ঢাকা ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

ব্যাটিং তান্ডবে বৃষ্টি আইনে পাকিস্তানের দারুণ জয়

নিজেদের মরা-বাঁচার ম্যাচে বৃষ্টি আইনে নিউজিল্যান্ডকে ২১ রানে হারিয়েছেন বাবর আজমরা। তাতে ৮ ম্যাচ ৮ পয়েন্ট নিয়ে সেমির দৌড়ে ভালোভাবে জায়গা করে নিল পাকিস্তান।

এই ম্যাচ হেরে রান রেটের কল্যাণে চার নম্বরে থাকলেও শঙ্কা বাড়ল নিউজিল্যান্ডের। হারলেই বিদায়―এমন ম্যাচে বিশাল রান তাড়ায় দলীয় ৬ রানে ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিকের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে সেই চাপ প্রতিপক্ষের দিকে ঠেলে দিতে সময় নেননি ফখর জামান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ৬৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।

এটি বিশ্বকাপে পাকিস্তানি ব্যাটারদের দ্রুততম সেঞ্চুরি। পরের ওভারে বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। তখন ২১ ওভার ৩ বলে ১ উইকেট হারানো পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৬০ রান। বৃষ্টিতে খেলা শুরু হলে পাকিস্তানের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ৩৪২ রান।

অর্থাৎ বৃষ্টির পর ১৯ ওভার ৩ বলে করতে হতো ১৮২। তবে এবারো খেলা শেষ হয়নি। ৪ ওভার পর আবার বৃষ্টি নামে। ২৫ ওভার ৩ বলে ১ উইকেটে পাকিস্তানের রান তখন ২০০। পরের ৪ ওভারে ৪০ রান তোলা পাকিস্তান খেলা শুরু না হলে বৃষ্টি আইনে ২১ রানে জয় পেয়েছে।

ফখর ৮টি চার ও ১১টি ছয়ে মাত্র ৮১ বলে ১২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬৩ বলে ৬৬ রান করেন অধিনায়ক বাবর আজম। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে আগ্রসী ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড় গড়ে নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্রের সেঞ্চুরি এবং কেন উইলিয়ামসনের ৯৫ রানের ইনিংসে চড়ে ৪০১ রানে থামে কিউইরা। ডেভন কনওয়ের সঙ্গে রাচিনের ৬৮ রানের উদ্বোধনি জুটি ভাঙলে দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক উইলিয়ামসনের সঙ্গে ১৮০ রানের জুটি রাচিনের।

রাচিন সেঞ্চুরি পেলেও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার থেকে ৫ রান দূরে থাকতে শেষ হয় উইলিয়ামসনের ইনিংস। ব্যক্তিগত ৯৫ রানে ইফতেখার আহমেদের বলে ফখরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সেঞ্চুরি মিসের হতাশায় পোড়েন উইলিয়ামসন। তার ৭৯ বলের ইনিংসে ১০ চার দুটি ছক্কা। রাচিনের ইনিংস থামে ১০৮ রানে। তার ইনিংসে ১৫ চার ও এক ছক্কা। শেষদিকে ড্যারিল মিচেলের ২৯, মার্ক চ্যাপমানের ৩৯ ও গ্লেন ফিলিপসের ৪১ রানে বড় সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৬০ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন ওয়াসিম জুনিয়র।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

ব্যাটিং তান্ডবে বৃষ্টি আইনে পাকিস্তানের দারুণ জয়

আপডেট সময় ০৮:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

নিজেদের মরা-বাঁচার ম্যাচে বৃষ্টি আইনে নিউজিল্যান্ডকে ২১ রানে হারিয়েছেন বাবর আজমরা। তাতে ৮ ম্যাচ ৮ পয়েন্ট নিয়ে সেমির দৌড়ে ভালোভাবে জায়গা করে নিল পাকিস্তান।

এই ম্যাচ হেরে রান রেটের কল্যাণে চার নম্বরে থাকলেও শঙ্কা বাড়ল নিউজিল্যান্ডের। হারলেই বিদায়―এমন ম্যাচে বিশাল রান তাড়ায় দলীয় ৬ রানে ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিকের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে সেই চাপ প্রতিপক্ষের দিকে ঠেলে দিতে সময় নেননি ফখর জামান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ৬৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।

এটি বিশ্বকাপে পাকিস্তানি ব্যাটারদের দ্রুততম সেঞ্চুরি। পরের ওভারে বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। তখন ২১ ওভার ৩ বলে ১ উইকেট হারানো পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৬০ রান। বৃষ্টিতে খেলা শুরু হলে পাকিস্তানের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ৩৪২ রান।

অর্থাৎ বৃষ্টির পর ১৯ ওভার ৩ বলে করতে হতো ১৮২। তবে এবারো খেলা শেষ হয়নি। ৪ ওভার পর আবার বৃষ্টি নামে। ২৫ ওভার ৩ বলে ১ উইকেটে পাকিস্তানের রান তখন ২০০। পরের ৪ ওভারে ৪০ রান তোলা পাকিস্তান খেলা শুরু না হলে বৃষ্টি আইনে ২১ রানে জয় পেয়েছে।

ফখর ৮টি চার ও ১১টি ছয়ে মাত্র ৮১ বলে ১২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬৩ বলে ৬৬ রান করেন অধিনায়ক বাবর আজম। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে আগ্রসী ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড় গড়ে নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্রের সেঞ্চুরি এবং কেন উইলিয়ামসনের ৯৫ রানের ইনিংসে চড়ে ৪০১ রানে থামে কিউইরা। ডেভন কনওয়ের সঙ্গে রাচিনের ৬৮ রানের উদ্বোধনি জুটি ভাঙলে দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক উইলিয়ামসনের সঙ্গে ১৮০ রানের জুটি রাচিনের।

রাচিন সেঞ্চুরি পেলেও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার থেকে ৫ রান দূরে থাকতে শেষ হয় উইলিয়ামসনের ইনিংস। ব্যক্তিগত ৯৫ রানে ইফতেখার আহমেদের বলে ফখরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সেঞ্চুরি মিসের হতাশায় পোড়েন উইলিয়ামসন। তার ৭৯ বলের ইনিংসে ১০ চার দুটি ছক্কা। রাচিনের ইনিংস থামে ১০৮ রানে। তার ইনিংসে ১৫ চার ও এক ছক্কা। শেষদিকে ড্যারিল মিচেলের ২৯, মার্ক চ্যাপমানের ৩৯ ও গ্লেন ফিলিপসের ৪১ রানে বড় সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৬০ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন ওয়াসিম জুনিয়র।