ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব বাজারে চালের কমলেও দেশে বেড়েছে দাম

কোনোভাবেই যেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না দেশের চালের বাজার। রমজান সামনে রেখে আমদানিতে শুল্ক-কর ছাড় দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি কৃষকের ঘরে আমন ধান উঠেছে। তবুও বাড়ছে চালের দাম।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) তথ্য বলছে, গত এক বছরে দেশের বাজারে চালের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। অথচ একই সময়ে বিশ্ব বাজারে চালের দাম কমেছে ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।

রমজান মাস সামনে রেখে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে টিসিবির তথ্য উদ্ধৃত করে বিটিটিসি বলছে, দেশে বছরে চালের চাহিদা ৩ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৩ কোটি ৮০ লাখ টন। শুধু রমজানেই চাহিদা থাকে ৩০ লাখ টনের। বছরে দেশে চাল উৎপাদন হয় ৪ কোটি ৬ লাখ ৯৫ হাজার টন। সেই হিসেবে দেশে চাল উদ্বৃত্ত থাকার কথা।

অন্যদিকে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চালের এলসি খোলা হয়েছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬৬৬ দশমিক ৪৩ টনের। একই সময়ে আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৫২৬ দশমিক ৫১ টন।

বিটিটিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ জানুয়ারি প্রতি কেজি মোটা চালের দর ছিল ৫০-৫৫ টাকা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৮-৫০ টাকা। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে ৫ জানুয়ারি প্রতি টন চালের দাম ছিল ৫২৫ ডলার। এক বছর আগে ছিল ৬৫২ ডলার।

এক বছরের ব্যবধানে বিশ্ব বাজারে চালের দাম ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ কমলেও দেশের বাজারে বেড়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। শুল্ক-কর ছাড় দেওয়ার পরও দেশের বাজারে চালের দাম কমেনি। গত ২০ অক্টোবর চাল আমদানিতে মোট শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হয়। ৩১ অক্টোবর বাকি শুল্কও প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে শুধু ৩ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) বহাল রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্ব বাজারে চালের কমলেও দেশে বেড়েছে দাম

আপডেট সময় ১১:০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

কোনোভাবেই যেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না দেশের চালের বাজার। রমজান সামনে রেখে আমদানিতে শুল্ক-কর ছাড় দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি কৃষকের ঘরে আমন ধান উঠেছে। তবুও বাড়ছে চালের দাম।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) তথ্য বলছে, গত এক বছরে দেশের বাজারে চালের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। অথচ একই সময়ে বিশ্ব বাজারে চালের দাম কমেছে ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।

রমজান মাস সামনে রেখে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে টিসিবির তথ্য উদ্ধৃত করে বিটিটিসি বলছে, দেশে বছরে চালের চাহিদা ৩ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৩ কোটি ৮০ লাখ টন। শুধু রমজানেই চাহিদা থাকে ৩০ লাখ টনের। বছরে দেশে চাল উৎপাদন হয় ৪ কোটি ৬ লাখ ৯৫ হাজার টন। সেই হিসেবে দেশে চাল উদ্বৃত্ত থাকার কথা।

অন্যদিকে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চালের এলসি খোলা হয়েছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬৬৬ দশমিক ৪৩ টনের। একই সময়ে আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৫২৬ দশমিক ৫১ টন।

বিটিটিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ জানুয়ারি প্রতি কেজি মোটা চালের দর ছিল ৫০-৫৫ টাকা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৮-৫০ টাকা। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে ৫ জানুয়ারি প্রতি টন চালের দাম ছিল ৫২৫ ডলার। এক বছর আগে ছিল ৬৫২ ডলার।

এক বছরের ব্যবধানে বিশ্ব বাজারে চালের দাম ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ কমলেও দেশের বাজারে বেড়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। শুল্ক-কর ছাড় দেওয়ার পরও দেশের বাজারে চালের দাম কমেনি। গত ২০ অক্টোবর চাল আমদানিতে মোট শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হয়। ৩১ অক্টোবর বাকি শুল্কও প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে শুধু ৩ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) বহাল রয়েছে।