুডো বলেন, দেশ বর্তমানে সংকটময় মূহুর্তে রয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি তার দেশের জনগণকে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, আমরা এর জবাব দিতে প্রস্তুত। আমরা এটি চাই না। কিন্তু তিনি (ট্রাম্প) যদি সামনে আগান তাহলে আমরাও ব্যবস্থা নেব। সব বিকল্পই আমাদের হাতে আছে।
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা পণ্য ও সেবার ৭৫ শতাংশই আসে কানাডা থেকে। ফলে ট্রাম্পের ঘোষিত শুল্ক আরোপ হলে দেশটির অর্থনীতি মারাত্মক ব্যাহত হবে। তিনি বলেন, আমি রাখঢাক করব না। আগামী দিনগুলোতে আমাদের দেশ কঠিন সময়ের মুখে পড়তে পারে।