ঢাকা ০১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‎ছাত্রদল নেতাকে মেরে ছিনতাইয়ের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে Logo ডাকসু নির্বাচনে বল পেন ব্যবহারে ভোট নষ্ট হয়েছে -আবিদ Logo রাবিতে কর্মবিরতি উপেক্ষা করে গাছতলায় ক্লাস নিলেন অধ্যাপক মোর্শেদুল Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মশাল মিছিল, ধাওয়া দিয়ে ৪ জনকে ধরল জনতা Logo রাতভর বৃষ্টিতে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা, বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত ১ Logo লক্ষ্মীপুরে বিকাশ-নগদ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান, গ্রেপ্তার ৪ Logo উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের পথে নুর Logo কুমিল্লা-৩ আসনে ভোটের মাঠে দৌড়াচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ইউসুফ হাকিম সোহেল Logo চট্টগ্রাম মিরসরাইয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, আহত ৫ Logo রাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের

সুদানে হাসপাতালে ড্রোন হামলা, নিহত ৩০

সুদানে হাসপাতালে ড্রোন হামলা, নিহত ৩০

সুদানের দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশারে সর্বশেষ সচল হাসপাতালগুলোর একটি—সৌদি হাসপাতালে ড্রোন হামলায় ৩০ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছে। একটি চিকিৎসা সূত্র শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে।

নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় হওয়া এই বোমা হামলায় জরুরি চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হাসপাতালের ভবনটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলা সুদানের যুদ্ধরত কোন পক্ষ চালিয়েছে, তা স্পষ্ট হয়নি।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আরএসএফ বিস্তীর্ণ পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুরের প্রায় পুরোটা দখল করেছে এবং মে মাস থেকে এল-ফাশার শহরটি অবরোধ করে রেখেছে। তবে শহরটি এখনো তারা দখল করতে পারেনি। কারণ সেনাবাহিনী সমর্থিত মিলিশিয়ারা তাদের বারবার প্রতিহত করছে।

চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ আগে একই ভবনটি আরএসএফের একটি ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল। এল-ফাশারে স্বাস্থ্যসেবার ওপর আক্রমণ একটি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স এ মাসে জানিয়েছে, সৌদি হাসপাতালটিই শহরের একমাত্র সরকারি হাসপাতাল, যেখানে অস্ত্রোপচারের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশজুড়ে ৮০ শতাংশের বেশি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে।

এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, এক কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। এল-ফাশার অঞ্চলের আশপাশে তিনটি শরণার্থী শিবিরে—জামজাম, আবু শউক ও আল-সালামে ইতিমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মূল্যায়নে বলা হয়েছে, আগামী মে মাসের মধ্যে এই দুর্ভিক্ষ আরো পাঁচটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে, যার মধ্যে এল-ফাশার শহরও রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

‎ছাত্রদল নেতাকে মেরে ছিনতাইয়ের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

সুদানে হাসপাতালে ড্রোন হামলা, নিহত ৩০

আপডেট সময় ১০:৪৮:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

সুদানের দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশারে সর্বশেষ সচল হাসপাতালগুলোর একটি—সৌদি হাসপাতালে ড্রোন হামলায় ৩০ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছে। একটি চিকিৎসা সূত্র শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে।

নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় হওয়া এই বোমা হামলায় জরুরি চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হাসপাতালের ভবনটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলা সুদানের যুদ্ধরত কোন পক্ষ চালিয়েছে, তা স্পষ্ট হয়নি।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আরএসএফ বিস্তীর্ণ পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুরের প্রায় পুরোটা দখল করেছে এবং মে মাস থেকে এল-ফাশার শহরটি অবরোধ করে রেখেছে। তবে শহরটি এখনো তারা দখল করতে পারেনি। কারণ সেনাবাহিনী সমর্থিত মিলিশিয়ারা তাদের বারবার প্রতিহত করছে।

চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ আগে একই ভবনটি আরএসএফের একটি ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল। এল-ফাশারে স্বাস্থ্যসেবার ওপর আক্রমণ একটি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স এ মাসে জানিয়েছে, সৌদি হাসপাতালটিই শহরের একমাত্র সরকারি হাসপাতাল, যেখানে অস্ত্রোপচারের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশজুড়ে ৮০ শতাংশের বেশি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে।

এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, এক কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। এল-ফাশার অঞ্চলের আশপাশে তিনটি শরণার্থী শিবিরে—জামজাম, আবু শউক ও আল-সালামে ইতিমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মূল্যায়নে বলা হয়েছে, আগামী মে মাসের মধ্যে এই দুর্ভিক্ষ আরো পাঁচটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে, যার মধ্যে এল-ফাশার শহরও রয়েছে।