ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় অবরোধে ‘পুলিশের ছরার গুলিতে’ বিএনপির চার নেতাকর্মী আহত

বগুড়ায় অবরোধে ‘পুলিশের ছরার গুলিতে’ বিএনপির চার নেতাকর্মী আহত

বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা দ্বিতীয় দফায় প্রথম দিনের অবরোধে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে যানবাহন ভাঙচুরের সময় পুলিশের ছররা গুলিতে চারজন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ। রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কের তেলিপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতের মধ্যে একজন হলেন বগুড়া পৌর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড নেতা মো. মাহবুব আলম। অন্যদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

শটগান থেকে নির্গত রাবার বল/সীসা বলকে সাধারণত ছররা গুলি বলা হয়ে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের সমর্থনে জেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা সকাল থেকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের তেলিপুকুর এলাকায় অবস্থান নেন। এরমধ্যে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশি পাহারায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রংপুরের দিক থেকে ছেড়ে আসা কয়েকটি গাড়িতে এলোপাতাড়ি হামলা করেন অবরোধকারীরা। ভাঙচুর করেন কাভার্ডভ্যানসহ কয়েকটি গাড়ি। বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা মহাসড়ক থেকে সরে যান। এ বিষয়ে বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের ছোড়া হাতবোমায় আহত হয়ে থাকতে পারেন। পুলিশ গুলি করেনি। আমরা অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছি।”

এদিকে বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান দাবি করেন, সকাল থেকে অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতাকর্মীরা তেলিপুকুর এলাকায় অবস্থান করছিলেন। “এ সময় পুলিশ আমাদের অবরোধে বাধা দেয়। আমরা প্রতিরোধ করলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে বিএনপির চার নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে বগুড়া পৌর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড নেতা মো. মাহবুব আলম রয়েছেন। অন্যদের নাম পরিচয় বলতে পারছি না,” যোগ করেন তিনি।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বেড়ে নিহতের সংখ্যা এখন ২০৪

বগুড়ায় অবরোধে ‘পুলিশের ছরার গুলিতে’ বিএনপির চার নেতাকর্মী আহত

আপডেট সময় ১২:২৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা দ্বিতীয় দফায় প্রথম দিনের অবরোধে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে যানবাহন ভাঙচুরের সময় পুলিশের ছররা গুলিতে চারজন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ। রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কের তেলিপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতের মধ্যে একজন হলেন বগুড়া পৌর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড নেতা মো. মাহবুব আলম। অন্যদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

শটগান থেকে নির্গত রাবার বল/সীসা বলকে সাধারণত ছররা গুলি বলা হয়ে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের সমর্থনে জেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা সকাল থেকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের তেলিপুকুর এলাকায় অবস্থান নেন। এরমধ্যে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশি পাহারায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রংপুরের দিক থেকে ছেড়ে আসা কয়েকটি গাড়িতে এলোপাতাড়ি হামলা করেন অবরোধকারীরা। ভাঙচুর করেন কাভার্ডভ্যানসহ কয়েকটি গাড়ি। বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা মহাসড়ক থেকে সরে যান। এ বিষয়ে বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের ছোড়া হাতবোমায় আহত হয়ে থাকতে পারেন। পুলিশ গুলি করেনি। আমরা অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছি।”

এদিকে বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান দাবি করেন, সকাল থেকে অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতাকর্মীরা তেলিপুকুর এলাকায় অবস্থান করছিলেন। “এ সময় পুলিশ আমাদের অবরোধে বাধা দেয়। আমরা প্রতিরোধ করলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে বিএনপির চার নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে বগুড়া পৌর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড নেতা মো. মাহবুব আলম রয়েছেন। অন্যদের নাম পরিচয় বলতে পারছি না,” যোগ করেন তিনি।