ঢাকা ০১:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অস্তিত্ব মেলেনি পুতুলের ‘সূচনা ফাউন্ডেশনের‘ Logo যুক্তরাষ্ট্রে হেলিকপ্টারের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষ, বহু হতাহতের আশঙ্কা Logo কাল থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা, আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা Logo আজ শীতের মধ্যেই যেসব জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে Logo রাতেই ঢাবিতে আ. লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মসূচির প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo ছাত্রলীগের নতুন কর্মসূচী দেওয়ার প্রতিবাদে ববিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত Logo আল-নাসর ও ম্যানচেস্টারসহ টিভিতে যা দেখবেন আজ Logo নারীসহ দুই শিক্ষার্থীকে মেরে হাসপাতালে পাঠালেন ছাত্রদল কর্মী Logo বিপ্লবীদের ঘায়েল করতে নিশানা ঠিক করা হচ্ছে: সাদিক কায়েম Logo ভারতে কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু

গোডাউন থেকে গায়েব ১৭ হাজারের বেশি বই, উদ্ধার হয়েছে ৯৬৭০টি

কুড়িগ্রামের রৌমারী থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের ৯ হাজার সরকারি বই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। তবে তদন্তে উদ্ধার হওয়া বইয়ের চেয়ে গোডাউনে বই ঘাটতির পরিমাণ আরও বেশি বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে উপজেলা প্রশাসনসহ শিক্ষা বিভাগের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

গত ২২ জানুয়ারি রাতে শেরপুর সদর উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের ট্রাকভর্তি ৯ হাজার সরকারি বই জব্দ করে পুলিশ। বইগুলো কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে রৌমারী উপজেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে শিক্ষা বিভাগও তদন্ত করে।

তদন্ত প্রতিবেদনের একটি কপি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। তাতে দেখা গেছে, গোডাউনে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই ঘাটতি রয়েছে ১৭ হাজার ৫৩৩টি। এর মধ্যে শেরপুর থানা কর্তৃক ৯ হাজার ৬৭০টি বই উদ্ধার করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৭ হাজার ৮৬৩টি বইয়ের কোনো হদিস মেলেনি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, তদন্তে রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের গোডাউনে বই ঘাটতির প্রমাণ মিলেছে। ঘাটতির পরিমাণ উদ্ধার হওয়া বইয়ের প্রায় দ্বিগুণ। শুধু তাই নয়, গোডাউনে কিছু বাড়তি বইও পাওয়া গেছে। তবে সেসব বইয়ের কোনো চালান ও নথি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, একই গোডাউনে ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ, বাংলাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতা, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, ইসলাম শিক্ষা এবং হিন্দুধর্ম শিক্ষা বিষয়ের মোট ৮ হাজার ৫৬১টি বই মজুদ রয়েছে। তবে তার কোনো চালান কপি পায়নি তদন্ত কমিটি। বইগুলো কীভাবে গোডাউনে এসেছে সে বিষয়ে গোডাউনের দায়িত্বে থাকা উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ও অফিস সহায়ক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, রৌমারীতে ২০২৫ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে এখন পর্যন্ত বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৬৬ হাজার ৭৫০টি বই। এর মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪১ হাজার ৭৮১ বই বিতরণ করা হয়েছে। সে হিসেবে শিক্ষা অফিসের গোডাউনে আরও ২৪ হাজার ৭৬৭ বই থাকার কথা।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটি শিক্ষা অফিসের গোডাউনে মোট বই পেয়েছে ৭ হাজার ৪৩৬টি। বরাদ্দ ও বিতরণের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১৭ হাজার ৫৩৩টি বই ঘাটতি রয়েছে। এর মধ্যে শেরপুরে ৯ হাজার বই উদ্ধার হলেও বাকি বইয়ের কোনো হদিস মেলেনি।

সরকারিভাবে বিনামূল্যে বিতরণের বই উদ্ধারের ঘটনায় শেরপুর থানা পুলিশ বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ট্রাকচালক সজল মিয়া এবং বইয়ের সঙ্গে থাকা মাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে শেরপুর থানা পুলিশ। মাহিদুলের বাড়ি রৌমারী উপজেলায়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক (পিয়ন) জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে সরকারি বই পাচার, অর্থ আত্মসাৎসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, বিপুল পরিমাণ বই চুরি ও পাচারের সঙ্গে শুধু নিম্নশ্রেণির কর্মচারী জড়িত থাকতে পারে না। এর সঙ্গে বই বিতরণে জড়িত শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বশীলদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের দাবি করে গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, রৌমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসের গোডাউনে রাখা বই সংরক্ষণ ও বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোক্তার হোসেন, অফিস সহকারী আখেরুল ইসলাম এবং পিয়ন জামাল উদ্দিন। প্রাথমিক তদন্তে তাদের প্রত্যেকের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে।

এদিকে বই উদ্ধারের ঘটনায় দায়িত্বে থাকা পিয়ন জামালকে গ্রেপ্তার করা হলেও অপর দুই দায়িত্বশীল উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার এবং অফিস সহকারী আখেরুল ইসলাম বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার (ডিইও) শামসুল আলম।

ডিইও বলেন, ‘পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। একাডেমিক সুপারভাইজার এবং অফিস সহকারী দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এখনও ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।’ জেলার অন্য উপজেলাগুলোতেও বইয়ের গোডাউনের মজুদ ও বিতরণ যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিইও।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেছেন, ‘তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বই পাচারের ঘটনায় আরও কারও সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সাথে প্রাথমিক পর্যায়ের বইয়ের হিসাবও মিলেয়ে দেখার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

অস্তিত্ব মেলেনি পুতুলের ‘সূচনা ফাউন্ডেশনের‘

গোডাউন থেকে গায়েব ১৭ হাজারের বেশি বই, উদ্ধার হয়েছে ৯৬৭০টি

আপডেট সময় ০৯:০১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

কুড়িগ্রামের রৌমারী থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের ৯ হাজার সরকারি বই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। তবে তদন্তে উদ্ধার হওয়া বইয়ের চেয়ে গোডাউনে বই ঘাটতির পরিমাণ আরও বেশি বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে উপজেলা প্রশাসনসহ শিক্ষা বিভাগের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

গত ২২ জানুয়ারি রাতে শেরপুর সদর উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের ট্রাকভর্তি ৯ হাজার সরকারি বই জব্দ করে পুলিশ। বইগুলো কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে রৌমারী উপজেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে শিক্ষা বিভাগও তদন্ত করে।

তদন্ত প্রতিবেদনের একটি কপি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। তাতে দেখা গেছে, গোডাউনে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই ঘাটতি রয়েছে ১৭ হাজার ৫৩৩টি। এর মধ্যে শেরপুর থানা কর্তৃক ৯ হাজার ৬৭০টি বই উদ্ধার করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৭ হাজার ৮৬৩টি বইয়ের কোনো হদিস মেলেনি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, তদন্তে রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের গোডাউনে বই ঘাটতির প্রমাণ মিলেছে। ঘাটতির পরিমাণ উদ্ধার হওয়া বইয়ের প্রায় দ্বিগুণ। শুধু তাই নয়, গোডাউনে কিছু বাড়তি বইও পাওয়া গেছে। তবে সেসব বইয়ের কোনো চালান ও নথি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, একই গোডাউনে ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ, বাংলাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতা, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, ইসলাম শিক্ষা এবং হিন্দুধর্ম শিক্ষা বিষয়ের মোট ৮ হাজার ৫৬১টি বই মজুদ রয়েছে। তবে তার কোনো চালান কপি পায়নি তদন্ত কমিটি। বইগুলো কীভাবে গোডাউনে এসেছে সে বিষয়ে গোডাউনের দায়িত্বে থাকা উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ও অফিস সহায়ক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, রৌমারীতে ২০২৫ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে এখন পর্যন্ত বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৬৬ হাজার ৭৫০টি বই। এর মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪১ হাজার ৭৮১ বই বিতরণ করা হয়েছে। সে হিসেবে শিক্ষা অফিসের গোডাউনে আরও ২৪ হাজার ৭৬৭ বই থাকার কথা।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটি শিক্ষা অফিসের গোডাউনে মোট বই পেয়েছে ৭ হাজার ৪৩৬টি। বরাদ্দ ও বিতরণের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১৭ হাজার ৫৩৩টি বই ঘাটতি রয়েছে। এর মধ্যে শেরপুরে ৯ হাজার বই উদ্ধার হলেও বাকি বইয়ের কোনো হদিস মেলেনি।

সরকারিভাবে বিনামূল্যে বিতরণের বই উদ্ধারের ঘটনায় শেরপুর থানা পুলিশ বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ট্রাকচালক সজল মিয়া এবং বইয়ের সঙ্গে থাকা মাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে শেরপুর থানা পুলিশ। মাহিদুলের বাড়ি রৌমারী উপজেলায়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক (পিয়ন) জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে সরকারি বই পাচার, অর্থ আত্মসাৎসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, বিপুল পরিমাণ বই চুরি ও পাচারের সঙ্গে শুধু নিম্নশ্রেণির কর্মচারী জড়িত থাকতে পারে না। এর সঙ্গে বই বিতরণে জড়িত শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বশীলদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের দাবি করে গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, রৌমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসের গোডাউনে রাখা বই সংরক্ষণ ও বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোক্তার হোসেন, অফিস সহকারী আখেরুল ইসলাম এবং পিয়ন জামাল উদ্দিন। প্রাথমিক তদন্তে তাদের প্রত্যেকের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে।

এদিকে বই উদ্ধারের ঘটনায় দায়িত্বে থাকা পিয়ন জামালকে গ্রেপ্তার করা হলেও অপর দুই দায়িত্বশীল উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার এবং অফিস সহকারী আখেরুল ইসলাম বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার (ডিইও) শামসুল আলম।

ডিইও বলেন, ‘পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। একাডেমিক সুপারভাইজার এবং অফিস সহকারী দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এখনও ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।’ জেলার অন্য উপজেলাগুলোতেও বইয়ের গোডাউনের মজুদ ও বিতরণ যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিইও।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেছেন, ‘তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বই পাচারের ঘটনায় আরও কারও সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সাথে প্রাথমিক পর্যায়ের বইয়ের হিসাবও মিলেয়ে দেখার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’