ঢাকা ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করায় জেলা ছাত্রদল নেতা নেছারের হুমকি: “হাড্ডি জায়গায় থাকবে না” Logo বর্তমান সরকারের আমলেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হবে: ড. আসিফ নজরুল Logo হানিফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা: সন্তানদের সম্পদের নোটিশ Logo মুন্সীগঞ্জে মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের আমৃত্যু কারাদণ্ড Logo দেশের অরাজক পরিস্থিতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় অন্তর্বতী সরকারের- রাকিব Logo ভালুকায় মা সহ দুই মেয়েকে জবাই করে হত্যা Logo সড়কের বেহাল দশা, লক্ষ্মীপুরের স্থানীয়রা পড়েছেন প্রকৌঁশলীর গায়েবানা জানাজা Logo অযৌক্তিক ধর্মঘট নিয়ে প্রতিবাদ করায় তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ Logo বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে পরিণত হয়েছে, অভিযোগ নাহিদ ইসলামের Logo ‘মানিকগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভে জামায়াত-শিবিরকে হুঁশিয়ারি

রিজার্ভ চুরির ৮০ শতাংশ অর্থ ফেরত এসেছে: গভর্নর

রিজার্ভ চুরির ৮০ শতাংশ অর্থ ফেরত এসেছে: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থের ৮০ শতাংশ ফেরত আনা হয়েছে। বাকি অর্থ আদায়ে মামলা চলছে। মামলায় জিতে বাকি অর্থও ফেরানো সম্ভব। আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেল ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানই ২০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে। যারা দেশ থেকে টাকা পাচার করেছে। সেসব অর্থ উদ্ধারে কাজ চলছে। বিদেশীরাও সহযোগিতা করছেন বলে জানান মনসুর।

গভর্নর বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনসহ (এফবিআই) অন্যান্য সংস্থার সাথে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। বিদেশী আইনজীবীও নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

রেমিট্যান্স প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেয়ায় বছরে সরকারের সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। গত পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে তিন শ’ কোটি ডলার। রফতানি বেড়েছে ২৫০ কোটি ডলার। প্রশিক্ষিত কর্মী বিদেশে পাঠাতে পারলে রেমিট্যান্স বছরে ছয় শ’ কোটি ডলারে উন্নীত করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন এই অর্থনীতিবিদ।

সৌদি আরবকে টপকে রেমিট্যান্স পাঠানোয় শীর্ষে উঠে এসেছে দুবাই। এটাকে আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে গভর্নর জানান, সৌদি আরব থেকে অর্থ প্রথমে দুবাই আসছে। সেখান থেকে বাংলাদেশে আসছে। দুবাইয়ের কিছু প্রতিষ্ঠান এই সুযোগে মুদ্রা বিনিময় হার ম্যানুপুলেট (হস্তক্ষেপ) করার চেষ্টা করছে।

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ দুই হাজার ৪৯০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এছাড়া বিপিএম-৬ গণনার মান অনুযায়ী রিজার্ভ এখন দুই হাজার কোটি ডলার হয়েছে। তবে গত ৮ জানুয়ারি বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৬৫৭ কোটি ডলার। আর বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ১৬৭ কোটি ডলার। এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘চার মাস চলার মতো রিজার্ভ আছে, তাই ভয়ের কিছু নেই।

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করায় জেলা ছাত্রদল নেতা নেছারের হুমকি: “হাড্ডি জায়গায় থাকবে না”

রিজার্ভ চুরির ৮০ শতাংশ অর্থ ফেরত এসেছে: গভর্নর

আপডেট সময় ০৮:০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থের ৮০ শতাংশ ফেরত আনা হয়েছে। বাকি অর্থ আদায়ে মামলা চলছে। মামলায় জিতে বাকি অর্থও ফেরানো সম্ভব। আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেল ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানই ২০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে। যারা দেশ থেকে টাকা পাচার করেছে। সেসব অর্থ উদ্ধারে কাজ চলছে। বিদেশীরাও সহযোগিতা করছেন বলে জানান মনসুর।

গভর্নর বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনসহ (এফবিআই) অন্যান্য সংস্থার সাথে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। বিদেশী আইনজীবীও নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

রেমিট্যান্স প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেয়ায় বছরে সরকারের সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। গত পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে তিন শ’ কোটি ডলার। রফতানি বেড়েছে ২৫০ কোটি ডলার। প্রশিক্ষিত কর্মী বিদেশে পাঠাতে পারলে রেমিট্যান্স বছরে ছয় শ’ কোটি ডলারে উন্নীত করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন এই অর্থনীতিবিদ।

সৌদি আরবকে টপকে রেমিট্যান্স পাঠানোয় শীর্ষে উঠে এসেছে দুবাই। এটাকে আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে গভর্নর জানান, সৌদি আরব থেকে অর্থ প্রথমে দুবাই আসছে। সেখান থেকে বাংলাদেশে আসছে। দুবাইয়ের কিছু প্রতিষ্ঠান এই সুযোগে মুদ্রা বিনিময় হার ম্যানুপুলেট (হস্তক্ষেপ) করার চেষ্টা করছে।

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ দুই হাজার ৪৯০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এছাড়া বিপিএম-৬ গণনার মান অনুযায়ী রিজার্ভ এখন দুই হাজার কোটি ডলার হয়েছে। তবে গত ৮ জানুয়ারি বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৬৫৭ কোটি ডলার। আর বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ১৬৭ কোটি ডলার। এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘চার মাস চলার মতো রিজার্ভ আছে, তাই ভয়ের কিছু নেই।