ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শেখ হাসিনার বিজয় মিছিলে ছাত্রদল প্যানেলের এজিএস প্রার্থী মায়েদের ছবি ভাইরাল Logo মুন্সিগঞ্জে কার্টুন খুলে মিললো নবজাতকের মরদেহ Logo গাজীপুরে ব্যবসায়ীকে আটকের পর র‌্যাবের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ Logo ক‍্যান্টিন বয় দিয়ে হলে হলে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ বাকেরের বিরুদ্ধে Logo সংসদ ভবন এলাকায় আ.লীগের মিছিল, আটক ১ Logo ডাকসু নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ Logo নির্বাচন নিয়ে আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন: মির্জা ফখরুল Logo অবশেষে ট্রায়ালে সফল রাশিয়ার যুগান্তকারী ক্যানসার ভ্যাকসিন Logo তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন, সেদিন অবিস্মরণীয় ইতিহাস তৈরি হবে Logo রাকসু নির্বাচন: সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট নামে ছাত্রশিবিরের প্যানেল ঘোষণা

রাষ্ট্র মেরামতের একমাত্র উপায় হল জাতীয় নির্বাচন: তারেক রহমান

রাষ্ট্র মেরামতের একমাত্র উপায় হল জাতীয় নির্বাচন: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিনে সংসদের মেয়াদ কত হবে, সংখ্যা কত হবে গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই বিতর্ক থাকতেই পারে। দিন শেষে আমরা এগুলো জনগণের ওপর ছেড়ে দিব। এই নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত বিতর্ক রাষ্ট্র মেরামতের কাজকে বিঘ্নিত করবে। তবে এর একমাত্র উপায় হল জাতীয় নির্বাচন। জনগণের ভোটের মাধ্যমে এর ফয়সালা হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারের মাথাটা পালিয়ে গেছে। কিন্তু দেশে স্বৈরাচারের কিছু কিছু অবশিষ্ট রয়ে গেছে। যেকোনো সময় তারা ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে মাথাচারা দিতে চাইছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যত মানুষ প্রতিবাদ করেছে প্রত্যেকেই অত্যাচারিত হয়েছে। যদি দেশকে রক্ষা করতে হয়, দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হয় তাহলে ঐক্যের বিকল্প নেই।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ আব্বাস উদ্দিন খান সোহাগপুর মডেল কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মত পার্থক্য থাকতে পারে, যারা আমরা দেশের জন্য কাজ করতে চাই দিন শেষে আমরা এক। আমাদের সামনে প্রচুর কাজ, দেশকে পুনর্গঠনের কাজ। আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বেকারত্ব দূরীকরণ, কৃষি ও শিল্পখাতে উন্নয়ন ৩১ দফায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আমরা কৃষককে ন্যায্যমূল্য দিতে চাই। তবে লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি যেন জনগণের মধ্যে নাভিশ্বাসের কারণ না হয়।’

তিনি বলেন, ‘অচল কল-কারখানাগুলোকে সচল করতে হবে। আমাদের অসংখ্য নদ-নদী ও খাল ভরাট হয়ে গেছে। এগুলো খনন করতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেয়ার অধিকার ছিল না। জবাবদিহিতা ছিল না। অস্ত্রের মুখে সব অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আমরা ডামি নির্বাচন, ভোটারবিহীন নির্বাচন ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন দেখেছি। উন্নয়নের নাম করে সামান্য জিনিস দৃশ্যমান করা হলেও এর মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। এই দলের কর্মী হিসেবে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতিকে পথ দেখাতে হবে। শুধু আমাদের দলই নয়, দেশের যে সকল রাজনৈতিক দল যাদের অ্যাজেন্ডা দেশ ও দেশের মানুষ, তাদের সাথে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এটাই হোক এই সম্মেলনের প্রতিজ্ঞা ও শপথ।

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনার বিজয় মিছিলে ছাত্রদল প্যানেলের এজিএস প্রার্থী মায়েদের ছবি ভাইরাল

রাষ্ট্র মেরামতের একমাত্র উপায় হল জাতীয় নির্বাচন: তারেক রহমান

আপডেট সময় ০৯:১৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিনে সংসদের মেয়াদ কত হবে, সংখ্যা কত হবে গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই বিতর্ক থাকতেই পারে। দিন শেষে আমরা এগুলো জনগণের ওপর ছেড়ে দিব। এই নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত বিতর্ক রাষ্ট্র মেরামতের কাজকে বিঘ্নিত করবে। তবে এর একমাত্র উপায় হল জাতীয় নির্বাচন। জনগণের ভোটের মাধ্যমে এর ফয়সালা হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারের মাথাটা পালিয়ে গেছে। কিন্তু দেশে স্বৈরাচারের কিছু কিছু অবশিষ্ট রয়ে গেছে। যেকোনো সময় তারা ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে মাথাচারা দিতে চাইছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যত মানুষ প্রতিবাদ করেছে প্রত্যেকেই অত্যাচারিত হয়েছে। যদি দেশকে রক্ষা করতে হয়, দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হয় তাহলে ঐক্যের বিকল্প নেই।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ আব্বাস উদ্দিন খান সোহাগপুর মডেল কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মত পার্থক্য থাকতে পারে, যারা আমরা দেশের জন্য কাজ করতে চাই দিন শেষে আমরা এক। আমাদের সামনে প্রচুর কাজ, দেশকে পুনর্গঠনের কাজ। আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বেকারত্ব দূরীকরণ, কৃষি ও শিল্পখাতে উন্নয়ন ৩১ দফায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আমরা কৃষককে ন্যায্যমূল্য দিতে চাই। তবে লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি যেন জনগণের মধ্যে নাভিশ্বাসের কারণ না হয়।’

তিনি বলেন, ‘অচল কল-কারখানাগুলোকে সচল করতে হবে। আমাদের অসংখ্য নদ-নদী ও খাল ভরাট হয়ে গেছে। এগুলো খনন করতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেয়ার অধিকার ছিল না। জবাবদিহিতা ছিল না। অস্ত্রের মুখে সব অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আমরা ডামি নির্বাচন, ভোটারবিহীন নির্বাচন ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন দেখেছি। উন্নয়নের নাম করে সামান্য জিনিস দৃশ্যমান করা হলেও এর মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। এই দলের কর্মী হিসেবে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতিকে পথ দেখাতে হবে। শুধু আমাদের দলই নয়, দেশের যে সকল রাজনৈতিক দল যাদের অ্যাজেন্ডা দেশ ও দেশের মানুষ, তাদের সাথে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এটাই হোক এই সম্মেলনের প্রতিজ্ঞা ও শপথ।