লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বর্তমানে হুইল চেয়ার ছাড়াই তিনি হাঁটাহাটি করতে পারছেন।
এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, গতকাল রবিবার অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি দেখে গেছেন খালেদা জিয়াকে। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা চলছে তার।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্টগুলো আসতে শুরু করেছে। সব রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সেগুলোর ভিত্তিতে পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ডাক্তাররা। তবে তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বেশ ভালো। চিকিৎসার পাশাপাশি সব সময় দেশের খোঁজ খবর নিচ্ছেন তিনি। দেশের জনগণের পাশে থাকতে দলীয় কর্মীদের দিয়েছেন নির্দেশনা।
এ বিষয়ে বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী জানান, হাসপাতালে হুইল চেয়ার ছাড়াই হাঁটাহাটি করেছেন খালেদা জিয়া। শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিদিনই রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে বিএনপি নেত্রীর। আজ সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
এদিকে, প্রতিদিনের মতো গতকালও স্থানীয় সময় দুপুরে বাড়িতে তৈরি খাবার নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। এসময় সংবাদিকরা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে মায়ের জন্য দোয়া চান তিনি।
উল্লেখ্য, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। এর মধ্যে কয়েকবার তিনি জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও পড়েন। একাধিকবার তার মৃত্যুর গুজবও ছড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দী হয়েছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।
এরপর গত মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন খালেদা জিয়া।