ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারাল বিশ্বকাপে যায়গা না পাওয়া দল মহররমের চাঁদ দেখা যায়নি, আশুরা ১৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মি মুক্তির বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হামাস চলমান আন্দোলনকে আদালত বিরোধী বলা দেশকে মেধাশূণ্য করার নামান্তর: ইসলামী আন্দোলন নারীর গোসলের ভিডিও করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক পুলিশ সদস্য ডুয়েট শিক্ষার্থী রিফাত-তাওহীদ এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সক্রিয় চাঁদাবাজ চক্র রাতের আঁধারে ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ বগুড়ায় স্বপ্নপূরণ স্কুলে দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টি থেকে এমপি হলেন ২২ বছরের স্যাম কার্লিং কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে সংবিধানবিরোধী: জি এম কাদের

অব্যাহত গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়ে ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

রাজধানীসহ সারাদেশে ছাত্রশিবিরসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে গণগ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও অবিচারের বিরুদ্ধে জেগে উঠা মুক্তিকামী জনতাকে দমন করতে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সারাদেশে গণগ্রেফতার ও নির্যাতন চালাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়ন করতে অবৈধ সরকার চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে। যা গত ২৭ অক্টোবর থেকে তীব্র আকার ধারণ করেছে। গতকাল রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাত্রশিবিরের ৩২ জন নেতাকর্মীসহ বিগত ৭ দিনে সারাদেশে মোট ১৪৫ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেককে নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে হাজির করা হচ্ছে না। পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে জামায়াত-শিবির ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর ধরপাকড় চালাচ্ছে সরকার। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়া গণগ্রেপ্তার করে অবৈধ সরকার তার বিকৃত বাকশালী রূপ প্রকাশ করছে। নির্বিচারে মেধাবী ছাত্রদের গ্রেপ্তার করে শিক্ষাজীবন নষ্ট করে দিচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক নেতাকর্মীই নয়, সাধারণ মানুষও এই গণগ্রেপ্তার ও হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছে না। সরকার যে জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা তাদের আচরণে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “ফ্যাসিবাদী সরকার সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার নামে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। গ্রেপ্তারের পরপরই আইনের তোয়াক্কা না করে নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

জনগণের প্রতিবাদ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ আওয়ামীলীগ যে আজ কতটা দেউলিয়া হয়ে গেছে, তা তাদের কর্মকাণ্ডেই পরিষ্কার হয়ে গেছে। অবিলম্বে এই স্বৈরাচারী আচরণ বন্ধ করতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় নির্বিচার গণগ্রেপ্তারে অবৈধ সরকারের শেষ রক্ষা হবে না; বরং গণবিস্ফোরণ ঘটবে। যা ফ্যাসিবাদী সরকারের জন্য করুণ পরিণতি বয়ে আনবে।”

নেতৃবৃন্দ গণগ্রেপ্তার ও গণহয়রানি বন্ধ করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, ছাত্রশিবিরের গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীসহ বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান।

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারাল বিশ্বকাপে যায়গা না পাওয়া দল

অব্যাহত গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়ে ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

আপডেট সময় ০৯:৪৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

রাজধানীসহ সারাদেশে ছাত্রশিবিরসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে গণগ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও অবিচারের বিরুদ্ধে জেগে উঠা মুক্তিকামী জনতাকে দমন করতে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সারাদেশে গণগ্রেফতার ও নির্যাতন চালাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়ন করতে অবৈধ সরকার চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে। যা গত ২৭ অক্টোবর থেকে তীব্র আকার ধারণ করেছে। গতকাল রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাত্রশিবিরের ৩২ জন নেতাকর্মীসহ বিগত ৭ দিনে সারাদেশে মোট ১৪৫ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেককে নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে হাজির করা হচ্ছে না। পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে জামায়াত-শিবির ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর ধরপাকড় চালাচ্ছে সরকার। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়া গণগ্রেপ্তার করে অবৈধ সরকার তার বিকৃত বাকশালী রূপ প্রকাশ করছে। নির্বিচারে মেধাবী ছাত্রদের গ্রেপ্তার করে শিক্ষাজীবন নষ্ট করে দিচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক নেতাকর্মীই নয়, সাধারণ মানুষও এই গণগ্রেপ্তার ও হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছে না। সরকার যে জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা তাদের আচরণে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “ফ্যাসিবাদী সরকার সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার নামে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। গ্রেপ্তারের পরপরই আইনের তোয়াক্কা না করে নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

জনগণের প্রতিবাদ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ আওয়ামীলীগ যে আজ কতটা দেউলিয়া হয়ে গেছে, তা তাদের কর্মকাণ্ডেই পরিষ্কার হয়ে গেছে। অবিলম্বে এই স্বৈরাচারী আচরণ বন্ধ করতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় নির্বিচার গণগ্রেপ্তারে অবৈধ সরকারের শেষ রক্ষা হবে না; বরং গণবিস্ফোরণ ঘটবে। যা ফ্যাসিবাদী সরকারের জন্য করুণ পরিণতি বয়ে আনবে।”

নেতৃবৃন্দ গণগ্রেপ্তার ও গণহয়রানি বন্ধ করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, ছাত্রশিবিরের গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীসহ বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান।