জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জুলাই আন্দোলনের সময় হওয়া হামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বিলম্ব এবং প্রশাসনের বিচারিক কার্যক্রমে গড়িমসির প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রাতে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে ‘গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ ব্যানারে মশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রক্টর অফিসের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন- ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন প্রশাসন এলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং প্রশাসনের ভূমিকায় ফ্যাসিবাদীদের রক্ষা করার চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যদি হামলাকারীদের বিচার না হয়, তবে আমরা এক দফার আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। প্রশাসনকে মনে রাখতে হবে, ফ্যাসিস্টদের মতো তাদের সহায়তাকারীদেরও আমরা ক্ষমা করব না।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদা ফাইজা বলেন, হামলার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এখনো প্রকাশিত হয়নি। যদি ২৩ জানুয়ারির মধ্যে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত না হয়, তবে জাকসুর ভোটার তালিকায় হামলাকারীদের নাম থাকলে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করব। প্রয়োজনে আমরা আন্দোলনে নামব।
এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম। তিনি জানান, তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রশাসন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার জন্য সাক্ষ্য আইন যাচাইয়ের জন্য আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে। প্রশাসনের কাজ একটু ধীরগতিতে হয়েছে। আরো দ্রুত গতিতে হওয়া উচিত ছিল। তদন্ত কমিটির প্রধান বলেছে আর কয়েকটি সভা হলেই তারা তাদের কাজ শেষ করতে পারবেন।
সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা আবার মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যান। উপাচার্য বাসভবনে না থাকায় শিক্ষার্থীরা পরে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এসময় উপ-উপাচার্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সেখানে কিছুক্ষণ থেকে তাদের কর্মসূচি শেষ হয়।