ঢাকা ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo এবার সিরাজগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ Logo ১৩ মার্চ ‘আছিয়া দিবস’ পালনের প্রস্তাব জামায়াতের Logo ঢাবির সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক আর নেই Logo প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে দুই দফা ধর্ষণে শিকার তরুণী Logo ঝিকরগাছায় ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে শহীদ দিবস ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo সংস্কার সুপারিশ নিয়ে মতামত দিয়েছে ৭ দল, সময় চেয়েছে ১৬টি দল Logo সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে মতামত দেবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন Logo ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে: প্রেস সচিব Logo স্ত্রীসহ সাবেক বিজিবি প্রধানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা Logo সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান রাশিয়ার

রাতেই ঢাবিতে আ. লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মসূচির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:০১:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • 0 Views

আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করার প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ হয়েছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়া থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় এটি।

সমাবেশে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ জানায়, ‘অভ্যুত্থান চলাকালীন লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের শিক্ষার্থী, শ্রমিকদের প্রকাশ্যে গুলি করে, কুপিয়ে হত্যা করেছে।

কিন্তু আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে খুনিদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখিনি। চব্বিশের রক্তের সঙ্গে এর চেয়ে বড় বেইমানি আর হতে পারে না। অনতিবিলম্বে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনুন।আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে উদ্যোগ নেন। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। শহীদ ভাইদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন।’
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর ছাত্রলীগ বিভিন্ন রূপে ফিরে এসেছে।

কখনও আনসার লীগ আবার কখনও বা রিকশাচালক হয়ে ফিরে এসেছে। তারা কতটা স্পর্ধা দেখালে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে তারা প্রকাশ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারা কাদের মদদে এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার সাহস করে, সেই জবাব তাদের দিতে হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘যদি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ তাদের মোকাবেলা করার জন্য যথেষ্ট। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাতে চাই তারা বাংলাদেশে কোনো নাশকতা করার আগেই তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।

যদি আপনারা ব্যর্থ হন তাহলে বাংলাদেশের জনগণই তাদের প্রতিহত করার জন্য যথেষ্ট।’
সূর্য সেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘দুই হাজার শহীদের রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি‌। কিন্তু ছাত্রলীগ নতুন কর্মসূচি দিয়ে আবার মাঠে আসার পায়তারা করছে। সরকারের কাছে জানতে চাই, পাঁচ মাস অতিবাহিত না হতেই তারা কিভাবে কর্মসূচি ঘোষণা দেয়।’

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার সিরাজগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

রাতেই ঢাবিতে আ. লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মসূচির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০৯:০১:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করার প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ হয়েছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়া থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় এটি।

সমাবেশে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ জানায়, ‘অভ্যুত্থান চলাকালীন লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের শিক্ষার্থী, শ্রমিকদের প্রকাশ্যে গুলি করে, কুপিয়ে হত্যা করেছে।

কিন্তু আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে খুনিদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখিনি। চব্বিশের রক্তের সঙ্গে এর চেয়ে বড় বেইমানি আর হতে পারে না। অনতিবিলম্বে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনুন।আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে উদ্যোগ নেন। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। শহীদ ভাইদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন।’
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর ছাত্রলীগ বিভিন্ন রূপে ফিরে এসেছে।

কখনও আনসার লীগ আবার কখনও বা রিকশাচালক হয়ে ফিরে এসেছে। তারা কতটা স্পর্ধা দেখালে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে তারা প্রকাশ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারা কাদের মদদে এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার সাহস করে, সেই জবাব তাদের দিতে হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘যদি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ তাদের মোকাবেলা করার জন্য যথেষ্ট। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাতে চাই তারা বাংলাদেশে কোনো নাশকতা করার আগেই তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।

যদি আপনারা ব্যর্থ হন তাহলে বাংলাদেশের জনগণই তাদের প্রতিহত করার জন্য যথেষ্ট।’
সূর্য সেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘দুই হাজার শহীদের রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি‌। কিন্তু ছাত্রলীগ নতুন কর্মসূচি দিয়ে আবার মাঠে আসার পায়তারা করছে। সরকারের কাছে জানতে চাই, পাঁচ মাস অতিবাহিত না হতেই তারা কিভাবে কর্মসূচি ঘোষণা দেয়।’