ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জ্বলছে ইসরায়েল, সহায়তার প্রস্তাব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের Logo অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ সুপরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ উসকে দিতে চায়: তারেক রহমান Logo শ্রমিকের উন্নয়ন ছাড়া নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা Logo এনসিপির কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ. লীগ সভাপতির মেয়ে Logo পাকিস্তানি সেলিব্রেটিদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ভারত সরকার Logo চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঐতিহাসিক মে দিবস পালিত Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের আয়োজনে ঐতিহাসিক মে দিবস পালিত Logo নওগাঁয় মহান মে দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও সমাবেশ Logo প্রকৌশল ক্যাডারে বৈষম্য ইস্যুতে রুয়েট প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি Logo রাজধানীর ৫০টি জায়গায় বসছে ‘এয়ার পিউরিফায়ার’ যাহা সিগারেটের মতো ক্ষতিকর ধোঁয়া টেনে নিতে সক্ষম

শিবির সেক্রেটারিকে ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে হট্টগোল ছাত্রদল নেতার, পরে চাইলেন ক্ষমা

শিবির সেক্রেটারিকে ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে হট্টগোল ছাত্রদল নেতার, পরে চাইলেন ক্ষমা

রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় নাগরিক কমিটির সভা চলাকালীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি শাখা শিবির সেক্রেটারির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সূত্রাপুর থানা পুলিশের উদ্যোগে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে

সভা চলাকালীন উপস্থিত জবি শিবির সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলামকে জেরা করতে থাকেন সোহরাওয়ার্দী কলেজে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন। এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা চেয়ার ভাঙচুর করতে থাকেন ও মারতে তেড়ে আসেন। পরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে শাখা শিবির সেক্রেটারিকে সরিয়ে ওসির কক্ষে নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আজ সূত্রাপুর থানায় ছাত্র-নাগরিক প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা সভা হয়।

এখানে আমি সূত্রাপুর থানার ওসির দাওয়াতে অ্যাটেন্ড করি। এর আগে সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টারে তাদের সঙ্গে আরো একটা অনুষ্ঠানেও অ্যাটেন্ড করি। তারা আমাকে খুব ভালোভাবেই চেনেন। মিটিংয়ের শেষ দিকে সোহরাওয়ার্দী ছাত্রদলের সেক্রেটারি আমাকে ইশারা করেন।

মিটিংয়ের শেষ দিকে তারা হঠাৎ অ্যাগ্রেসিভ হয়ে তিনজন মিলে হামলা করার জন্যে এগিয়ে আসেন। চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেন। পুলিশের একটা টিম আমাকে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে যেন হামলা না হয়। তিনি আরো বলেন, ‘সেখানে একজন মুরব্বি ছিলেন, তারা তাকেও মারতে আসেন। পুলিশও বলছিল যে তারা আশঙ্কা করছিল মুরব্বির ওপরও হামলা করতে পারে।

এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। কারণ তারা আমাকে চেনেন। কবি নজরুলের ছাত্রদল আমাকে চেনে। তারা জবি ছাত্রদলের সাথে যোগাযোগ না করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সবার সামনে আমরা তা মীমাংসা করার চেষ্টা করছি। একটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে, তারা মারতে আসছিল। তখন আমরা পিনপতন নীরবতা পালন করেছিলাম। আমরা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সুবিধা নেবে। আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছি। তাদের প্রতি আমাদের ক্ষোভ নেই। আমাদের ক্যাম্পাসে সবার সাথে আমরা বন্ধুভাবাপন্ন আছি। হঠাৎ করে বাইরে থেকে এসে ঝামেলা করছে।

এই ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না জানতে চাইলে শিবির সেক্রেটারি রিয়াজুল বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। তবে আমরা ওদিকে যাবো না। আমরা ভুল-বোঝাবুঝি হিসেবে নেব।

সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি। পূর্বের একটি ছবিকে কেন্দ্র করে ভুল-বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। এটার জন্য আমি দুঃখিত।

সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, সভা চলাকালীন শাখা শিবিরের সেক্রেটারির একটি ছবিকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হট্টগোল সৃষ্টি করেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাৎক্ষণিক আমরা শিবিরের সেক্রেটারিকে ব্যারিকেড দিয়ে আমার কক্ষে নিয়ে আসি। ছাত্রদল সভাপতি জসিম উদ্দিন নিজের ভুল বুঝতে পারায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তায় বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

জ্বলছে ইসরায়েল, সহায়তার প্রস্তাব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের

শিবির সেক্রেটারিকে ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে হট্টগোল ছাত্রদল নেতার, পরে চাইলেন ক্ষমা

আপডেট সময় ০৯:৫২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় নাগরিক কমিটির সভা চলাকালীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি শাখা শিবির সেক্রেটারির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সূত্রাপুর থানা পুলিশের উদ্যোগে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে

সভা চলাকালীন উপস্থিত জবি শিবির সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলামকে জেরা করতে থাকেন সোহরাওয়ার্দী কলেজে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন। এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা চেয়ার ভাঙচুর করতে থাকেন ও মারতে তেড়ে আসেন। পরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে শাখা শিবির সেক্রেটারিকে সরিয়ে ওসির কক্ষে নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আজ সূত্রাপুর থানায় ছাত্র-নাগরিক প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা সভা হয়।

এখানে আমি সূত্রাপুর থানার ওসির দাওয়াতে অ্যাটেন্ড করি। এর আগে সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টারে তাদের সঙ্গে আরো একটা অনুষ্ঠানেও অ্যাটেন্ড করি। তারা আমাকে খুব ভালোভাবেই চেনেন। মিটিংয়ের শেষ দিকে সোহরাওয়ার্দী ছাত্রদলের সেক্রেটারি আমাকে ইশারা করেন।

মিটিংয়ের শেষ দিকে তারা হঠাৎ অ্যাগ্রেসিভ হয়ে তিনজন মিলে হামলা করার জন্যে এগিয়ে আসেন। চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেন। পুলিশের একটা টিম আমাকে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে যেন হামলা না হয়। তিনি আরো বলেন, ‘সেখানে একজন মুরব্বি ছিলেন, তারা তাকেও মারতে আসেন। পুলিশও বলছিল যে তারা আশঙ্কা করছিল মুরব্বির ওপরও হামলা করতে পারে।

এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। কারণ তারা আমাকে চেনেন। কবি নজরুলের ছাত্রদল আমাকে চেনে। তারা জবি ছাত্রদলের সাথে যোগাযোগ না করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সবার সামনে আমরা তা মীমাংসা করার চেষ্টা করছি। একটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে, তারা মারতে আসছিল। তখন আমরা পিনপতন নীরবতা পালন করেছিলাম। আমরা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সুবিধা নেবে। আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছি। তাদের প্রতি আমাদের ক্ষোভ নেই। আমাদের ক্যাম্পাসে সবার সাথে আমরা বন্ধুভাবাপন্ন আছি। হঠাৎ করে বাইরে থেকে এসে ঝামেলা করছে।

এই ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না জানতে চাইলে শিবির সেক্রেটারি রিয়াজুল বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। তবে আমরা ওদিকে যাবো না। আমরা ভুল-বোঝাবুঝি হিসেবে নেব।

সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি। পূর্বের একটি ছবিকে কেন্দ্র করে ভুল-বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। এটার জন্য আমি দুঃখিত।

সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, সভা চলাকালীন শাখা শিবিরের সেক্রেটারির একটি ছবিকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হট্টগোল সৃষ্টি করেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাৎক্ষণিক আমরা শিবিরের সেক্রেটারিকে ব্যারিকেড দিয়ে আমার কক্ষে নিয়ে আসি। ছাত্রদল সভাপতি জসিম উদ্দিন নিজের ভুল বুঝতে পারায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তায় বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।