ঢাকা ১১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরু চুরি করে কর্মীদের আপ্যায়নের ,বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি

জামালপুর মাদারগঞ্জে মহিলা দলের সমাবেশ উপলক্ষে গরু চুরি করে কর্মী-সমর্থকদের আপ্যায়ন করার অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ ২জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়ের পর যুবদল নেতা মাহমুদুল হাসান মুক্তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের কয়ড়া বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে, বিকেলে বিএনপির উপজেলা আহ্বায়ক মঞ্জুর কাদের বাবুল খানের স্বাক্ষরিত এক অব্যাহতি পত্র দেয়া হয়।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার কয়ড়া বাজার এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ মণ্ডলের ছেলে, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তা চৌধুরীর অনুসারী ও আদারভিটা ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সুমন মন্ডল (৪০) এবং একই এলাকার হাসান প্রামনিকের ছেলে মাংস ব্যবসায়ী (কসাই) ফজলুল প্রামানিক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা মহিলা দলের সমাবেশ উপলক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তার চৌধুরীর বাড়িতে এক ভোজের আয়োজন করা হয়। এতে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তা চৌধুরী নির্দেশে যুবদল কর্মী সুমন মণ্ডলসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি কর্মী জোড়খালী ইউনিয়নের দক্ষিণ খামার মাগুরা এলাকার মৃত ছৈয়দ আলী মণ্ডলের ছেলে এফাজ মণ্ডলের বাড়ি থেকে গত রাতে একটি গরু চুরি করে। পরে, মাংস ব্যবসায়ী ফজলুল প্রামানিককে দিয়ে গরু জবাই করে রান্নার জন্য তৈরি করা হয়।

পরে, সকালে এফাজ মন্ডল তার গোয়াল ঘরে গরু দেখতে না পেয়ে এলাকায় খোঁজাখোঁজি শুরু করেন। গরু চুরির ঘটনায় এফাজ মন্ডলের বাড়িতে লোকজন জমায়েত হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনসহ গরুর মালিকসহ কয়ড়া বাজারে যাওয়ার পথে মাংস ব্যাবসায়ী ফজলুর কাছে গরু মাথা ও চামড়া দেখে গরু সনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা করতে গেলে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যুবদল কর্মী সুমন ও মাংস ব্যবসায়ী ফজলুকে আটক করে। এ সময় গরু চামড়া, মাথা ও কিছু মাংস উদ্ধার করে পুলিশ।

আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তা বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে৷

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মঞ্জুর কাদের বাবুল খান বলেন, দলীয় ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। কেনো তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করতে বলা হয়েছে।

মাদারগঞ্জ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানায়, গরু চুরি ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে কাজ চলছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গরু চুরি করে কর্মীদের আপ্যায়নের ,বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি

আপডেট সময় ০৮:০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

জামালপুর মাদারগঞ্জে মহিলা দলের সমাবেশ উপলক্ষে গরু চুরি করে কর্মী-সমর্থকদের আপ্যায়ন করার অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ ২জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়ের পর যুবদল নেতা মাহমুদুল হাসান মুক্তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের কয়ড়া বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে, বিকেলে বিএনপির উপজেলা আহ্বায়ক মঞ্জুর কাদের বাবুল খানের স্বাক্ষরিত এক অব্যাহতি পত্র দেয়া হয়।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার কয়ড়া বাজার এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ মণ্ডলের ছেলে, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তা চৌধুরীর অনুসারী ও আদারভিটা ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সুমন মন্ডল (৪০) এবং একই এলাকার হাসান প্রামনিকের ছেলে মাংস ব্যবসায়ী (কসাই) ফজলুল প্রামানিক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা মহিলা দলের সমাবেশ উপলক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তার চৌধুরীর বাড়িতে এক ভোজের আয়োজন করা হয়। এতে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তা চৌধুরী নির্দেশে যুবদল কর্মী সুমন মণ্ডলসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি কর্মী জোড়খালী ইউনিয়নের দক্ষিণ খামার মাগুরা এলাকার মৃত ছৈয়দ আলী মণ্ডলের ছেলে এফাজ মণ্ডলের বাড়ি থেকে গত রাতে একটি গরু চুরি করে। পরে, মাংস ব্যবসায়ী ফজলুল প্রামানিককে দিয়ে গরু জবাই করে রান্নার জন্য তৈরি করা হয়।

পরে, সকালে এফাজ মন্ডল তার গোয়াল ঘরে গরু দেখতে না পেয়ে এলাকায় খোঁজাখোঁজি শুরু করেন। গরু চুরির ঘটনায় এফাজ মন্ডলের বাড়িতে লোকজন জমায়েত হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনসহ গরুর মালিকসহ কয়ড়া বাজারে যাওয়ার পথে মাংস ব্যাবসায়ী ফজলুর কাছে গরু মাথা ও চামড়া দেখে গরু সনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা করতে গেলে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যুবদল কর্মী সুমন ও মাংস ব্যবসায়ী ফজলুকে আটক করে। এ সময় গরু চামড়া, মাথা ও কিছু মাংস উদ্ধার করে পুলিশ।

আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তা বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে৷

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মঞ্জুর কাদের বাবুল খান বলেন, দলীয় ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। কেনো তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করতে বলা হয়েছে।

মাদারগঞ্জ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানায়, গরু চুরি ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে কাজ চলছে।