ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মোটরসাইকেল জব্দ করায় থানায় হামলা, ছাত্রদলের ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Logo নোবিপ্রবিতে ভর্তিচ্ছু সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে ছাত্রদল Logo আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মৌলভীবাজারে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ Logo জুমার পর সবাইকে আন্দোলন মঞ্চে আসার ডাক হাসনাত আবদুল্লাহর Logo ‘৯ মাসেও গণহত্যাকারী দল নিষিদ্ধ হলো না কেন’প্রশ্ন সাদিক কায়েমর Logo যমুনার সামনে রাতে শিবির মাঠে নামায় পাল্টে যায় দৃশ্যপট Logo সকালেও বিক্ষোভ চলছে যমুনার সামনে Logo স্ক্রিনশট স্ক্যান করেই লোকেশন খুঁজে দেবে গুগল ম্যাপ Logo ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’:যুক্তরাষ্ট্র Logo নারায়ণগঞ্জ সাবেক মেয়র আইভী গ্রেপ্তার

অব্যাহত গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়ে ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

রাজধানীসহ সারাদেশে ছাত্রশিবিরসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে গণগ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও অবিচারের বিরুদ্ধে জেগে উঠা মুক্তিকামী জনতাকে দমন করতে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সারাদেশে গণগ্রেফতার ও নির্যাতন চালাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়ন করতে অবৈধ সরকার চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে। যা গত ২৭ অক্টোবর থেকে তীব্র আকার ধারণ করেছে। গতকাল রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাত্রশিবিরের ৩২ জন নেতাকর্মীসহ বিগত ৭ দিনে সারাদেশে মোট ১৪৫ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেককে নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে হাজির করা হচ্ছে না। পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে জামায়াত-শিবির ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর ধরপাকড় চালাচ্ছে সরকার। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়া গণগ্রেপ্তার করে অবৈধ সরকার তার বিকৃত বাকশালী রূপ প্রকাশ করছে। নির্বিচারে মেধাবী ছাত্রদের গ্রেপ্তার করে শিক্ষাজীবন নষ্ট করে দিচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক নেতাকর্মীই নয়, সাধারণ মানুষও এই গণগ্রেপ্তার ও হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছে না। সরকার যে জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা তাদের আচরণে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “ফ্যাসিবাদী সরকার সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার নামে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। গ্রেপ্তারের পরপরই আইনের তোয়াক্কা না করে নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

জনগণের প্রতিবাদ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ আওয়ামীলীগ যে আজ কতটা দেউলিয়া হয়ে গেছে, তা তাদের কর্মকাণ্ডেই পরিষ্কার হয়ে গেছে। অবিলম্বে এই স্বৈরাচারী আচরণ বন্ধ করতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় নির্বিচার গণগ্রেপ্তারে অবৈধ সরকারের শেষ রক্ষা হবে না; বরং গণবিস্ফোরণ ঘটবে। যা ফ্যাসিবাদী সরকারের জন্য করুণ পরিণতি বয়ে আনবে।”

নেতৃবৃন্দ গণগ্রেপ্তার ও গণহয়রানি বন্ধ করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, ছাত্রশিবিরের গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীসহ বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান।

জনপ্রিয় সংবাদ

মোটরসাইকেল জব্দ করায় থানায় হামলা, ছাত্রদলের ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

অব্যাহত গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়ে ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

আপডেট সময় ০৯:৪৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

রাজধানীসহ সারাদেশে ছাত্রশিবিরসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে গণগ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও অবিচারের বিরুদ্ধে জেগে উঠা মুক্তিকামী জনতাকে দমন করতে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সারাদেশে গণগ্রেফতার ও নির্যাতন চালাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়ন করতে অবৈধ সরকার চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে। যা গত ২৭ অক্টোবর থেকে তীব্র আকার ধারণ করেছে। গতকাল রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাত্রশিবিরের ৩২ জন নেতাকর্মীসহ বিগত ৭ দিনে সারাদেশে মোট ১৪৫ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেককে নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে হাজির করা হচ্ছে না। পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে জামায়াত-শিবির ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর ধরপাকড় চালাচ্ছে সরকার। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়া গণগ্রেপ্তার করে অবৈধ সরকার তার বিকৃত বাকশালী রূপ প্রকাশ করছে। নির্বিচারে মেধাবী ছাত্রদের গ্রেপ্তার করে শিক্ষাজীবন নষ্ট করে দিচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক নেতাকর্মীই নয়, সাধারণ মানুষও এই গণগ্রেপ্তার ও হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছে না। সরকার যে জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা তাদের আচরণে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “ফ্যাসিবাদী সরকার সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার নামে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। গ্রেপ্তারের পরপরই আইনের তোয়াক্কা না করে নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

জনগণের প্রতিবাদ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ আওয়ামীলীগ যে আজ কতটা দেউলিয়া হয়ে গেছে, তা তাদের কর্মকাণ্ডেই পরিষ্কার হয়ে গেছে। অবিলম্বে এই স্বৈরাচারী আচরণ বন্ধ করতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় নির্বিচার গণগ্রেপ্তারে অবৈধ সরকারের শেষ রক্ষা হবে না; বরং গণবিস্ফোরণ ঘটবে। যা ফ্যাসিবাদী সরকারের জন্য করুণ পরিণতি বয়ে আনবে।”

নেতৃবৃন্দ গণগ্রেপ্তার ও গণহয়রানি বন্ধ করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, ছাত্রশিবিরের গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীসহ বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান।