ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘এবারের বাজেট জনগণের জীবনমান উন্নয়ন-ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবে’-অর্থ উপদেষ্টা Logo রং-চং দিয়ে ঈদে ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে দেখলে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo বগুড়ায় মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড স্থাপনের দাবিতে শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন Logo চট্টগ্রামের সাবেক এমপি ছালামের ফ্যাক্টরিতে কেএনএফের পোশাক, আটক ৪ Logo বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার ৫ জামাতের সময়সূচি Logo আস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগ মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর Logo ফ্যাসিজম পুরোপুরি বিদায়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার: জামায়াতে আমির Logo হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সালাহউদ্দিন আহমদের অভিযোগ Logo ৭ জনকে আসামি করে গুমের অভিযোগ জমা দিলেন সালাহউদ্দিন Logo পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারশালায়

গাজার ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুহারা, তীব্র খাদ্যসঙ্কটে ৯১ শতাংশ মানুষ

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরাইল। শেষ পর্যন্ত ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজাকে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরাইল।

গাজায় হতাহতের সংখ্যা
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ৪৬ হাজার ৯১৩ জনের মৃত্যুর হিসাব পেয়েছেন। হাসপাতাল এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই সংখ্যা তৈরি করেছেন তারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ যুদ্ধের এক বছরে শনাক্ত হওয়া নিহতদের মধ্যে ৫৯ শতাংশই ছিল নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ। তবে নভেম্বরে জাতিসংঘের বিশ্লেষণে নিহতের মধ্যে নারী এবং শিশুর সংখ্যা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বলে উল্লেখ করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক লাখ ১০ হাজার ৭৫০ জন ফিলিস্তিনি এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ১৩ জানুয়ারি এক রিপোর্টে জানায়, আহতদের মধ্যে ২৫ শতাংশের আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, তাদের জীবন আর আগের অবস্থায় ফিরবে না।

ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নালে সম্প্রতি একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা মন্ত্রণালয়ের হিসাবের চেয়েও উল্লেখযোগ্য হারে বেশি হতে পারে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যখন নিহতের সংখ্যা গণনা করে তখন তারা সাধারণ নাগরিক এবং যোদ্ধাদের আলাদা কোনো হিসাব করে না।

অবকাঠামো এবং হাসপাতাল
এই সঙ্ঘাতে গাজার অবকাঠামোগত ক্ষতির মাত্রা ব্যাপক। সিএনওয়াই গ্র্যাজুয়েট সেন্টারের অধ্যাপক কোরি শের এবং ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জামন ভ্যান ডেন হোক স্যাটেলাইট চিত্রের মাধ্যমে গাজার ক্ষয়ক্ষতির পরিসর যাচাই করেছেন। ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির বিশ্লেষণে তারা অনুমান করেছেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজার ৫৯ দশমিক ৮ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ইসরাইল বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শহুরে এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে এবং কিছু অবকাঠামোয় একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের স্যাটেলাইট সেন্টারের (ইউএনওস্যাট) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শুরুতে গাজার ৬৯ শতাংশ ভবন ও স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সাথে গাজার রাস্তাঘাটের ৬৮ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

শিক্ষা খাতের ক্ষয়ক্ষতি
গাজার শিক্ষার খাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, তারা জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে ৪৯টি স্কুল ভবনে হামলা চালিয়েছে। ডিসেম্বরের শুরু থেকে ১৩টি স্থানে এ ধরনের হামলার যাচাইকৃত ফুটেজ পেয়েছে বিবিসি ভ্যারিফাই। এই স্থানগুলো তখন আর স্কুল হিসেবে চালু ছিল না। বরং বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল।।

ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি
জাতিসঙ্ঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ) ধারণা করছে, গাজায় অন্তত ১৯ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে যা কি না গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ এই মানুষগুলো গাজায় তাদের বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় যেতে বাধ্য হয়েছেন। কেউ কেউ একাধিকবার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। বিবিসি ভেরিফাই শুরু থেকেই গাজার এই মানুষদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়ার আদেশ নির্দেশগুলো পর্যবেক্ষণ করছে। গাজার ২৩ লাখ মানুষের প্রায় সবাইকে বাড়িঘর ছেড়ে যেতে হয়েছে কারণ ইসরাইল টানা আক্রমণ চালিয়েছে। এ ছাড়া বড় আবাসিক এলাকাগুলো দ্রুত খালি করার নির্দেশও জারি করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, অক্টোবর থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত গাজার উত্তরাঞ্চলে প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা থেকে মানুষকে সরে যেতে বলা হয়। কারণ ইসরাইল উত্তর গাজায় বড় আকারে হামলা চালিয়েছে। এমনকি মানবিক অঞ্চল (হিউমেনিটেরিয়ান জোন) যেখানে ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য যেতে বলা হয়েছিল সেখানেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

ত্রাণের অভাব
জাতিসঙ্ঘের ধারণা, গাজার ৯১ শতাংশ মানুষ তীব্র খাদ্য সঙ্কটে আছে। সরকার, দাতব্য সংস্থা এবং এজেন্সির সাথে কাজ করে আইপিসি নামের একটি গ্রুপ। এই সংস্থাটি জানিয়েছে, উত্তর গাজায় সাম্প্রতিক অভিযানের পর সেখানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এই সঙ্কটগুলোর মধ্যে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কৃষিজমির ক্ষতি। সেপ্টেম্বরে জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলো জানিয়েছে যে, গাজার ৬৭ দশমিক ৬ শতাংশ কৃষিজমি গোলাবর্ষণ, যানবাহন চলাচল ও অন্যান্য সংঘর্ষজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত কয়েক মাসে গাজায় পৌঁছনো ত্রাণসহায়তার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। আগে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ ট্রাক ত্রাণ গাজায় ঢুকত। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ত্রাণ আসা কমে গেছে যা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এছাড়া ত্রাণ ঢুকলেও অনেক সময় তা সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে পারে না। ত্রাণকর্মীরা জানিয়েছেন, অপরাধী চক্রগুলো ত্রাণসহায়তা পৌঁছানোর সময় তা আটকে ফেলে এবং জিনিসপত্র লুট করে। কারণ সেখানে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।

‘এবারের বাজেট জনগণের জীবনমান উন্নয়ন-ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবে’-অর্থ উপদেষ্টা

গাজার ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুহারা, তীব্র খাদ্যসঙ্কটে ৯১ শতাংশ মানুষ

আপডেট সময় ০৭:৫৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরাইল। শেষ পর্যন্ত ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজাকে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরাইল।

গাজায় হতাহতের সংখ্যা
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ৪৬ হাজার ৯১৩ জনের মৃত্যুর হিসাব পেয়েছেন। হাসপাতাল এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই সংখ্যা তৈরি করেছেন তারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ যুদ্ধের এক বছরে শনাক্ত হওয়া নিহতদের মধ্যে ৫৯ শতাংশই ছিল নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ। তবে নভেম্বরে জাতিসংঘের বিশ্লেষণে নিহতের মধ্যে নারী এবং শিশুর সংখ্যা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বলে উল্লেখ করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক লাখ ১০ হাজার ৭৫০ জন ফিলিস্তিনি এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ১৩ জানুয়ারি এক রিপোর্টে জানায়, আহতদের মধ্যে ২৫ শতাংশের আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, তাদের জীবন আর আগের অবস্থায় ফিরবে না।

ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নালে সম্প্রতি একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা মন্ত্রণালয়ের হিসাবের চেয়েও উল্লেখযোগ্য হারে বেশি হতে পারে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যখন নিহতের সংখ্যা গণনা করে তখন তারা সাধারণ নাগরিক এবং যোদ্ধাদের আলাদা কোনো হিসাব করে না।

অবকাঠামো এবং হাসপাতাল
এই সঙ্ঘাতে গাজার অবকাঠামোগত ক্ষতির মাত্রা ব্যাপক। সিএনওয়াই গ্র্যাজুয়েট সেন্টারের অধ্যাপক কোরি শের এবং ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জামন ভ্যান ডেন হোক স্যাটেলাইট চিত্রের মাধ্যমে গাজার ক্ষয়ক্ষতির পরিসর যাচাই করেছেন। ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির বিশ্লেষণে তারা অনুমান করেছেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজার ৫৯ দশমিক ৮ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ইসরাইল বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শহুরে এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে এবং কিছু অবকাঠামোয় একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের স্যাটেলাইট সেন্টারের (ইউএনওস্যাট) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শুরুতে গাজার ৬৯ শতাংশ ভবন ও স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সাথে গাজার রাস্তাঘাটের ৬৮ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

শিক্ষা খাতের ক্ষয়ক্ষতি
গাজার শিক্ষার খাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, তারা জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে ৪৯টি স্কুল ভবনে হামলা চালিয়েছে। ডিসেম্বরের শুরু থেকে ১৩টি স্থানে এ ধরনের হামলার যাচাইকৃত ফুটেজ পেয়েছে বিবিসি ভ্যারিফাই। এই স্থানগুলো তখন আর স্কুল হিসেবে চালু ছিল না। বরং বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল।।

ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি
জাতিসঙ্ঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ) ধারণা করছে, গাজায় অন্তত ১৯ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে যা কি না গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ এই মানুষগুলো গাজায় তাদের বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় যেতে বাধ্য হয়েছেন। কেউ কেউ একাধিকবার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। বিবিসি ভেরিফাই শুরু থেকেই গাজার এই মানুষদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়ার আদেশ নির্দেশগুলো পর্যবেক্ষণ করছে। গাজার ২৩ লাখ মানুষের প্রায় সবাইকে বাড়িঘর ছেড়ে যেতে হয়েছে কারণ ইসরাইল টানা আক্রমণ চালিয়েছে। এ ছাড়া বড় আবাসিক এলাকাগুলো দ্রুত খালি করার নির্দেশও জারি করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, অক্টোবর থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত গাজার উত্তরাঞ্চলে প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা থেকে মানুষকে সরে যেতে বলা হয়। কারণ ইসরাইল উত্তর গাজায় বড় আকারে হামলা চালিয়েছে। এমনকি মানবিক অঞ্চল (হিউমেনিটেরিয়ান জোন) যেখানে ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য যেতে বলা হয়েছিল সেখানেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

ত্রাণের অভাব
জাতিসঙ্ঘের ধারণা, গাজার ৯১ শতাংশ মানুষ তীব্র খাদ্য সঙ্কটে আছে। সরকার, দাতব্য সংস্থা এবং এজেন্সির সাথে কাজ করে আইপিসি নামের একটি গ্রুপ। এই সংস্থাটি জানিয়েছে, উত্তর গাজায় সাম্প্রতিক অভিযানের পর সেখানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এই সঙ্কটগুলোর মধ্যে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কৃষিজমির ক্ষতি। সেপ্টেম্বরে জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলো জানিয়েছে যে, গাজার ৬৭ দশমিক ৬ শতাংশ কৃষিজমি গোলাবর্ষণ, যানবাহন চলাচল ও অন্যান্য সংঘর্ষজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত কয়েক মাসে গাজায় পৌঁছনো ত্রাণসহায়তার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। আগে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ ট্রাক ত্রাণ গাজায় ঢুকত। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ত্রাণ আসা কমে গেছে যা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এছাড়া ত্রাণ ঢুকলেও অনেক সময় তা সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে পারে না। ত্রাণকর্মীরা জানিয়েছেন, অপরাধী চক্রগুলো ত্রাণসহায়তা পৌঁছানোর সময় তা আটকে ফেলে এবং জিনিসপত্র লুট করে। কারণ সেখানে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।