ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চানখারপুলে গণহত্যায় সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন Logo জামায়াত নেতা আজহারের আপিল শুনানি মঙ্গলবার Logo নেত্রকোনায় ভাই-ভাতিজার পিটুনিতে আ. লীগ নেতার মৃত্যু Logo ঢাকা বিভাগে আজ প্রাণঘাতী বজ্রপাতের আশঙ্কা Logo প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ Logo প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার ৩ Logo সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য হলো ফ্যাসীবাদ যেন প্রতিষ্ঠা না পায়: আলী রিয়াজ Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’

ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ

ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় বাহিনীর ‘ব্যর্থতার’ জন্য তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পদত্যাগপত্রে হালেভি উল্লেখ করেছেন যে, ৭ অক্টোবরের হামলায় সেনাবাহিনীর ব্যর্থতার জন্য তিনি দায় স্বীকার করছেন এবং সেই কারণেই পদত্যাগ করছেন। যদিও তিনি সেনাবাহিনীর উল্লেখযোগ্য সাফল্যের সময়ে পদত্যাগ করছেন, তবুও তিনি মানছেন যে, যুদ্ধে ইসরায়েলের ‘সব’ লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।

তিনি আরো বলেন, যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। সেনাবাহিনী হামাস ও তার শাসনক্ষমতা আরো ভেঙে দেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে, জিম্মিদের ফেরত আনার নিশ্চয়তা দেবে’ এবং হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া ইসরায়েলিদের তাদের ঘরে ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি করবে। হালেভি ছাড়াও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল ইয়ারন ফিংকেলম্যান পদত্যাগ করেছেন। তিনি গাজা অঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন।

হালেভি ৬ মার্চ তার পদ থেকে সরে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন, তার আগে ‘৭ অক্টোবরের ঘটনাগুলোর তদন্ত শেষ করবেন এবং সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি আরো শক্তিশালী করবেন’ বলে জানিয়েছেন। ইসরায়েলে ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার পর হামাসের সঙ্গে ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধে বিরতি কার্যকরের কিছুদিন পর এই দুজন পদত্যাগ করলেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধা গাজা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায়। সেই হামলায় এক হাজার ২১০ জন নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক।

পাশাপাশি হামলাকারীরা ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়, যার মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা ছিল। হামলার সময় গাজা ছিল কঠোর নজরদারির অধীনে এবং একটি অত্যাধুনিক সীমানা বেড়া দিয়ে ঘেরা, যার মধ্যে সেন্সর ও রিমোট-অপারেটেড মেশিনগান ছিল। সেখানে অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলের একটি প্রধান সামরিক ঘাঁটি ও দক্ষিণাঞ্চলের আবাসিক কমিউনিটি, এমনকি একটি সংগীত উৎসবে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এদের বিরুদ্ধে পুরোপুরি কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সেনাবাহিনীকে তিন দিন সময় নিতে হয়।

চানখারপুলে গণহত্যায় সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন

ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ

আপডেট সময় ১০:০২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় বাহিনীর ‘ব্যর্থতার’ জন্য তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পদত্যাগপত্রে হালেভি উল্লেখ করেছেন যে, ৭ অক্টোবরের হামলায় সেনাবাহিনীর ব্যর্থতার জন্য তিনি দায় স্বীকার করছেন এবং সেই কারণেই পদত্যাগ করছেন। যদিও তিনি সেনাবাহিনীর উল্লেখযোগ্য সাফল্যের সময়ে পদত্যাগ করছেন, তবুও তিনি মানছেন যে, যুদ্ধে ইসরায়েলের ‘সব’ লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।

তিনি আরো বলেন, যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। সেনাবাহিনী হামাস ও তার শাসনক্ষমতা আরো ভেঙে দেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে, জিম্মিদের ফেরত আনার নিশ্চয়তা দেবে’ এবং হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া ইসরায়েলিদের তাদের ঘরে ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি করবে। হালেভি ছাড়াও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল ইয়ারন ফিংকেলম্যান পদত্যাগ করেছেন। তিনি গাজা অঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন।

হালেভি ৬ মার্চ তার পদ থেকে সরে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন, তার আগে ‘৭ অক্টোবরের ঘটনাগুলোর তদন্ত শেষ করবেন এবং সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি আরো শক্তিশালী করবেন’ বলে জানিয়েছেন। ইসরায়েলে ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার পর হামাসের সঙ্গে ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধে বিরতি কার্যকরের কিছুদিন পর এই দুজন পদত্যাগ করলেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধা গাজা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায়। সেই হামলায় এক হাজার ২১০ জন নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক।

পাশাপাশি হামলাকারীরা ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়, যার মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা ছিল। হামলার সময় গাজা ছিল কঠোর নজরদারির অধীনে এবং একটি অত্যাধুনিক সীমানা বেড়া দিয়ে ঘেরা, যার মধ্যে সেন্সর ও রিমোট-অপারেটেড মেশিনগান ছিল। সেখানে অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলের একটি প্রধান সামরিক ঘাঁটি ও দক্ষিণাঞ্চলের আবাসিক কমিউনিটি, এমনকি একটি সংগীত উৎসবে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এদের বিরুদ্ধে পুরোপুরি কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সেনাবাহিনীকে তিন দিন সময় নিতে হয়।