ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ কাঠামোয় সাত কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন Logo এ মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের: সালাহউদ্দিন Logo মুন্সীগঞ্জে এনসিপির পথসভা: “নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত থাকবে” Logo সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল আজিজ, সেক্রেটারি শোয়াইব Logo পাবনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে  জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন Logo ‘যতদিন বাংলাদেশের নাম থাকবে, ততদিন উচ্চারিত হবে জুলাই যোদ্ধাদের নাম’ Logo গোপালগঞ্জকে ৪ জেলায় ভাগ করে দিয়ে ৬৩ জেলার বাংলাদেশ করা হোক- আমির হামজা Logo ‘সামনের জুলাই তুই কনে থাকবি’ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার হুমকি Logo যেসব অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টি ও ভারি বর্ষণ হতে শঙ্কা Logo গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গরু চুরি করে কর্মীদের আপ্যায়নের অভিযোগ

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গরু চুরি করে কর্মীদের আপ্যায়নের অভিযোগ

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের কয়ড়া বাজার এলাকায় গরু চুরির ঘটনায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাদারগঞ্জ পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। গরুর মালিক থানায় মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে এই ঘটনা ঘটে।

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, “গরু চুরির ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং নাম না জানা আরো ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য মাঠে পুলিশের টিম কাজ করছে।”

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার কয়ড়া বাজার এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ মন্ডলের ছেলে সুমন মন্ডল (৪০) এবং একই এলাকার হাসান প্রামনিকের ছেলে মাংস ব্যবসায়ী (কসাই) ফজলুল প্রামানিক।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা মহিলা দলের সমাবেশ উপলক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তার চৌধুরীর বাড়িতে ভোজের আয়োজন করা হয়। ভোজের জন্য মাহমুদুল হাসান মুক্তার চৌধুরীর নির্দেশে সুমন মন্ডলসহ কয়েকজন জোড়খালী ইউনিয়নের দক্ষিণ খামার মাগুরা এলাকার মৃত ছৈয়দ আলী মন্ডলের ছেলে এফাজ মন্ডলের বাড়ি থেকে গত রাতে একটি গরু চুরি করেন। পরে মাংস ব্যবসায়ী ফজলুল প্রামানিককে দিয়ে গরু জবাই করে মাংস রান্নার জন্য তৈরি করান।

আজ (শনিবার) সকালে এফাজ মন্ডল তার গোয়াল ঘরে গরু দেখতে না পেয়ে এলাকায় খোঁজাখোঁজি শুরু করেন। গরু চুরির ঘটনায় এফাজ মন্ডলের বাড়িতে লোকজন জমা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন ও গরুর মালিক কয়ড়া বাজারে যাওয়ার সময় মাংস ব্যাবসায়ী ফজলুর কাছে মাথা ও চামড়া দেখে গরু শনাক্ত করেন। মাংস ব্যবসায়ী ফজলু তাদের জানান, বিএনপির নেতা মাহমুদুল হাসান মুক্তার চৌধুরী ও সুমন মন্ডল তাকে গরুর মাংস তৈরির জন্য নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুমন ও মাংস ব্যবসায়ী ফজলুকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় গরুর চামড়া, মাথা ও কিছু মাংস উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা মাহমুদুল হাসান মুক্তার চৌধুরী ও সুমনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও নাম না জানা আরো ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন গরুর মালিক এফাজ মন্ডল।

গরুর মালিক এফাজ মন্ডল বলেন, ‍গোয়ালঘরে প্রবেশ করে গরু না দেখতে পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। মাহমুদুল হাসান মুক্তার চৌধুরীর বাড়িতে গেলে সেখানে গরু কাটতে দেখি। পরে বাড়িতে ফিরে লোকজন নিয়ে মুক্তা চৌধুরীর বাড়ি ঘেরাও করার পর গরুর চামড়া নিয়ে পালানোর সময় একজনে ধরা হয়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। আমি বিচার চাই। এ বিষয়ে জানতে আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরী মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আকবর ম্যালেটারী মোবাইল ফোনে কথা হয়। গরু চুরির বিষয়ে কথা বলতেই তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে কল কেটে দেন।জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, ‍“এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ কাঠামোয় সাত কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গরু চুরি করে কর্মীদের আপ্যায়নের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:৫০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের কয়ড়া বাজার এলাকায় গরু চুরির ঘটনায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাদারগঞ্জ পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। গরুর মালিক থানায় মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে এই ঘটনা ঘটে।

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, “গরু চুরির ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং নাম না জানা আরো ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য মাঠে পুলিশের টিম কাজ করছে।”

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার কয়ড়া বাজার এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ মন্ডলের ছেলে সুমন মন্ডল (৪০) এবং একই এলাকার হাসান প্রামনিকের ছেলে মাংস ব্যবসায়ী (কসাই) ফজলুল প্রামানিক।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা মহিলা দলের সমাবেশ উপলক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তার চৌধুরীর বাড়িতে ভোজের আয়োজন করা হয়। ভোজের জন্য মাহমুদুল হাসান মুক্তার চৌধুরীর নির্দেশে সুমন মন্ডলসহ কয়েকজন জোড়খালী ইউনিয়নের দক্ষিণ খামার মাগুরা এলাকার মৃত ছৈয়দ আলী মন্ডলের ছেলে এফাজ মন্ডলের বাড়ি থেকে গত রাতে একটি গরু চুরি করেন। পরে মাংস ব্যবসায়ী ফজলুল প্রামানিককে দিয়ে গরু জবাই করে মাংস রান্নার জন্য তৈরি করান।

আজ (শনিবার) সকালে এফাজ মন্ডল তার গোয়াল ঘরে গরু দেখতে না পেয়ে এলাকায় খোঁজাখোঁজি শুরু করেন। গরু চুরির ঘটনায় এফাজ মন্ডলের বাড়িতে লোকজন জমা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন ও গরুর মালিক কয়ড়া বাজারে যাওয়ার সময় মাংস ব্যাবসায়ী ফজলুর কাছে মাথা ও চামড়া দেখে গরু শনাক্ত করেন। মাংস ব্যবসায়ী ফজলু তাদের জানান, বিএনপির নেতা মাহমুদুল হাসান মুক্তার চৌধুরী ও সুমন মন্ডল তাকে গরুর মাংস তৈরির জন্য নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুমন ও মাংস ব্যবসায়ী ফজলুকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় গরুর চামড়া, মাথা ও কিছু মাংস উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা মাহমুদুল হাসান মুক্তার চৌধুরী ও সুমনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও নাম না জানা আরো ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন গরুর মালিক এফাজ মন্ডল।

গরুর মালিক এফাজ মন্ডল বলেন, ‍গোয়ালঘরে প্রবেশ করে গরু না দেখতে পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। মাহমুদুল হাসান মুক্তার চৌধুরীর বাড়িতে গেলে সেখানে গরু কাটতে দেখি। পরে বাড়িতে ফিরে লোকজন নিয়ে মুক্তা চৌধুরীর বাড়ি ঘেরাও করার পর গরুর চামড়া নিয়ে পালানোর সময় একজনে ধরা হয়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। আমি বিচার চাই। এ বিষয়ে জানতে আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরী মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আকবর ম্যালেটারী মোবাইল ফোনে কথা হয়। গরু চুরির বিষয়ে কথা বলতেই তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে কল কেটে দেন।জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, ‍“এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”