ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা

এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এইচএমপি ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। পরে সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যেখানে এই ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং তীব্রতা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়, ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। এছাড়া যারা হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে (COPD) আক্রান্ত, গর্ভবতী নারী এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন।

বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে। চীনসহ অন্যান্য দেশে এর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায়, বাংলাদেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি বলে সতর্ক করা হয়েছে।

সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে:

১. শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে নিজেকে রক্ষায় মাস্ক ব্যবহার করুন।
২. হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় নাক ও মুখ গামছা বা টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখুন।
৩. ব্যবহৃত টিস্যু দ্রুত ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হাত ধুতে সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
৪. আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকুন এবং তাদের থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
৫. ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করবেন না। ৭. আপনি যদি জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন, তবে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন এবং প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুরোধ করেছে এবং তাদের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) ইউনিট পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন জানিয়েছেন, ‘হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়, তবে এটি শুধু চীনে নয়, পৃথিবীর নানা দেশে পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এর উপস্থিতি আগে থেকেই ছিল, তাই এটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়।’

তিনি আরো জানান, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা

আপডেট সময় ০৯:২৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এইচএমপি ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। পরে সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যেখানে এই ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং তীব্রতা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়, ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। এছাড়া যারা হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে (COPD) আক্রান্ত, গর্ভবতী নারী এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন।

বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে। চীনসহ অন্যান্য দেশে এর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায়, বাংলাদেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি বলে সতর্ক করা হয়েছে।

সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে:

১. শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে নিজেকে রক্ষায় মাস্ক ব্যবহার করুন।
২. হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় নাক ও মুখ গামছা বা টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখুন।
৩. ব্যবহৃত টিস্যু দ্রুত ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হাত ধুতে সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
৪. আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকুন এবং তাদের থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
৫. ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।
৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করবেন না। ৭. আপনি যদি জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন, তবে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন এবং প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুরোধ করেছে এবং তাদের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) ইউনিট পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন জানিয়েছেন, ‘হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়, তবে এটি শুধু চীনে নয়, পৃথিবীর নানা দেশে পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এর উপস্থিতি আগে থেকেই ছিল, তাই এটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়।’

তিনি আরো জানান, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।