ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চেয়ারম্যান-মেয়র হতে লাগবে স্নাতক ডিগ্রি, হবে না সরাসরি ভোট

চেয়ারম্যান-মেয়র হতে লাগবে স্নাতক ডিগ্রি হবে না সরাসরি ভোট

পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক হতে পারে। নিরক্ষর ও স্বল্পশিক্ষিতরা এসব পদে নির্বাচন করতে পারবেন না।

এছাড়া, সরাসরি ভোটের বিধান বাতিলের কথাও ভাবা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত বিশ্লেষণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এমন সুপারিশ করতে যাচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।

সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণ মানুষের অভিযোগ— দল-পেশিশক্তি ও টাকার দাপটের কারণে শিক্ষিত মানুষ জনপ্রতিনিধি হতে পারেন না। নিরক্ষর লোক যেন জনপ্রতিনিধি হতে না পারেন, শিক্ষিতরা জনপ্রতিনিধি হতে আগ্রহী হন এবং বিজয়ী হয়ে আসতে পারেন, এমনভাবে সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভোটাররা সরাসরি ভোটে ইউপি সদস্য (মেম্বার) নির্বাচিত করবেন।

ইউপি সদস্যরা ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন, যাকে কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। ইউপি সদস্যদের মধ্যে একজনকে সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হবে। সভাধ্যক্ষকেও স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। একইভাবে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নির্বাচন হবে।

জানা গেছে, সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে হবে চেয়ারম্যান ও মেয়রদের। তাদের বেতন কাঠামোতেও সংস্কারের প্রস্তাব আনা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের বেতন উপজেলা পর্যায়ের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সমান এবং পৌর মেয়রের বেতন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমান হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

আসাদুজ্জামান বাংলাদেশের কসাই: প্রেসসচিব

চেয়ারম্যান-মেয়র হতে লাগবে স্নাতক ডিগ্রি, হবে না সরাসরি ভোট

আপডেট সময় ০৬:৫২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক হতে পারে। নিরক্ষর ও স্বল্পশিক্ষিতরা এসব পদে নির্বাচন করতে পারবেন না।

এছাড়া, সরাসরি ভোটের বিধান বাতিলের কথাও ভাবা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত বিশ্লেষণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এমন সুপারিশ করতে যাচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।

সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণ মানুষের অভিযোগ— দল-পেশিশক্তি ও টাকার দাপটের কারণে শিক্ষিত মানুষ জনপ্রতিনিধি হতে পারেন না। নিরক্ষর লোক যেন জনপ্রতিনিধি হতে না পারেন, শিক্ষিতরা জনপ্রতিনিধি হতে আগ্রহী হন এবং বিজয়ী হয়ে আসতে পারেন, এমনভাবে সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভোটাররা সরাসরি ভোটে ইউপি সদস্য (মেম্বার) নির্বাচিত করবেন।

ইউপি সদস্যরা ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন, যাকে কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। ইউপি সদস্যদের মধ্যে একজনকে সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হবে। সভাধ্যক্ষকেও স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। একইভাবে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নির্বাচন হবে।

জানা গেছে, সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে হবে চেয়ারম্যান ও মেয়রদের। তাদের বেতন কাঠামোতেও সংস্কারের প্রস্তাব আনা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের বেতন উপজেলা পর্যায়ের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সমান এবং পৌর মেয়রের বেতন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমান হবে।