বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে অবিলম্বে রাজনৈতিক শক্তির কাছে ক্ষমতার হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, অবিলম্বে রাজনৈতিক শক্তির কাছে ক্ষমতা নিয়ে আসতে হবে। শেখ হাসিনা দিনের ভোট রাতে করেছেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আটকে দেওয়া হয়েছিল। মিডনাইট ও ভোটারশূন্য নির্বাচন হয়েছে। সেটির যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য যা করার দরকার সেটি অন্তর্বর্তী সরকারকে করতে হবে। রিজভী বলেন, দেশের জনগণ আর ভোটাধিকার বঞ্চিত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সহ্য করতে চায় না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উদ্যোগে বাড্ডা-রামপুরা-বনশ্রীতে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত কোনোভাবেই স্থির হতে পারছে না বলেও মন্তব্য করেন রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা (ভারত) ক্রমাগতভাবে অপপ্রচার, মিথ্যাচার, অপ-তথ্য দিয়ে কলঙ্ক লেপন করে যাচ্ছে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ এটা করছে না।
অত্যন্ত অস্থির হয়ে গেছে শেখ হাসিনার জন্য তারা। রিজভী বলেন, ‘ওই নরপিশাচ নারীকে কার সাথে তুলনা করবে? আমরা ফেরাউনের কথা বলি, আমরা নমরুদের কথা বলি, এই নরপিশাচ যেন নমরুদ-ফেরাউনের আত্মা নিয়ে লেডি ফেরাউন হয়ে নিজ দেশের শিশু সন্তানদের রক্ত পান করতে দ্বিধা করেননি। আজকে এই দুরাচারী নারী শেখ হাসিনার জন্য কেউ কেউ মায়াকান্না করছেন, কেউ কুমিরের কান্না করছেন এবং যে দেশে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন সেই দেশ যেন কোনোভাবেই স্থির হতে পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পরিবর্তনের পর এ দেশের সাহসী জনতা আর তাদের তারুণ্যের যে উচ্ছ্বাস তাদের যে আত্মদান এটা গৌরবান্বিত হয়েছে; পৃথিবীর আটলান্টিকের ওই পার থেকে প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, আরব সাগর প্রত্যেকটি জায়গায়।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘এ দেশের তরুণ ছাত্র-জনতার এই আত্মদানের ঢেউ যেন গোটা বিশ্বজনতাকে এক ধরনের চমক দিয়েছে। অথচ, পার্শ্ববর্তী দেশ অপতথ্য দিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশে নাকি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। কোথায় অত্যাচার হচ্ছে? অত্যাচার তো করছেন আপনারা। দিল্লিতে জুমার নামাজ আদায়ের সময়ে পুলিশ দিয়ে মুসল্লিদেরকে আঘাত করা হয়েছে। তাদেরকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সেই কারণে শেখ হাসিনা সব সময় দিল্লির আশ্রয় চেয়েছে, দিল্লির আশ্রয় চেয়েছে। শেখ হাসিনা নিজেই বলেছিলেন ভারতকে আমি যা দিয়েছি ভারত সারাজীবন মনে রাখবে। এই কারণেই আজকে ভারতের নীতি-নির্ধারক ও কিছু রাজনৈতিক দল অত্যন্ত অস্থির হয়ে গেছে শেখ হাসিনার জন্য।’
আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুনের সঞ্চালনায় এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক এম এ কাইয়ুম, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দীন বকুল প্রমুখ।