লস অ্যাঞ্জেলেসের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের থেকে অবৈধভাবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়োর অভিযোগ উঠেছে বাড়িওয়ালাদের বিরুদ্ধে। আমেরিকান রিয়েলিটি টিভি সিরিজ সেলিং সানসেট তারকা ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী জেসন ওপেনহেইম এই অভিযোগ তুলেছেন।
তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে ঘরবাড়ি হারানো এক গ্রাহককে একটি বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় আগের নির্ধারিত ১৩ হাজার ডলারের পরিবর্তে ২৩ হাজার ডলার দিতে বলা হয়। অথচ ক্যালিফোর্নিয়ার ‘প্রাইস গাউজিং’ আইন অনুযায়ী কোনো পণ্যের দাম ১০ শতাংশের বেশি বাড়ানো বেআইনি। জিলো ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি সম্পত্তির গড় মাসিক ভাড়া ২ হাজার ৮০০ ডলার।
বিবিসি ওয়ানের সানডে উইথ লরা কুইন্সবার্গ অনুষ্ঠানে ওপেনহেইম বলেন, আমার কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করছে ও অনেক মানুষ আমাদের কাছে সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করছে। কিন্তু কিছু বাড়িমালিক অযৌক্তিক ভাড়া দাবি করছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বোন্টাও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এটি একটি অপরাধ এবং এর জন্য এক বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৬৯ বছর বয়সী ব্রায়ান জানান, তিনি দুই দশক ধরে প্যাসিফিক প্যালিসেডে একটি ভাড়া-নিয়ন্ত্রিত অ্যাপার্টমেন্টে বাস করতেন। এখন তার পেনশনের মাধ্যমে নতুন একটি বাসস্থান খুঁজে পাওয়া তার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, এই বিপর্যয়ের সময়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা বলেন, অপরাধী বা প্রতারক যারা ভুক্তভোগীদের শোষণ করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের প্রধান জিম ম্যাকডোনেল সাধারণ মানুষকে প্রতারণা থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যারা সাহায্য করতে চান, তাদের অবশ্যই নির্ভরযোগ্য সংস্থার মাধ্যমে দান করতে হবে।