নিজেদের মরা-বাঁচার ম্যাচে বৃষ্টি আইনে নিউজিল্যান্ডকে ২১ রানে হারিয়েছেন বাবর আজমরা। তাতে ৮ ম্যাচ ৮ পয়েন্ট নিয়ে সেমির দৌড়ে ভালোভাবে জায়গা করে নিল পাকিস্তান।
এই ম্যাচ হেরে রান রেটের কল্যাণে চার নম্বরে থাকলেও শঙ্কা বাড়ল নিউজিল্যান্ডের। হারলেই বিদায়―এমন ম্যাচে বিশাল রান তাড়ায় দলীয় ৬ রানে ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিকের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে সেই চাপ প্রতিপক্ষের দিকে ঠেলে দিতে সময় নেননি ফখর জামান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ৬৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
এটি বিশ্বকাপে পাকিস্তানি ব্যাটারদের দ্রুততম সেঞ্চুরি। পরের ওভারে বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। তখন ২১ ওভার ৩ বলে ১ উইকেট হারানো পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৬০ রান। বৃষ্টিতে খেলা শুরু হলে পাকিস্তানের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ৩৪২ রান।
অর্থাৎ বৃষ্টির পর ১৯ ওভার ৩ বলে করতে হতো ১৮২। তবে এবারো খেলা শেষ হয়নি। ৪ ওভার পর আবার বৃষ্টি নামে। ২৫ ওভার ৩ বলে ১ উইকেটে পাকিস্তানের রান তখন ২০০। পরের ৪ ওভারে ৪০ রান তোলা পাকিস্তান খেলা শুরু না হলে বৃষ্টি আইনে ২১ রানে জয় পেয়েছে।
ফখর ৮টি চার ও ১১টি ছয়ে মাত্র ৮১ বলে ১২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬৩ বলে ৬৬ রান করেন অধিনায়ক বাবর আজম। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে আগ্রসী ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড় গড়ে নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্রের সেঞ্চুরি এবং কেন উইলিয়ামসনের ৯৫ রানের ইনিংসে চড়ে ৪০১ রানে থামে কিউইরা। ডেভন কনওয়ের সঙ্গে রাচিনের ৬৮ রানের উদ্বোধনি জুটি ভাঙলে দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক উইলিয়ামসনের সঙ্গে ১৮০ রানের জুটি রাচিনের।
রাচিন সেঞ্চুরি পেলেও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার থেকে ৫ রান দূরে থাকতে শেষ হয় উইলিয়ামসনের ইনিংস। ব্যক্তিগত ৯৫ রানে ইফতেখার আহমেদের বলে ফখরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সেঞ্চুরি মিসের হতাশায় পোড়েন উইলিয়ামসন। তার ৭৯ বলের ইনিংসে ১০ চার দুটি ছক্কা। রাচিনের ইনিংস থামে ১০৮ রানে। তার ইনিংসে ১৫ চার ও এক ছক্কা। শেষদিকে ড্যারিল মিচেলের ২৯, মার্ক চ্যাপমানের ৩৯ ও গ্লেন ফিলিপসের ৪১ রানে বড় সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৬০ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন ওয়াসিম জুনিয়র।