ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

শপথের আগে ওয়াশিংটনে হাজার হাজার মানুষের ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার দুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ, যাদের বেশিরভাগই নারী। এ কর্মসূচির নাম দ্য পিপলস মার্চ, যা আগে উইমেন’স মার্চ হিসেবে পরিচিত ছিল।

এটা ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত হয়ে আসছে। কয়েকটি গ্রুপের একটি জোট এর আয়োজক। তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, তারা ‘ট্রাম্পিজম’ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।

এছাড়া নিউইয়র্ক ও সিয়াটলেও ট্রাম্প বিরোধী ছোটখাটো প্রতিবাদ হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব প্রতিবাদ র‍্যালী এমন সময় হলো যখন ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য শপথ গ্রহণ করতে দেশটির রাজধানীতে এসে পৌঁছেছেন।

শপথের আগেও বেশ কয়েকটি ইভেন্টে যোগ দেওয়ার কথা আছে তার। তবে ওয়াশিংটন ডিসিতে শনিবারের এই পিপল’স মার্চের অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আগের চেয়ে কম। আয়োজকরা ৫০ হাজার মানুষের অংশগ্রহণ আশা করলেও জমায়েত হয় পাঁচ হাজারের মতো।

লিঙ্কন মেমোরিয়ালের দিকে যাত্রা শুরুর আগে প্রতিবাদকারীরা তিনটি পার্কে জমায়েত হয়। যারা এই কর্মসূচির আয়োজন করে, তারা বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক বিষয়ে কাজ করে। এর মধ্যে আছে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন ও নারী অধিকার।

এদিকে শনিবার ওয়াশিংটন মনুমেন্টের সাথে জমায়েত হয়েছিল একদল ট্রাম্প সমর্থকও। সেখানে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ লেখা হ্যাট পরিহিত একজনকে উদ্দেশ্যে করে পিপলস মার্চের একজন নেতা বলেছেন “নো ট্রাম্প, নো কেকেকে”।

ট্রাম্প ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে প্রথমবারের মতো পিপলস মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নারীরা তখন ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পরদিন প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েছিল যাতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। পরে এই আন্দোলন রাজধানী থেকে অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। পরের কয়েক বছরে ট্রাম্পের এজেন্ডার বিরুদ্ধে নারীদের এই ‘মার্চ’ প্রতিবাদ হিসেবে অব্যাহত থাকে।

এদিকে ট্রাম্প শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এসেছেন। তার শপথ গ্রহণ উপলক্ষ্যে ভার্জিনিয়ায় তার গলফ ক্লাবে আতশবাজিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। ওয়াশিংটনে পিপলস মার্চে যোগ দিতে যেসব নারী সমবেত হয়েছেন তাদের অনেকে বিবিসিকে বলেছেন, তাদের বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্য আছে।

ব্রুক নামের একজন প্রতিবাদকারী বলছেন, তিনি গর্ভপাতের সুযোগের বিষয়ে তার সমর্থন জানাতে এসেছেন। তিনি বলেন, “যেভাবে দেশে ভোট হয়েছে তাতে আমি খুশী নই। আমি অত্যন্ত দু:খিত যে আমাদের দেশ এমন একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়েছে যিনি ইতোমধ্যেই একবার ব্যর্থ হয়েছেন এবং আমরা একজন নারী প্রার্থীকে মনোনীত করিনি”।

কায়লা নামে আরেকজন নারী বলছিলেন, কিছু আবেগ তাকে রাজধানীর রাস্তায় নিয়ে এসেছে। তার মতে, “সত্যি বলতে আমি পাগল হয়ে গেছি, আমি দু:খিত আবার আমি আনন্দিত।”

সুশি এসেছেন সান ফ্রান্সিসকো থেকে। সাথে এসেছেন তার বোন আন্নে, যিনি কাছেই বসবাস করেন। তারা দু’জনেই ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শপথ গ্রহণের পর প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন। সে সময়কার ব্যাপক জনসমাগমের কথা মনে করেছেন তিনি। তিনি আশা করেছিলেন ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে মানুষ এখনও রাস্তায় নামবে।

সুশি বলছিলেন, “এবার অংশীদার বেড়েছে। ট্রাম্প আরও সাহসী। তিনি বিলিয়নিয়ার শ্রেণীতে এসেছেন এবং প্রযুক্তি শ্রেণি মাথা নত করেছে।”

আন্নে বলছেন, তিনি বোঝেন যে প্রতিবাদকারীরা আমেরিকার অনেক বিষয় থেকে বাইরে আছেন। ট্রাম্প গত নভেম্বরে দোদুল্যমান সবকয়টি রাজ্যে জয় পেয়েছেন। তিনি বলেন, এরপরেও আমরা এখানে আছি এবং আমরা প্রতিরোধ করবো।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

শপথের আগে ওয়াশিংটনে হাজার হাজার মানুষের ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০১:২০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার দুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ, যাদের বেশিরভাগই নারী। এ কর্মসূচির নাম দ্য পিপলস মার্চ, যা আগে উইমেন’স মার্চ হিসেবে পরিচিত ছিল।

এটা ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত হয়ে আসছে। কয়েকটি গ্রুপের একটি জোট এর আয়োজক। তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, তারা ‘ট্রাম্পিজম’ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।

এছাড়া নিউইয়র্ক ও সিয়াটলেও ট্রাম্প বিরোধী ছোটখাটো প্রতিবাদ হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব প্রতিবাদ র‍্যালী এমন সময় হলো যখন ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য শপথ গ্রহণ করতে দেশটির রাজধানীতে এসে পৌঁছেছেন।

শপথের আগেও বেশ কয়েকটি ইভেন্টে যোগ দেওয়ার কথা আছে তার। তবে ওয়াশিংটন ডিসিতে শনিবারের এই পিপল’স মার্চের অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আগের চেয়ে কম। আয়োজকরা ৫০ হাজার মানুষের অংশগ্রহণ আশা করলেও জমায়েত হয় পাঁচ হাজারের মতো।

লিঙ্কন মেমোরিয়ালের দিকে যাত্রা শুরুর আগে প্রতিবাদকারীরা তিনটি পার্কে জমায়েত হয়। যারা এই কর্মসূচির আয়োজন করে, তারা বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক বিষয়ে কাজ করে। এর মধ্যে আছে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন ও নারী অধিকার।

এদিকে শনিবার ওয়াশিংটন মনুমেন্টের সাথে জমায়েত হয়েছিল একদল ট্রাম্প সমর্থকও। সেখানে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ লেখা হ্যাট পরিহিত একজনকে উদ্দেশ্যে করে পিপলস মার্চের একজন নেতা বলেছেন “নো ট্রাম্প, নো কেকেকে”।

ট্রাম্প ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে প্রথমবারের মতো পিপলস মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নারীরা তখন ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পরদিন প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েছিল যাতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। পরে এই আন্দোলন রাজধানী থেকে অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। পরের কয়েক বছরে ট্রাম্পের এজেন্ডার বিরুদ্ধে নারীদের এই ‘মার্চ’ প্রতিবাদ হিসেবে অব্যাহত থাকে।

এদিকে ট্রাম্প শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এসেছেন। তার শপথ গ্রহণ উপলক্ষ্যে ভার্জিনিয়ায় তার গলফ ক্লাবে আতশবাজিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। ওয়াশিংটনে পিপলস মার্চে যোগ দিতে যেসব নারী সমবেত হয়েছেন তাদের অনেকে বিবিসিকে বলেছেন, তাদের বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্য আছে।

ব্রুক নামের একজন প্রতিবাদকারী বলছেন, তিনি গর্ভপাতের সুযোগের বিষয়ে তার সমর্থন জানাতে এসেছেন। তিনি বলেন, “যেভাবে দেশে ভোট হয়েছে তাতে আমি খুশী নই। আমি অত্যন্ত দু:খিত যে আমাদের দেশ এমন একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়েছে যিনি ইতোমধ্যেই একবার ব্যর্থ হয়েছেন এবং আমরা একজন নারী প্রার্থীকে মনোনীত করিনি”।

কায়লা নামে আরেকজন নারী বলছিলেন, কিছু আবেগ তাকে রাজধানীর রাস্তায় নিয়ে এসেছে। তার মতে, “সত্যি বলতে আমি পাগল হয়ে গেছি, আমি দু:খিত আবার আমি আনন্দিত।”

সুশি এসেছেন সান ফ্রান্সিসকো থেকে। সাথে এসেছেন তার বোন আন্নে, যিনি কাছেই বসবাস করেন। তারা দু’জনেই ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শপথ গ্রহণের পর প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন। সে সময়কার ব্যাপক জনসমাগমের কথা মনে করেছেন তিনি। তিনি আশা করেছিলেন ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে মানুষ এখনও রাস্তায় নামবে।

সুশি বলছিলেন, “এবার অংশীদার বেড়েছে। ট্রাম্প আরও সাহসী। তিনি বিলিয়নিয়ার শ্রেণীতে এসেছেন এবং প্রযুক্তি শ্রেণি মাথা নত করেছে।”

আন্নে বলছেন, তিনি বোঝেন যে প্রতিবাদকারীরা আমেরিকার অনেক বিষয় থেকে বাইরে আছেন। ট্রাম্প গত নভেম্বরে দোদুল্যমান সবকয়টি রাজ্যে জয় পেয়েছেন। তিনি বলেন, এরপরেও আমরা এখানে আছি এবং আমরা প্রতিরোধ করবো।