গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকেমাইলেজ সমস্যাসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন রেলের রানিং স্টাফরা। কর্তৃপক্ষ তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে কর্মবিরতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন তারা। যার মাধ্যমে ৩০ ঘণ্টা পর সারা দেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) কয়েক দফায় তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে মধ্যরাতে কর্মবিরতি থেকে সরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়ন। পরে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে রাজশাহী থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যায়। এর মাধ্যমে ৩০ ঘণ্টা পর সারা দেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। অবসান ঘটেছে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগের।
জানা যায়, সকাল ৬টা ১০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশ্যে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন, ৬টা ৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেন, ৭টা ৩৫ মিনিটে বনলতা এক্সপেক্স ট্রেন ও ৭টা ৫০ মিনিটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন রাজশাহী স্টেশন ছেড়ে গেছে।
ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় খুশি যাত্রীরা। সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী রমজান আলী বলেন, মঙ্গলবার অনেকেই গন্তব্যে যেতে পারেননি। স্টেশনে এসে শুনেছি কেউ কেউ এখানেই রাত কাটিয়েছেন। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় সকাল থেকে স্টেশনে যাত্রীদের সমাগম লক্ষ্য করা গেছে।
রাজশাহী স্টেশন মাস্টার শহিদুল আলম বলেন, সকাল থেকে সব ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। তবে বনলতা ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি বিশ মিনিট বিলম্বে ছেড়ে গেছে।