ঢাকা ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বরিশালের সড়ক দূর্ঘটনায় জামায়াত নেতার মর্মান্তিক মৃত্যু Logo নীলফামারীতে শিবিরের উদ্যোগে এসএসসি-দাখিল জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা Logo গ্রেড ও বেতন নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বড় সুখবর Logo মার্কিন অস্ত্র ও বিমান কেনার পরিকল্পনা স্থগিত করেছে ভারত Logo বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও ফরম বিতরণ অনুষ্ঠিত Logo তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে পূর্ব তিমুরকে ৮ গোলে হারাল বাংলাদেশ Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচার চেয়ে জবি সাংবাদিক সমিতির মানববন্ধন Logo জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে :মেজর হাফিজ Logo ফুটপাতে পড়ে থাকা ব্যাগে মিলল অজ্ঞাত ব্যক্তির কয়েক টুকরো মরদেহ Logo মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় খুন: ৬ জনের যাবজ্জীবন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:০৪:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • 116

সাভারের গেন্ডা এলাকায় ছয় বছর আগে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী মারুফ খান হত্যার দায়ে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি, প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি), ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাজিয়া নাহিদ এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিতরা হলেন—মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, শিমুল হাওলাদার ওরফে শ্যামল, শামীম আলী, ইমরান হোসেন, ফয়সাল আহম্মেদ মোত্তাকিন এবং লিটন ওরফে রইচ।

রায় শেষে আদালত আসামিদের উদ্দেশে বলেছেন,“আপিলের সুযোগ আছে। আপিল করবেন। আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।”

আসামিরা জামিনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার ফয়সাল আহম্মেদ মোত্তাকিন ছাড়া অপর পাঁচ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত ফয়সালের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে পাঁচ জনকে কারাগারে নেওয়া হয়। এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মাহমুদ হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মারুফ খানের বাবা আতাউর রহমান খান বলেছেন,“ন্যায়বিচার পেয়েছি।”

আসামিরা মারুফ খানের বান্ধবী মুনাকে উত্যক্ত করত। ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তারা মুনাকে ইভটিজিং করে। মারুফ এর প্রতিবাদ করে। পরে সে মুনাকে রিকশায় করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সন্ধ্যায় গেন্ডায় আব্দুর রহমানের মোটরসাইকেলের গ্যারেজের কাছে মারুফের ওপর হামলা চালায় আসামিরা। মঞ্জু তাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে মারাত্মক আহত হয় মারুফ। তাকে চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে রেফার করা হয়। সেখানে নেওয়ার পথে মারা যায় মারুফ।

এ ঘটনায় মারুফের ভাই লুৎফর রহমান খান মানিক ২২ আগস্ট সাভার মডেল থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান ২০১৯ সালের ৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২২ সালের ২৩ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালের সড়ক দূর্ঘটনায় জামায়াত নেতার মর্মান্তিক মৃত্যু

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় খুন: ৬ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৯:০৪:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

সাভারের গেন্ডা এলাকায় ছয় বছর আগে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী মারুফ খান হত্যার দায়ে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি, প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি), ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাজিয়া নাহিদ এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিতরা হলেন—মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, শিমুল হাওলাদার ওরফে শ্যামল, শামীম আলী, ইমরান হোসেন, ফয়সাল আহম্মেদ মোত্তাকিন এবং লিটন ওরফে রইচ।

রায় শেষে আদালত আসামিদের উদ্দেশে বলেছেন,“আপিলের সুযোগ আছে। আপিল করবেন। আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।”

আসামিরা জামিনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার ফয়সাল আহম্মেদ মোত্তাকিন ছাড়া অপর পাঁচ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত ফয়সালের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে পাঁচ জনকে কারাগারে নেওয়া হয়। এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মাহমুদ হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মারুফ খানের বাবা আতাউর রহমান খান বলেছেন,“ন্যায়বিচার পেয়েছি।”

আসামিরা মারুফ খানের বান্ধবী মুনাকে উত্যক্ত করত। ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তারা মুনাকে ইভটিজিং করে। মারুফ এর প্রতিবাদ করে। পরে সে মুনাকে রিকশায় করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সন্ধ্যায় গেন্ডায় আব্দুর রহমানের মোটরসাইকেলের গ্যারেজের কাছে মারুফের ওপর হামলা চালায় আসামিরা। মঞ্জু তাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে মারাত্মক আহত হয় মারুফ। তাকে চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে রেফার করা হয়। সেখানে নেওয়ার পথে মারা যায় মারুফ।

এ ঘটনায় মারুফের ভাই লুৎফর রহমান খান মানিক ২২ আগস্ট সাভার মডেল থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান ২০১৯ সালের ৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২২ সালের ২৩ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।