ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রশিবিরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: মুক্তিযোদ্ধা দল

ছাত্রশিবিরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: মুক্তিযোদ্ধা দল

ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রকাশনায় মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানিয়েছে রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা। একইসঙ্গে ছাত্র শিবিরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতারা বলেন, ছাত্রশিবিরের দলীয় প্রকাশনায় জনৈক আহমেদ আফগানী ‘অনেক মুসলিম না বুঝেই মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল এটা তাদের ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতা ছিলো’ এই ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য প্রমাণ করে মহান স্বাধানতা যুদ্ধের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবির এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে মনে প্রাণে মেনে নিতে পারেনি। বিজয়ের মাসে তাদের এই বক্তব্য নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- মহান মুক্তিযুদ্ধে রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের শতকরা পঁচানব্বইভাগই ছিল মুসলিম। আমরা তৎকালীন পাকিস্তানী শাষকগোষ্ঠি বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির প্রতি চরম বৈষম্য শোষণ, বঞ্চনা মা-বোনের ইজ্জত সম্মান রক্ষা ও নিরস্ত্র মানুষকে নির্বিচারে গণহত্যার বিরুদ্ধে সবকিছু বুঝে শুনেই আমরা দেশ মাতৃকার মুক্তির লক্ষে সর্ব্বোচ আত্মত্যাগের ব্রত নিয়েই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকেও বিষয়টা নায্য ও যৌক্তিক ছিল বিধায় দেশের শতকরা নিরানব্বই ভাগ মানুষই সেটাকে সমর্থন ও প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমরা ৭১ এর পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরকে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে রাজনীতি করার এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রশিবিরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: মুক্তিযোদ্ধা দল

আপডেট সময় ১০:২১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রকাশনায় মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানিয়েছে রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা। একইসঙ্গে ছাত্র শিবিরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতারা বলেন, ছাত্রশিবিরের দলীয় প্রকাশনায় জনৈক আহমেদ আফগানী ‘অনেক মুসলিম না বুঝেই মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল এটা তাদের ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতা ছিলো’ এই ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য প্রমাণ করে মহান স্বাধানতা যুদ্ধের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবির এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে মনে প্রাণে মেনে নিতে পারেনি। বিজয়ের মাসে তাদের এই বক্তব্য নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- মহান মুক্তিযুদ্ধে রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের শতকরা পঁচানব্বইভাগই ছিল মুসলিম। আমরা তৎকালীন পাকিস্তানী শাষকগোষ্ঠি বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির প্রতি চরম বৈষম্য শোষণ, বঞ্চনা মা-বোনের ইজ্জত সম্মান রক্ষা ও নিরস্ত্র মানুষকে নির্বিচারে গণহত্যার বিরুদ্ধে সবকিছু বুঝে শুনেই আমরা দেশ মাতৃকার মুক্তির লক্ষে সর্ব্বোচ আত্মত্যাগের ব্রত নিয়েই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকেও বিষয়টা নায্য ও যৌক্তিক ছিল বিধায় দেশের শতকরা নিরানব্বই ভাগ মানুষই সেটাকে সমর্থন ও প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমরা ৭১ এর পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরকে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে রাজনীতি করার এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।