ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে কার্যক্রম স্থগিত করল ইউএসএআইডি

বাংলাদেশে কার্যক্রম স্থগিত করল ইউএসএআইডি

বাংলাদেশের সব কাজে যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি তাৎণিকভাবে স্থগিত বা বিরতি ঘোষণা করেছে। চুক্তি, কাজের আদেশ, অনুদান, কোঅপারেটিভ চুক্তি বা অন্যান্য সহায়তা বা যন্ত্র সরবরাহের মতো সব ধরণের কাজই স্থগিত করেছে তারা।

গতকাল শনিবার ইউএসএআইডি এই বিষয়ে একটি বার্তা পাঠিয়ে তাৎণিক স্থগিতের ঘোষণা দেয়। দাতা সংস্থাটি এতোদিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নের উপর নির্ভরশীল ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহায়তা স্থগিত করে আদেশের কারণে এর প্রভাব বিভিন্ন খাতে পড়তে শুরু করেছে।

ইউএসএআইডি তাদের তহবিল স্থগিতের বিষয়ে একটি চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্প্রতি জারি করা নির্বাহী আদেশের কথা উল্লেখ করেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি, কাজের আদেশ, অনুদান, কোঅপারেটিভ চুক্তির অধীনের সরাসরি ইউএসএআইডি ও বাংলাদেশে বাস্তবায়নকারী অন্যান্য সংস্থার কার্যক্রম স্থগিত করেছে।’

২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ট্রাম্প তার বিদেশী উন্নয়ন সহায়তার কার্যক্রমে ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ দেন। তবে এ আদেশের পরিসর তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

বাংলাদেশ মার্কিন তহবিলপ্রাপ্ত বিভিন্ন প্রকল্পের অংশীদার। এর মধ্যে মার্কিন-অনুদানপ্রাপ্ত অনেক এনজিওও রয়েছে। তারা এই আদেশের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব বিদ্যমান বিদেশী সহায়তার জন্য “স্টপ-ওয়ার্ক” আদেশ জারি করেছে। ট্রাম্প তার পররাষ্ট্রনীতির সাথে সহায়তার বরাদ্দের সঙ্গতি পর্যালোচনা করার জন্য নতুন সহায়তাও স্থগিত করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশী সহায়তা দপ্তর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েল এবং মিশরের জন্য সামরিক অর্থায়নের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে প্রতিবেদনে আর কোনো দেশের কথা বলা হয়নি।

এই পদক্ষেপটি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতা দেশ। ২০২৩ অর্থবছরে দেশটি ৭২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান করেছে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওর যথাযথ পর্যালোচনার পর বিধি অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব বিদেশী সহায়তা পরবর্তীতে দেওয়া হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, রুবিওর যথাযথ পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান বিদেশী সহায়তাগুলো বন্ধ করার নির্দেশনাও অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয়করণ করে শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরিয়ে দিন: চরমোনাই পীর

বাংলাদেশে কার্যক্রম স্থগিত করল ইউএসএআইডি

আপডেট সময় ০৫:২০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের সব কাজে যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি তাৎণিকভাবে স্থগিত বা বিরতি ঘোষণা করেছে। চুক্তি, কাজের আদেশ, অনুদান, কোঅপারেটিভ চুক্তি বা অন্যান্য সহায়তা বা যন্ত্র সরবরাহের মতো সব ধরণের কাজই স্থগিত করেছে তারা।

গতকাল শনিবার ইউএসএআইডি এই বিষয়ে একটি বার্তা পাঠিয়ে তাৎণিক স্থগিতের ঘোষণা দেয়। দাতা সংস্থাটি এতোদিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নের উপর নির্ভরশীল ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহায়তা স্থগিত করে আদেশের কারণে এর প্রভাব বিভিন্ন খাতে পড়তে শুরু করেছে।

ইউএসএআইডি তাদের তহবিল স্থগিতের বিষয়ে একটি চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্প্রতি জারি করা নির্বাহী আদেশের কথা উল্লেখ করেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি, কাজের আদেশ, অনুদান, কোঅপারেটিভ চুক্তির অধীনের সরাসরি ইউএসএআইডি ও বাংলাদেশে বাস্তবায়নকারী অন্যান্য সংস্থার কার্যক্রম স্থগিত করেছে।’

২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ট্রাম্প তার বিদেশী উন্নয়ন সহায়তার কার্যক্রমে ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ দেন। তবে এ আদেশের পরিসর তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

বাংলাদেশ মার্কিন তহবিলপ্রাপ্ত বিভিন্ন প্রকল্পের অংশীদার। এর মধ্যে মার্কিন-অনুদানপ্রাপ্ত অনেক এনজিওও রয়েছে। তারা এই আদেশের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব বিদ্যমান বিদেশী সহায়তার জন্য “স্টপ-ওয়ার্ক” আদেশ জারি করেছে। ট্রাম্প তার পররাষ্ট্রনীতির সাথে সহায়তার বরাদ্দের সঙ্গতি পর্যালোচনা করার জন্য নতুন সহায়তাও স্থগিত করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশী সহায়তা দপ্তর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েল এবং মিশরের জন্য সামরিক অর্থায়নের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে প্রতিবেদনে আর কোনো দেশের কথা বলা হয়নি।

এই পদক্ষেপটি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতা দেশ। ২০২৩ অর্থবছরে দেশটি ৭২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান করেছে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওর যথাযথ পর্যালোচনার পর বিধি অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব বিদেশী সহায়তা পরবর্তীতে দেওয়া হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, রুবিওর যথাযথ পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান বিদেশী সহায়তাগুলো বন্ধ করার নির্দেশনাও অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।