ঢাকা ১১:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনিদে স্থানান্তর: ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের

ফিলিস্তিনিদে স্থানান্তর: ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের

মিসর, জর্দান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও কাতারের শীর্ষ কূটনীতিকরা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। কায়রোতে শনিবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকটি হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি প্রস্তাবের পর, যেখানে তিনি গাজা উপত্যকায় থাকা ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্দানে স্থানান্তরের ধারণা দিয়েছিলেন।

আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ফিলিস্তিনিদের ‘অখণ্ড অধিকার’ লঙ্ঘন করার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, যা ‘বসতি স্থাপন, বিতাড়ন, বাড়ি ধ্বংস, সংযুক্তকরণ, বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে ভূমি খালি করা, স্থানান্তরের মাধ্যমে জনসংখ্যা পরিবর্তন বা ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের’ মতো যেকোনো প্রকার চেষ্টা হতে পারে।

ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র মিসর ও জর্দান বারবার ট্রাম্পের গাজা ‘পরিষ্কারকরণ’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতেহ আল-সিসি বুধবার বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে স্থানান্তর একটি অবিচার, এতে আমরা অংশীদার হতে পারি না।’

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শনিবার আরো বলেন, ‘আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায্য ও পূর্ণাঙ্গ শান্তি অর্জনের জন্য কাজ করতে আগ্রহী, দ্বিরাষ্ট্র সমাধান অনুযায়ী।’

বৈঠকে আরব লীগ সচিবালয়ের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইথ ও ফিলিস্তিন মুক্তি সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির মহাসচিব হুসেইন আল-শেইখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া ইসরায়েল জাতিসংঘের মূল সাহায্য সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার দুই দিন পর মন্ত্রীরা সংস্থাটির ‘মৌলিক, অপরিহার্য ও অপরিবর্তনীয় ভূমিকা’ ফের তুলে ধরেন এবং ‘এটিকে এড়িয়ে যাওয়ার বা এর ভূমিকা সীমিত করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান’ করেন।

মিসর, জর্দান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও কাতারের শীর্ষ কূটনীতিকরা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। কায়রোতে শনিবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকটি হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি প্রস্তাবের পর, যেখানে তিনি গাজা উপত্যকায় থাকা ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্দানে স্থানান্তরের ধারণা দিয়েছিলেন।

আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ফিলিস্তিনিদের ‘অখণ্ড অধিকার’ লঙ্ঘন করার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, যা ‘বসতি স্থাপন, বিতাড়ন, বাড়ি ধ্বংস, সংযুক্তকরণ, বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে ভূমি খালি করা, স্থানান্তরের মাধ্যমে জনসংখ্যা পরিবর্তন বা ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের’ মতো যেকোনো প্রকার চেষ্টা হতে পারে।

ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র মিসর ও জর্দান বারবার ট্রাম্পের গাজা ‘পরিষ্কারকরণ’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতেহ আল-সিসি বুধবার বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে স্থানান্তর একটি অবিচার, এতে আমরা অংশীদার হতে পারি না।’

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শনিবার আরো বলেন, ‘আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায্য ও পূর্ণাঙ্গ শান্তি অর্জনের জন্য কাজ করতে আগ্রহী, দ্বিরাষ্ট্র সমাধান অনুযায়ী।’

ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করলে আমরাও ব্যবস্থা নেব

ফিলিস্তিনিদে স্থানান্তর: ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের

আপডেট সময় ০৮:৫৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মিসর, জর্দান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও কাতারের শীর্ষ কূটনীতিকরা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। কায়রোতে শনিবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকটি হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি প্রস্তাবের পর, যেখানে তিনি গাজা উপত্যকায় থাকা ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্দানে স্থানান্তরের ধারণা দিয়েছিলেন।

আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ফিলিস্তিনিদের ‘অখণ্ড অধিকার’ লঙ্ঘন করার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, যা ‘বসতি স্থাপন, বিতাড়ন, বাড়ি ধ্বংস, সংযুক্তকরণ, বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে ভূমি খালি করা, স্থানান্তরের মাধ্যমে জনসংখ্যা পরিবর্তন বা ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের’ মতো যেকোনো প্রকার চেষ্টা হতে পারে।

ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র মিসর ও জর্দান বারবার ট্রাম্পের গাজা ‘পরিষ্কারকরণ’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতেহ আল-সিসি বুধবার বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে স্থানান্তর একটি অবিচার, এতে আমরা অংশীদার হতে পারি না।’

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শনিবার আরো বলেন, ‘আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায্য ও পূর্ণাঙ্গ শান্তি অর্জনের জন্য কাজ করতে আগ্রহী, দ্বিরাষ্ট্র সমাধান অনুযায়ী।’

বৈঠকে আরব লীগ সচিবালয়ের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইথ ও ফিলিস্তিন মুক্তি সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির মহাসচিব হুসেইন আল-শেইখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া ইসরায়েল জাতিসংঘের মূল সাহায্য সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার দুই দিন পর মন্ত্রীরা সংস্থাটির ‘মৌলিক, অপরিহার্য ও অপরিবর্তনীয় ভূমিকা’ ফের তুলে ধরেন এবং ‘এটিকে এড়িয়ে যাওয়ার বা এর ভূমিকা সীমিত করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান’ করেন।

মিসর, জর্দান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও কাতারের শীর্ষ কূটনীতিকরা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। কায়রোতে শনিবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকটি হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি প্রস্তাবের পর, যেখানে তিনি গাজা উপত্যকায় থাকা ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্দানে স্থানান্তরের ধারণা দিয়েছিলেন।

আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ফিলিস্তিনিদের ‘অখণ্ড অধিকার’ লঙ্ঘন করার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, যা ‘বসতি স্থাপন, বিতাড়ন, বাড়ি ধ্বংস, সংযুক্তকরণ, বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে ভূমি খালি করা, স্থানান্তরের মাধ্যমে জনসংখ্যা পরিবর্তন বা ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের’ মতো যেকোনো প্রকার চেষ্টা হতে পারে।

ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র মিসর ও জর্দান বারবার ট্রাম্পের গাজা ‘পরিষ্কারকরণ’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতেহ আল-সিসি বুধবার বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে স্থানান্তর একটি অবিচার, এতে আমরা অংশীদার হতে পারি না।’

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শনিবার আরো বলেন, ‘আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায্য ও পূর্ণাঙ্গ শান্তি অর্জনের জন্য কাজ করতে আগ্রহী, দ্বিরাষ্ট্র সমাধান অনুযায়ী।’